রাস্তায় রাস্তায় চালকের লাইসেন্স ও গাড়ির ফিটনেস যাচাই করছে শিক্ষার্থীরা

news paper

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩০-১১-২০২১ দুপুর ২:২৫

1Views

চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ির ফিটনেস সনদ যাচাই করছেন শিক্ষার্থীরা। সহযোগীর ভূমিকায় রয়েছেন সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। লাইসেন্স ও ফিটনেস সনদ দেখাতে না পারলেই ঘুরিয়ে দেয়া হচ্ছে অথবা সামনে যেতে হলে মামলা নিতে হচ্ছে। কোনো কোনো গাড়ির সামনে শিক্ষার্থীরা লিখেও দিচ্ছেন- ‘সাবধান, মেয়াদোত্তীর্ণ’, ‘লাইসেন্স নেই, দূরত্ব বজায় রাখুন’ ‘Expired, সাবধান’। বাদ যায়নি সরকারি কিংবা গণমাধ্যমের গাড়িও। শিক্ষার্থীদের সনদ দেখাতে না পারায় একটি বেসরকারি গণমাধ্যমের গাড়ির সামনে ‘সাংঘাতিক, লাইসেন্স নাই’ এবং সরকারি গাড়িতে ‘সরকারি গাড়ি, লাইসেন্স নেই’ লিখে দেয়া হয়।

মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডি ২৭ নম্বর সড়কে এমন চিত্রই দেখা যায়। এর আগে নিরাপদ সড়কের দাবিতে বেলা ১১টা থেকে সড়কটি অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে স্থানীয় কয়েকটি স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলেন, সড়কে চলাচল করা অধিকাংশ গাড়িরই ফিটনেস সনদ নেই এবং চালকদেরও লাইসেন্স নেই। তদারকির অভাবে সড়ক লাইসেন্সবিহীন ও ফিটনেস বিহীন এসব গাড়িতে সয়লাব। ফলে দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে। তাই এবার সড়কে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা পথ ছাড়বে না।

আজিমপুর গার্লস স্কুলের শিক্ষার্থী রাবেয়া সুলতানা বলেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে দীর্ঘদিন আমরা সড়কে আন্দোলন করছি। এর মধ্যেও আমরা দেখেছি চালকদের অদক্ষতায় সড়কে শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। আমরা চাই না আর কোনো মায়ের বুক খালি হোক। আমরা সড়কে সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা চাই।

শিক্ষার্থীদের সনদ ও ফিটনেস যাচাইয়ে সহযোগিতা করা রাজধানীর মোহাম্মদপুর জোনের ট্রাফিক সার্জেন্ট রিয়াদ মোর্শেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, শিক্ষার্থীরা বাস চালকদের লাইসেন্স ও ফিটনেস সনদ দেখছে। আমরা তাদের সহযোগিতা করছি। ইতোমধ্যে কয়েকটি গাড়ির ব্যাপারে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা সবসময়ই চাই যেন সড়কে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।

গতকাল সোমবার (২৯ নভেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় গ্রিন অনাবিল পরিবহনের বাসের চাপায় শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিন নিহত হয়। এ ঘটনায় রাতে সড়ক অবরোধ করে উত্তেজিত জনতা। এ সময় ঘাতক বাসসহ আটটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় আরও চারটি বাস। এ ঘটনায় বাসচালক সোহেলকে (৩৫) গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয়রা। পরে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। আহত সোহেলের পুলিশি পাহারায় ঢামেক হাসপাতালের ১০০ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসা চলছে।

অন্যদিকে মঙ্গলবার সকালে ঘাতক বাসের হেলপারকেও আটক করেছে র‍্যাব।


আরও পড়ুন