পহেলা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের মহোৎসব

news paper

আবুল খায়ের

প্রকাশিত: ১৩-৪-২০২২ দুপুর ৪:৩৭

13Views

বাংলা দিন পঞ্জিকার প্রথম দিন বা পহেলা বৈশাখ। বিশে^র প্রায় সব দেশেরই একটি নিজস্ব সংস্কৃতি যেমন আছে, তেমনি আছে একটি নিজস্ব দিন পঞ্জিকা। আর এই দিন পঞ্জিকার আছে একটি চমকপ্রদ ও মজার ইতিহাস। বাংলা সন কবে থেকে গণনা শুরু হলো এই নিয়ে যদিও মত পার্থক্য আছে বিস্তর। তবে কিছু মূল বিষয়ে কারো কোনো দ্বিমত নেই। আগে হিন্দু সৌর পঞ্জিকা অনুসারে গ্রেগরীয় পঞ্জিকা এপ্রিল মাসের কোনো এক সময় হতে শুরু হতো। হিন্দু সৌর বছরের প্রথম দিন আসাম, উড়িষ্যা, কেরালা, বিহার, মনিপুর, বঙ্গ, নেপাল, পাঞ্জাব, তামিল নাড়ু এবং ত্রিপুরায় বহু আগে থেকেই পালিত হতো। চৈত্র সংক্রান্তি’সহ বেশ কিছু ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান ছিল সনাতন ধর্মের অনুসারীদের। যা এখনও দেখা যায়। তখন বাংলা নববর্ষকে ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে পালন করা হতো। কৃষিকাজ নির্ভর আমাদের সমাজে ফসল ওঠার মৌসুমকে একটা ফলপ্রসু সময় হিসেবে বিবেচনা করে প্রচলন লাভ করে হালখাতা। দোকানপাট, ঘরবাড়ি দোয়ামোছা করা হতো পবিত্রভাব নিয়ে আসার জন্য। এই রেওয়াজ এখনও আছে। দোকান’কে রঙিন কাগজে সাজিয়ে এবং মাইক বাজিয়ে উৎসবের আমেজ তৈরী করা হতো। পুরাতন বছরের হিসেব নিকেশকে বন্ধ করে নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে নতুন খাতায় স্থানান্তর করার রেওয়াজ অনেক পুরোনো। পুরান ঢাকা’সহ অনেক জায়গায় এখনও হালখাতা উৎসব ঘটা করে পালন করা হয় উৎসবের আমেজে। 
শাসনকার্য সুষ্ঠু ও সুচারুভাবে পরিচালনার জন্য অর্থনৈতিক ভিত্তি মজবুত জরুরি। খাজনা আদায়ের সুবিধার্থে ও সুষ্ঠুতা প্রণয়নের লক্ষ্যে মুঘল সম্রাট আকবর বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। তারই নির্দেশে বাংলার বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী ‘ফতেহউল্লাহ সিরাজি’ সৌর সন এবং আরবি হিজরী সনের ওপর ভিত্তি করে নতুন বাংলা সনের নিয়ম চালু করে ইতিহাসে বিখ্যাত হন। ১৫৮৪ সালের ১০ মার্চ বা ১১ মার্চ থেকে বাংলা সনের গণনা শুরু হয় বলে জানা যায়। যদিও এ গণনা পদ্ধতি কার্যকর করা হয় সম্রাট আকবরের সিংহাসন আরোহণের সময় থেকে অর্থাৎ ৫ নভেম্বর ১৫৫৬ সন থেকে। কেউ কেউ বলতো-ফসলি সন বা বঙ্গাব্দ অথবা বাংলা বর্ষ নামেও পরিচিত ছিল কারো কারো নিকট। আকবরের শাসনামলেই পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন শুরু করা হয়। খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে সকল প্রকার খাজনা, কর, শুল্ক ইত্যাদি পরিশোধ করার নিয়ম চালু ছিল। সেটাকে কঠোরভাবে পালন করার বিধান ছিল। বাঙ্গালি যেহেতু আপ্যায়নের খ্যাতি ছিল বহুকাল পুরোনো রীতি। কিছু পাইলে কিছু দিতে হয়, এই নীতিতে বিশ^াসী বলেই এরূপ প্রচলন। তাই ভদ্রতা বশত মিষ্টি মুখ বা মিষ্টি দ্বারা আপ্যায়ন করা হতো। এতে খাজনা প্রদানকারীরা কিছুটা