১৩ বছর পর দেবীদ্বার পৌরসভার নিজস্ব ভবনে কার্যক্রম শুরু

news paper

এ আর আহমেদ হোসাইন, দেবীদ্বার-কুমিল্লা

প্রকাশিত: ১-১২-২০২১ দুপুর ৪:৫৬

16Views

একযুগ পর বুধবার (১ ডিসেম্বর) থেকে গুনাইঘর গ্রামে প্রতিষ্ঠিত দেবীদ্বার পৌরসভার নিজস্ব ভবনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক আশিকুন নবী তালুকদারের দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনার মধ্যদিয়ে পুনরায় আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বেলা ১১টায় পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশিকুন নবী তালুকদার গুনাইঘর গ্রামে অবস্থিত পৌরসভার নিজস্ব ভবনে অতিরিক্ত দায়িত্ব পৌর প্রশাসকের প্রথম দাপ্তরিক কার্যক্রম সম্পাদন করতে গেলে পৌরসভার সচিব মো. ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ১৫ জুন উপজেলা সদর থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে পৌরসভার পশ্চিম সীমান্তে গুনাইঘর এলাকায় প্রায় ৬৫ শতাংশ জমির ওপর ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে দ্বিতল পৌর ভবনের কাজ সম্পন্ন করে পৌরসভার কার্যক্রম শুরু করে। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৮ সালের জানুয়ারী মাস থেকে দূরত্বের কারণ দেখিয়ে সেখান থেকে পৌরসভার সকল কার্যক্রম উপজেলা সদর এলাকায় স্থানান্তর করা হয়। পরবর্তীতে উপজেলা পরিষদসংলগ্ন দেবীদ্বার মাজেদা আহসান মুন্সী পৌর গণপাঠাগারটি বন্ধ করে উক্ত পাঠাগারের দ্বিতল ভবনটিতে পৌরসভার সকল কার্যক্রম শুরু হয়।

পরবর্তীতে দেবীদ্বারের একমাত্র পাঠাগারটি পাঠকপ্রিয়দের জন্য অবমুক্ত করে দেয়ার দাবি ওঠে। দীর্ঘ আন্দোলন ও প্রতিবাদের মুখে ১৩ বছর পর পৌরসভার নিজস্ব ভবনে সকল কার্যক্রম আজ থেকে পুনরায় পৌরসভার মূল ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করা হয়।
 
পৌর সভার সহায়ক সদস্য মো. মজিবুর রহমান বলেন, ২০০৫ সালের ডিসেম্বরে উক্ত ভবন উদ্বোধন করার পর বেশ কয়েক বছর কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। একপর্যায়ে দূরত্বের অভিযোগে পৌরবাসী আন্দোলন শুরু করেন। এর আগে সীমানা জটিলতা এবং তথ্য গোপনে বিশাল এলাকা (দেবীদ্বার সদর ইউনিয়ন সম্পূর্ণ এবং গুনাইঘর উত্তর, গুনাইঘর দক্ষিণ, সুবিল ইউনিয়নের অংশবিশেষ) নিয়ে গঠিত পৌরসভা বাতিলের দাবিতে দুটি মামলা দায়ের হয়। ওই মামলাগুলো চলমান থাকায় বিগত ১৭ বছর ধরে উক্ত পৌরসভায় নির্বাচন না হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাই পৌর প্রশাসক হিসেবে পৌর মেয়রের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

দেবীদ্বার পৌরসভার সচিব মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, পৌরসভা নিজস্ব ভবনে ফিরে আসায় আমাদের কাজে অনেক সুবিধা হয়েছে। নাগরিক সেবার মানও বেড়েছে। আগে ছোট তিনটি রুমে একাধিক কর্মকর্তাকে বসতে হয়েছে। মানুষের চাপও ছিল। এখন মানুষ সহজেই সব কাজ করতে পারবে।

দেবীদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক আশিকুন নবী তালুকদার বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্যের সাথে আলোচনা করে নাগরিক সেবার মান বাড়াতে এবং পৌর পাঠাগারটি পুনরায় কার্যকর করতে পৌরসভার নিজস্ব ভবনে কার্যক্রম পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এতে পৌর এলাকায় উন্নয়ন কার্যক্রম আরো গতিশীল হবে বলে আশা করছি।


আরও পড়ুন