খেজুরের গুড়ে দুধ পুলি

শীতের আমেজ বইছে। শীতকাল আর পিঠা যেন একসূত্রে গাঁথা। শীতে খেজুরের রস দিয়ে পিঠা উৎসব চলছে বেশ। দুধ পুলি পিঠা ভোজন রসিকদের প্রিয় খাবার। জেনে নিন দুধ খেজুরের গুড় দিয়ে দুধ পুলি পিঠা তৈরির পুরো প্রণালি।

উপকরণ

চালের গুড়া – আড়াই কাপ

ময়দা – আধা কাপ

পানি – দেড় কাপ

লবণ – আধা চা চামচ

ঘি – আধা চা চামচ

দুধ – দেড় কেজি

খেজুরের গুড়- স্বাদ মতো ; নূন্যতম এক কাপ

গুড়া দুধ – প্রয়োজনঅনুসারে

কনডেন্সড মিল্ক – প্রয়োজনমত

নারিকেল কোড়ানো – দেড় কাপ

এলাচ – ২/৩টি

প্রণালি

প্রথমে পিঠার ভেতরে থাকা পুরের জন্য দেড় কাপ নারিকেল কোড়ানো আলাদা করে রেখে দিন (সামান্য রেখে দিতে হবে পরে দুধের মধ্যে দেওয়ার জন্য)। এখন বাকি কোড়ানো বাকি নারিকেলের সঙ্গে পাঁচ থেকে ছয় চামচ চিনি দিয়ে ফ্রাইপ্যানে সাত থেকে আট মিনিট ভেজে উঠিয়ে নিন (মূলত নারিকেলের পানি শুকাতে যতক্ষণ লাগে আরকি)। এই সদ্য প্রস্তুতকৃত পুর পিঠার ভেতরে দিতে হবে।

এবার দুধের সঙ্গে গুড়া দুধ, খেজুড়ের গুড়, কনডেন্সড মিল্ক আর এলাচ মিশিয়ে জ্বাল দিন। পিঠা বানানো হতে হতে দুধ খুব সুন্দর জ্বাল হয়ে হালকা রং হবে। এখন অন্য পাতিলে পানির সঙ্গে লবণ এবং ঘি একসঙ্গে দিয়ে গরম করুন। ফুটানো পানির সঙ্গে চালের গুড়া ও ময়দা একসঙ্গে দিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে চুলা বন্ধ করে দিয়ে খামির প্রস্তুত করে ফেলুন। রুটি বানানোর পিঁড়িতে গরম গরম খামির খুব ভালো করে মথে নিন।

এখন খামিরটা ১০ ভাগ করুন। এক একটি ভাগ দিয়ে ছোট ছোট রুটি বেলে অথবা হাত দিয়ে চেপে পাতলা করে ভিতরে নারিকেলর পুর দিয়ে পুলিপিঠা প্রস্তুত করুন। এভাবে সব পিঠাগুলো তৈরি করে নিন। এখন বানানো পুলিপিঠা, ফুটিয়ে রাখা দুধের মধ্যে দিয়ে চুলার আঁচ কম রেখে ১০ মিনিট রান্না করে ফেলুন।

হাঁড়ি আস্তে ঝাঁকিয়ে পিঠার সঙ্গে দুধ মিশিয়ে নিন। ১০ মিনিট রান্নার পর কোড়ানো নারিকেল দিয়ে আরও দুই থেকে তিন মিনিট রান্না করে নামিয়ে পাত্রে ঢেলে পরিবেশন করুন মজাদার দুধ পুলি পিঠা।