হলেও উপভোগ করতো। কালে ভদ্রে ওটাই এখন উৎসবে পরিণত হয়েছে। ১৯৬৭ সালে সম্রাট আকবর কর্তৃক প্রবর্তিত বাংলা সাল আজ আর শুধু হালখাতা বা নতুন হিসেব খাতা চালু করার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। সারা বিশ^ব্যাপী তুমুল উৎসাহ ও মহা উৎসবে পালিত হয়ে আসছে বাংলা নববর্ষ। কবি গুরুর ভাষায়-এসো হে বৈশাখ এসো এসো। মাকসুদ ইন ঢাকা ব্যান্ডের গাওয়া ‘মেলায় যায় রে, বাসন্তী রঙের শাড়ি পরে ললনারা হেঁটে যায় রে’। এই গানটি এখন বৈশাখী মেলার ‘থিম সংয়ে’ পরিণত হয়েছে এবং মানুষের মুখে মুখে উচ্চারিত হয়।
নাট্যকার মান্নান হিরা’র রচনা, পান্তা-আকালি (উত্তর বঙ্গে কাঁচা মরিচ’কে আকালি বলা হয়) যারা দেখেছেন তারা বাংলার প্রকৃত রূপকে দেখার সুযোগ পেয়েছেন বলে মনে করি। বাংলার সেই ঐতিহ্যবাহী পান্তা ভাতের সাথে শুটকির ভর্তা বা শুকনো/কাঁচা মরিচের তৈরী বিশেষ ভর্তার জায়গায় কিভাবে ইলিশ মাছ চলে আসলো সেটা বলা বেশ কঠিন। কারণ যেদেশের মানুষের তিন বেলা মোটা ভাতই জোটেনা বলা হয়ে থাকে, তারা কীভাবে পান্তার সাথে এতো দামী মাছ তথা ইলিশ মাছ খাবে। এটা আসলে বেমানান। তবে ১৯৮৪ সাল থেকে পান্তা ইলিশের মাধ্যমে সূচনা হয় বৈশাখী উৎসব। যা পরবর্তীতে বিবর্তনের মাধ্যমে বর্তমান অবস্থায় সগৌরবে উপনীত হয়েছে বলে মনে করা হয়। পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশের আয়োজন শুরুর দিকে রমনার বটমূল, টিএসসি এলাকা এবং কিছু অভিজাত হোটেলে সীমাবদ্ধ থাকলেও পরবর্তীতে ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। চিন্তার বিষয় হলো এসময় ইলিশ মাছের চাহিদা ও দাম বেড়ে যায় কয়েকগুণ বেশী। সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে যায় দাম। কারো থাকে বেশী দাম দিয়ে বড় ইলিশ কেনার উচ্ছ্বাস আবার কারো না কিনতে পারার জন্য হতাশা। আর এ কারণে নানাভাবে প্রচার/প্রচারণা করে ইলিশ মাছের ওপর চাপ কমানো জন্য কাজ করতে দেখা যায় কিছু লোক ও সংগঠনকে। যদিও সেটা পর্যাপ্ত না। এ নিয়ে আরও কাজ করার সুযোগ আছে। ইলিশ মাছের পরিবর্তে অন্য যেকোনো মাছ হলেই তো চলে, এরকম প্রচারণা ও সচেতনতা বাড়ানো দরকার। অথবা সহজে পাওয়া যায় এমন যেকোনো মাছও হতে পারে আবার দামও সাধারণের নাগালের মধ্যে যেন থাকে, সেই দিকটা চিন্তা করার সময় এসেছে। আর এমনি এক মাছ আছে যা দেশের সব অঞ্চলে পাওয়া যায় এবং দামেও অপেক্ষাকৃত সস্তা অন্য মাছের তুলনায় যেমন- ‘পাঙ্গাশ মাছ’ হতে পারে পান্তার সাথে। গরীবদের অভাব ও অনটনের জন্য পান্তা খাওয়া এখন ধনীদের সেটা ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। যা আসলে হৃদয় দিয়ে অনুভব করার বিষয়।
