কাশিমপুরে ইজিবাইক থেকে চাঁদাবাজীর অভিযোগ

news paper

মোখলেছুর রহমান, কোনাবাড়ী

প্রকাশিত: ২০-৬-২০২১ দুপুর ১২:৪১

23Views

গাজীপুর সিটি করপোরেশন এর কোনাবাড়ী -কাশিমপুর আঞ্চলিক সড়কে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, ইজিবাইক থেকে চাঁদাবাজীর অভিযোগ উঠেছে। চালকরা নির্ধারিত হারে চাঁদা দিতে না চাইলে যানবাহন থামিয়ে মারধর করে কেড়ে নেয়া  হয় যানবাহনের চাবি। এছাড়াও আটকে রাখা হয় যানবাহন এমনটাই অভিযোগ চালকদের। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় কাশিমপুর জিতার মোড়, কাশিমপুর স্ট্যান্ড এবং ভূমি অফিসের সামনে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ইউনিফর্ম পরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা থেকে১০ টাকা,  ইজিবাইক থেকে ২০ টাকা, অটো ভ্যান থেকে-১০ টাকা এবং  মাহিন্দ্র থেকে ২০ টাকা  করে তোলা হচ্ছে। কিন্তু টাকা নিলেও দিচ্ছে না কোন টোকেন বা রশিদ। সাদা চক দিয়ে মার্ক করে দেয়া হচ্ছে গাড়ীতে । গত দুই থেকে তিন বছর আগেও এসব চাঁদাবাজি বন্ধ ছিলো। এসব চাঁদার কারণে পণ্য ও যাত্রীদের ভাড়া বৃদ্ধি পায়। আর এর প্রভাব পরে সাধারণ মানুষের উপর। তা বন্ধ করতে প্রশাসনের শক্ত ভূমিকা আশা করছেন সবাই। জহিরুল নামে এক চালক অভিযোগ করে বলেন,নতুন গাড়ী সড়কে নামলেই রোট পারমিটের জন্য ১২০০ টাকা দিতে হয়। টাকা দিলেই সিরিয়াল নাম্বারের স্টিকার দেয়া হয়। তা না হলে গাড়ী চলতে দেয়া হয়না রোটে। টাকা কারা নিচ্ছে জানতে চাইলে ওই চালক বলেন,৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলের লোকজন নেয়। কোনাবাড়ী -কাশিমপুর রোটে আগে ১০ টাকা করে নিতো এখন তা বাড়িয়ে ২০ টাকা করে নেয়। কোনাবাড়ী কাশিমপুর আঞ্চলিক সড়কে কতগুলো ইজিবাইক অটোরিকশা চলে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এক থেকে দেড় হাজার। রস্তম আলী নামে আরেক চালক বলেন,২০ টাকা করে না দিলে গাড়ির পেছনে লোহার পাইপ দিয়ে বাড়ি দেয়। তখন মনে হয় এ বাড়ি গাড়ীতে দেয়নি যেন আমার কলিজায় দিছে। টাকা কারা নেয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, নেতারা নাকি নেয়। কোন নেতা নেয় নাম বলেনা লাইনমেনরা? এভাবেই কাশিমপুর টু নরসিংহপুর,কাশিমপুর টু জিরানী এবং কাশিমপুর টু শ্রীপুর প্রতিটি গাড়ী থেকে তোলা হচ্ছে টাকা। সিটি করপোরেশন এর ইউনিফর্ম পরা লাইন ম্যানদের টিম লিডার সেলিম মোল্লা টাকা তোলার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন আমরা যানজট নিরসনে ১৮ জন লাইনম্যান কাজ করি। টাকা তুলে আমরা নিজেরাই নেই। বিষয়টি ৬ নং ওয়ার্ড় কাউন্সিলর অবগত আছেন। এসময় তিনি বলেন, স্টিকার দিয়ে আমরা কোন টাকা নেই না। স্টিকার দিয়ে টাকা নেয় জনৈক হানিফ নামে একজন। মোবাইল ফোনে কথা হয় হানিফের সাথে তিনি বলেন, স্টিকার দিয়ে আগে টাকা  নিতাম।  এখন কাউন্সিলর এর লোকজন নেয়। মাঝে মধ্যে যদি কেউ বাসায় আসে তাহলে ৫০০ টাকা নিয়ে সিরিয়ালের জন্য স্টিকার দেই। তিনি বলেন আমি গাজীপুর পরিবহন শ্রমিক মালিক সমিতির সভাপতি সুলতান সরকারের আন্ডারে কাজ করতাম আপনি উনার সাথে কথা বলেন। এবিষয়ে জানতে কথা হয় গাজীপুর পরিবহন শ্রমিক মালিক সমিতির সভাপতি সুলতান সরকারের সাথে। তিনি বলেন, আমার লোকজন কোন টাকা নেয়না। শুনেছি স্থানীয় কাউন্সিলর এর লোকজন গাড়ী থেকে টাকা তোলে। 
স্থানীয় কাউন্সিলর মীর আসাদুজ্জামান তুলা জানান, যানজট নিরসনে ১৮ জন লাইনম্যান কাজ করে। আর এই টাকা  দিয়েই তাদের বেতন দেয়া হয়। আগে ৫০/৭০ টাকা নিতো আমি কাউন্সিলর হওয়ার পরে তা বন্ধ হয়েছে। বিষয়টি কাশিমপুর থানার ওসি সাহেবের সাথে বসেই করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন,কিছু দিনের মধ্যেই সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে কাশিমপুর স্ট্যান্ড টেন্ডার দেয়া হবে। 
জিএমপি কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবে খোদা  জানান,যানজট নিরসনে লোক নিয়োগ এবং টাকা তোলার বিষয়টি আমার জানা নাই। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর এর সাথে কথা বলবো।

আরও পড়ুন