বিএনপির ৩২ সভা-সমাবেশের তারিখ পরিবর্তন

news paper

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪-১-২০২২ দুপুর ৪:৩৫

4Views

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিএনপির নির্ধারিত ৩২টি সভা-সমাবেশ নতুনভাবে পুনঃনির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, সরকার যে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, সেই বিধিনিষেধ অযৌক্তিক ও অকার্যকর- এটা আমরা বলেছি। কিন্তু তারপরও জনস্বার্থ এবং প্রাসঙ্গিক সবকিছু বিবেচনা করে আমাদের সমাবেশগুলোর তারিখ পুনঃনির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনগুলোর সব কেন্দ্রীয়, মহানগর ও জেলার নেকাদের পুনঃনির্ধারিত তারিখে সভা-সমাবেশ করার জন্য প্রস্তুতি অব্যাহত রাখার আহবান জানাচ্ছি। বিএনপির সভা সমাবেশগুলো স্থগিত করা হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা বলেছি তারিখ পুনঃনির্ধারণ করেছি। আমরা স্থগিত বলিনি।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন, স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হতে পারে, হাটবাজার, দোকান-পাট, স্কুল-কলেজ সব খোলা থাকতে পারে। যেখানে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে উন্মুক্ত স্থানে সংক্রমণের সম্ভাবনা কম, বদ্ধ স্থানে বেশি। সেখানে সরকার বদ্ধ স্থানে অনুমতি দেয়, উন্মুক্ত স্থানে দেয় না। তার মানে খুব পরিষ্কার।

বিএনপির চলমান কর্মসূচিতে বাধা দেয়ার চেষ্টার অভিযোগ তুলে দলটির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, সরকারের মূল উদ্দেশ হলো আমাদের যে আন্দোলন কর্মসূচি চলছিল সেটাকে তারা নানাভাবে শক্তি প্রয়োগ করে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে, ১৪৪ ধারাও জারি করেছে। অর্থাৎ গণতান্ত্রিক হরণের যেসব কাজ, সবই করছে তারা। অগণতান্ত্রিক সরকারের পক্ষে এটাই তো স্বাভাবিক।

সংবাদ সম্মেলনে স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, একদিকে সরকারি ১১ দফা নির্দেশনা, অন্যদিকে সিটি করপোরেশন নির্বাচন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ আরও অনেক কাজ উন্মুক্ত আছে। সরকারের বিধিনিষেধের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের সিটি করপোরেশন নির্বাচন বা স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলো অনুষ্ঠান সাংঘর্ষিক।

তিনি বলেন, এই মুহূর্ত পর্যন্ত সরকার নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করেনি সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে এটা স্থগিত করার জন্য। সুতরাং এটা যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এ ব্যাপারে সন্দেহ থাকার আর কোনো কারণ নেই।

স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ডয়চে ভেলের একটা সার্ভে হয়েছে। সেই সার্ভেতে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে যে এটা কি সরকার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য করেছে নাকি স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য করেছে। সেই সার্ভেতে ৮৮ শতাংশ মানুষ বলেছে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করার জন্য করা হয়েছে, স্বাস্থ্যবিধির পক্ষে এ কাজটি করা হয়নি। এ সার্ভেটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।


আরও পড়ুন