কিছু সাংস্কৃতিক সংস্থা/সংগঠন আছে, যারা দেশীয় সংস্কৃতিকে ধরে রেখেছে আকাশ সংস্কৃতির আগ্রাসন ও নানান প্রতিকূলতার মধ্যেও। যারা পহেলা বৈশাখকে উৎযাপনের জন্য বর্ষ পরিকল্পনা তৈরী করে থাকে এবং সেইভাবে প্রস্তুতিও নিয়ে থাকেন। প্রায় সারা বছরই চলে মহড়া, যাতে করে অনুষ্ঠানগুলো উপভোগ্য এবং দর্শক নন্দিত হয়। ঢাকার ‘ছায়ানটের’ বর্ষবরণের জন্য রমনার বটমূল আজ ইতিহাস। প্রতিবারই থাকে রমনার বটমূলে ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন রকমের দেশীয় সংস্কৃতির এক প্রাণবন্ত পরিবেশনা। এক সময় শুধু দেশীয় গান ও আবৃত্তির আসর হলেও বর্তমানে দেশের প্রথম সারির গায়ক-গায়িকা/ব্যান্ড তারকারা গান পরিবেশন করে থাকে উক্ত মঞ্চ থেকে। দেশীয় লোক সংগীত, বাউল গান, নাচ, আবৃত্তি’সহ নানান রকমের মনোরম অনুষ্ঠান শুরু হয় একেবারে সকাল সকাল। সন্ধ্যা পর্যন্ত একটানা চলে উক্ত অনুষ্ঠানমালা। সাংস্কৃতিক পরিবেশনার পাশাপাশি থাকে দেশীয় আমেজে বৈশাখী মেলা। মেলায় পান্তা ইলিশ’সহ বিভিন্ন রকমের দেশীয় খাবারের আয়োজন থাকে দিনব্যাপী। পথ নাটক, নাগরদোলা ও পুতুল নাচ মেলার নান্দনিক সৌন্দর্যকে আরো বৃদ্ধি করে। রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দি উদ্যান, শাহবাগ’সহ ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় এলাকায় মানুষের উচ্ছ্বাস না দেখলে বিশ^াস করা যাবে না। নতুন নতুন পোষাকে সজ্জিত হয়ে আবাল বৃদ্ধ সবাই যেন অনাবিল উৎসবে মেতে ওঠে।
বিশে^র অন্যান্য দেশের ন্যায় আমাদের দেশেও ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ এক নব দিগন্তের সূচনা বাংলা সংস্কৃতির জন্য। প্রতি বছর ঢাকা’র চারুকলা বিভাগ কর্তৃক আয়োজন করা হয়ে থাকে ঐতিহ্যবাহী মঙ্গল শোভাযাত্রা। জয়নুল গ্যালারীতে থাকে নতুন ও প্রবীণ শিল্পীদের আঁকা চিত্র প্রদর্শনী যোগ করে নতুন মাত্রা। বাঙ্গালি ঐতিহ্যকে নানান রকমের প্রতিকৃতি দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয় মঙ্গল শোভাযাত্রায়। শাহবাগ’সহ আশপাশের এলাকাগুলোতে পায়ে হেঁটে নেচে গেয়ে প্রদক্ষিণ করে বর্ণিল সাজে। শোভাযাত্রাটি একটি বাঙ্গালী ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। অনেক বড় বড় আকৃতির ও দৃষ্টি কাড়া রং এবং কারুকার্যে খচিত ওইসব প্রতিকৃতি তৈরীতে চারুকলার ছাত্র-ছাত্রীদের বহুদিনের প্রস্তুতি ও পরিশ্রমের ফসলও বটে। হাত পাকা, মাটির কলসি, নব বধূর সাজে বাঙ্গালি মেয়ে ইত্যাদির প্রদর্শন করার একটা চেষ্টা থকে। তবে কিছু কিছু প্রতিকৃতি নিয়ে বিতর্ক আছে বিস্তর। যা বাঙ্গালি সংস্কৃতির সাথে যায় না! কোথায় থেকে আসলো কীভাবে ঢুকে পড়েছে বাঙালি সংস্কৃতিতে।
বাংলা একাডেমি বছরের প্রথম দিনটিকে গান ও কবিতায় বরণ করে থাকে। যেহেতু বাংলা সাহিত্য চর্চার কেন্দ্রবিন্দু বাংলা একাডেমি, সেহেতু এখানে অনুষ্ঠানমালা থাকে একটু ভিন্ন স্বাদের ও দেশীয় আমেজে। শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে থাকে বৈশাখী মেলা। দেশীয় খাবার, হস্ত ও কুটির শিল্প সামগ্রীর পশরা থাকে ওই মেলায়। শিল্পকলা একাডেমি-গান, নাচ, আবৃত্তি ও বাউল গানের আসর থাকে সারা দিনব্যাপী। টিএসসি চত্বর-সারা দিনব্যাপী কনর্সাট ও আড্ডায় ভরে থাকে। ডাচ ও টিএসসি চত্বর হয়ে ওঠে নতুন ও পুরাতন শিক্ষার্থী এবং দর্শনার্থীদের মিলন মেলা। সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকে মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর। এখানে দিনব্যাপী থাকে আবৃত্তি’সহ নানান আয়োজন। শিশুপার্কের আকর্ষণীয় রাইডের পাশাপাশি থাকে দেশীয় সংগীত চর্চার ঐতিহ্যবাহী সংগঠন ঋষিজ শিল্পগোষ্ঠীর আয়োজনে দেশাত্মবোধক গানের আসর ও গণ সংগীত, যা দর্শকদের মাতিয়ে রাখে। প্রতিবন্ধী ও ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিশেষ সুবিধায় জাতীয় যাদুঘর পরিদর্শনের সুযোগ থাকে পহেলা বৈশাখে। যাদুঘর প্রাঙ্গণে থাকে দেশীয় পিঠার উৎসব’সহ নানান আয়োজন।
পুরান ঢাকা’সহ সারা ঢাকা শহর জুড়ে থাকে নানান বর্ণিল আয়োজন। রবীন্দ্র সরোবর, ধানমন্ডি লেক, কলাবাগান, বনানী মাঠ এবং গুলশান ক্লাব মাঠ, ওয়ান্ডার ল্যান্ড ও রাজউক কলেজ মাঠ’সহ ইত্যাদি এলাকাগুলোতে থাকে বিশেষ বিশেষ মেলা, ফ্যাশন শো, কনর্সাট ইত্যাদি অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী।  
পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি তাদের নিজেদের মতো করে বর্ষবরণ করে থাকে। এর মধ্যে প্রধান তিনটি নৃ-গোষ্ঠি যেমন-ত্রিপুরা, মারমা এবং চাকমা। সাম্প্রতিক সময়ে তিনটি জাতিগোষ্ঠি যৌথভাবে পালন করে থাকে ‘বৈসাবি উৎসব’। বৈসাবি মানে হচ্ছে-ত্রিপুরাদের বৈশুখ, মারমাদের সাংগ্রাই ও চাকমাদের বিজু উৎসব। এসব পালন করার রেওয়াজ বহু পুরোনো। আর এসব উৎসব পালিত হয়ে আসছে নিজেদের সাংস্কৃতিক ঢং ও ভাব ধারায়। মারমাদের পানি মারার উৎসব অনেকটা থাইল্যান্ডের অধিবাসীদের মতোই মজার খেলা।
রাজধানী শহর ঢাকা ছাড়াও দেশের সব জেলা শহর, উপশহর, উপজেলা শহর’সহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ও বিখ্যাত জায়গায় পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান ও মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে আজ ‘পহেলা বৈশাখ’ সারা বিশে^র বাঙালিদের কাছে এক উৎসবের নাম।
সাধারণ ও নিম্নমধ্যবিত্ত ঘরের গ্রামের ছেলে-মেয়েরা সারা বছর টাকা জমা করে। বিভিন্ন সময়ে প্রাপ্ত উপহার/সেলামীর টাকা অথবা টিফিনের টাকা খরচ না করে মায়ের কাছে অথবা মাটির ব্যাংকে জমানো হয় বৈশাখী মেলায় খরচ করার জন্য। তার মানে হলো অনেক ছোট বয়স থেকেই আমাদের ছেলে-মেয়েরা মেলায় যাওয়ার দীক্ষা গ্রহণ করে থাকে। তবে গ্রামে এখনও অনেক কুসংস্কারও আছে পহেলা বৈশাখ’কে ঘিরে। যেমন-ওই দিনে ভালো খেতে হবে, ভালো খেলে সারা বছর ভালো খাওয়া যাবে; কোনো বাকি দেয়া যাবে না, কারণ ওইদিন বাকি দিলে সারা বছর বাকি চলে যাবে, তাই দোকানিরা বাকি দিতে চান না; দরকার না হলেও কিছু জিনিস কিনতে হয়, কারণ ওইদিন কেনা-কাটা করলে সারা বছর কেনা-কাটার ক্ষমতা থাকবে বিরাজমান, অভাব আসবে না ইত্যাদি। তবে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বৈশাখী মেলা বাংলা ও বাঙালির প্রাণের উচ্ছ্বাস ও মহোৎসব, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। নতুন বছর নিয়ে আসুক নতুন চিন্তার খোরাক, নতুন ভাবনার দরজা হোক উন্মুক্ত।

 (লেখক: কবি ও কলামিস্ট).


আরও পড়ুন