শরীফের দুদকের চাকরিতে পুনর্বহালের আবেদন নাকচ

news paper

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯-৫-২০২২ সকাল ৮:২৫

19Views

চাকরিচ্যুতির পর পুনর্বহালের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করেছিলেন কমিশনের অপসারিত উপসহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিন চৌধুরী। তার আবেদন পর্যালোচনার পর কমিশন তা বিবেচনায় নেয়নি বলে জানিয়েছে দুদক। দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) জিয়াউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক নথিতে গতকাল মঙ্গলবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নথিতে বলা হয়েছে, ‘দুদকের চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৭ ফেব্রুয়ারি আদেশ প্রত্যাহার করে পুনর্বহালের আবেদন করেন শরীফ। আবেদনটি পর্যালোচনা করার পর কমিশনের কাছে এটি বিবেচিত হয়নি।’

শরীফ দুদকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ে থাকার সময় নানা তদন্ত চালিয়ে আলোচিত হন। তাকে সেখান থেকে বদলি করা হয় পটুয়াখালীতে। পরে ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

চাকরি থেকে অব্যাহিতর পর শরীফ দাবি করেন, তিনি প্রভাবশালীদের রোষানলের শিকার। শরীফ সে সময় দাবি করেন, চাকরি থেকে অপসারণের মতো কোনো কাজ তিনি করিনি।

চাকরি হারানোর ১১ দিন পর এটি ফিরে পেতে কমিশনে আবেদন করেন তিনি। সে সময় তিনি বলেন, ‘কোনো ধরনের কারণ দর্শানোর নোটিস ছাড়াই আমাকে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়। এটি সংবিধানের ১৩৫(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন। এছাড়া দুদকের চাকরি বিধিমালা-২০০৮-এর ৪৮ নম্বর বিধি অনুযায়ী, দুদকের বিরুদ্ধে ১৫ দিনের মধ্যে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি পুনরায় নিরীক্ষণের আবেদন করতে পারে।’

আবেদনে শরীফ উল্লেখ করেন, কমিশনের কর্মকর্তা হিসেবে থাকার সময় তিনি ৭০টির বেশি মামলার সুপারিশ, মামলা ও অভিযোগপত্র জমা দেন। চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২-এ কর্মরত অবস্থায় প্রায় ৭০টি অভিযোগ ও ৪২টি মামলা তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। অনুসন্ধানে এসব ঘটনার সঙ্গে জনগুরুত্বপূর্ণ ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য এবং প্রশাসনের কর্মকর্তাদের যোগসাজশ পান।

চাকরি ফিরে পাওয়ার আবেদনের পাশাপাশি উচ্চ আদালতের দুদককে দেয়া আদেশ চ্যালেঞ্জ করে রিটও করেন শরীফ। রিটটি এখনো নিষ্পত্তি হয়নি।


আরও পড়ুন