ক্ষমতার অপব্যবহার হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা

রিট নিষ্পত্তির আগেই আইডিআর এর চিঠি

news paper

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২-১২-২০২১ দুপুর ১:৪৬

6Views

ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সাবেক মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হেমায়েত উল্লাহকে কোনো বিমা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ না দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) আইডিআরএ থেকে এ নির্দেশনা সংক্রান্ত চিঠি প্রতিটি বিমা কোম্পানির চেয়ারম্যান ও সিইও বরাবর পাঠানো হয়েছে। দুদকে  তার বিরুদ্ধে মামলা থাকায়  তাকে অন্য কোন কোম্পানীতে নিয়োগ না দিতে এমন চিঠি দিয়েছে বীমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ। আইডিয়ার-এর  এ চিঠিকে ক্ষমতার স্পষ্ঠ্য অপব্যবহার হিসেবে দেখছেন বীমা খাতের সাথে সংশ্লিষ্টরা। কারণ দুদকে চলমান মামলার বিরুদ্ধে আদালাতে রিট পিটিশন দায়ের করেন হেমায়েত উল্লাহ। সে রিট পিটিশন বিদ্যমান থাকা অবস্থাতাতেই আইডিআর  নতুন করে চিঠি লিখেছে সমস্ত বীমা কোম্পানীর চেয়ারম্যানদের বরাবর। 


সংশ্লিষ্টরা বলছেন,একজন মানুষের বিরুদ্ধে অনিয়ম বা দূর্নীতি বা যে কোন অপরাধের অভিযোগ উঠলেই তাকে তার কর্মজীবন বন্ধে এভাবে চিঠি দেয়া যায় না। কারণ আইনগত সহায়তা নেয়া তার মানবিক ও নাগরিক অধিকার। যে কোন অপরাধে একজন মানুষ আদালতের স্মরণাপন্ন হলে আদালত থেকে চুড়ান্ত রায় ঘোষণার পুর্বে তার কর্মকান্ড বাধাঁগ্রস্থ করার  প্রচেষ্টাও  এক ধরণের অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এ কারণে আইডিয়ারের ইস্যু করা এ চিঠিটি ক্ষমতার স্পষ্ঠ্য অপব্যবহারের দলিল হিসেবে গণ্য হবে আদালতে।  এ দিকে আইডয়ারের চিঠির ভাষাকেও  অশালীন বা ভদ্রতা বিবর্জিত হিসেবে দেখছেন অনেকেই। এটাকে ব্যক্তিগত আক্রোশ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্ট খাতের লোকজন। বীমা নিয়ন্ত্রক সংস্থার কোন কোন ব্যক্তির ব্যক্তিগত দূর্নীতি বা কালো অধ্যায় ঢাকতেই  এমন প্রচেষ্টা কিনা তা খতিয়ে দেখার দাবিও তুলছেন কেউ কেউ। সব মিলে আইডিয়ার এর চিঠি ঘিরে এক ধরণের ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে বীমা খাতে। 
উল্ল্যে, হেমায়েত উল্লাহ ২০১১ থেকে ২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ফারইস্ট ইসলামি লাইফ কোম্পানিতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। এর আগে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সিইও থেকে হেমায়েত উল্লাহকে অপসারণ করে বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা।


আরও পড়ুন