ডাঃ সামিনা আরিফের একান্ত সাক্ষাৎকার....

হোমিও চিকিৎসায় রাষ্ট্রীয় অংশীদারিত্ব বাড়ানো জরুরী

news paper

জাহিদুল ইসলাম শিশির

প্রকাশিত: ৩০-৫-২০২২ দুপুর ৪:৩৬

53Views

ডাঃ সামিনা আরিফ। একজন শিক্ষক। একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক। একজন স্বপ্নদর্শি মানুষ। বাংলাদেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেন। একটি উন্নত আত্মমর্যাদাশীল জাতি গঠনে অবদান রাখতে চান। তিনি মনে করেন হোমিও চিকিৎসা ক্ষেত্রে রাষ্টীয় অংশীদারিত্ব বাড়ানো এখন সময়ের দাবি। সমাজের নানা বৈষম্য তাকে পীড়া দেয়। তিনি শিশুদের নিয়ে অতিমাত্রায উদ্বিগ্ন। অটিজম, শিশুদের মানুসিক স্বাস্থ্যের মতো বিষয়গুলো সব চেয়ে বেশী ভবায় তাকে। একজন শিক্ষক হিসেবে, একজন  চিকিৎক হিসেবে তার ভাবনার  সে  সব কথা গুলো দৈনিক সকালের সময় তুলে এনেছে একান্ত সাক্ষাৎকারে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন দৈনিক সকালের সময়ের বিশেষ প্রতিনিধি জাহিদুল ইসলাম শিশির। তার কাছে প্রশ্ন ছিলো...
 
সকালের সময়ঃ  বাংলাদেশে হোমিও চিকিৎসা শিক্ষায় বয়সের কোন বাধ্যবাধকতা নাই কেন? বয়সের বাধ্যবাধকতা না থাকাতে কি মেডিকেল শিক্ষার ত্রুটি হিসেবে দেখা যাবে।
ডাঃ সামিনা আরিফঃ  বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষায় বয়সের কোন বাধ্যবাধকতা নাই তা একাংশে ঠিক নয়। আমাদের দেশে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষায় দুই ধরনের কোর্স চালু আছ যথা- BHMS (Bachelor of Homoeopathic Medicine & Surgery) অপরটি DHMS (Diploma of Homoeopathic Medicine & Surgery). BHMS  ডিগ্রীটি ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত যেখানে অন্যান্য চিকিৎসা শিক্ষার মত নির্ধারিত বয়স ও যোগ্যতা ছাড়া শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার জন্য যোগ্য নয়। ঠিক তেমনি হোমিওপ্যাথিক ডিগ্রী কোর্সে শুধু বয়সের বাধ্যবাধকতা না অন্যান্য যোগ্যতাও অপরিহার্য। তবে বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা, আমাদের দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার আলোকে এবং সরকারী ঘোষনা অনুযায়ী কেউ যেন বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু বরণ না করে তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে দেশের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষায় কিছুটা বয়সের শিথীলতা আনা হয়েছে এই উরঢ়ষড়সধ কোর্সটিতে। সরকারী ভাবে আইন দ্বারা স্বীকৃত পন্থায় সকলের জন্য স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থা করার লক্ষ্যে বয়সের বাধ্যবাধকতা না রেখে হোমিওপ্যাথিক উরঢ়ষড়সধ কোর্সটি প্রবর্তন করা হয়েছে যা মেডিকেল শিক্ষার ত্রুটি হিসাবে দেখা যাবে না। আমাদের বেশীর ভাগ শিক্ষার্থীরাই উচ্চ শিক্ষিত, প্রবল পড়ার ইচ্ছা শক্তি এবং যাদের নিজেদের চিকিৎসা সেবায় জড়িত করার ইচ্ছা থাকেন তারাই ভর্তি হন। বলা বাহুল্য উরঢ়ষড়সধ কোর্সটিতে ৪ বছরে ২৩টি বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা সহ ব্যবহারিক শিক্ষাও প্রদান করা হয়। তারপর ৬ মাসের ইন্টার্ণশীপ করতে হয়। প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থীদের প্রি মেডিকেল বিষয়ে শিক্ষা প্রদান করা হয়।

সকালের সময়ঃ বর্তমান বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথিক শিক্ষার রাষ্ট্রীয় অংশীদারীত্ব কতটুকু। চিকিৎসা বাজেটের কতটুকু যাচ্ছে এ খাতে এ নিয়ে আপনাদের কোন বক্তব্য আছে কিনা।

ডাঃ সামিনা আরিফঃবর্তমানে বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথিক শিক্ষার রাষ্ট্রীয় অংশীদারীত্ব আছে তবে তা চাহিদার চেয়ে একবারেই অপ্রতুল। বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের অধীনে ৬৫টি উরঢ়ষড়সধ কলেজ রয়েছে। প্রাকটিক্যাল ক্লাসগুলোর আধুনিকায়ন, চিকিৎসা শিক্ষার মানোয়ন্নের জন্য একটি লাইব্রেরী এবং হাসপাতাল গুলো চিকিৎসা সেবা দেবার মত আধুনিক করে তুলতে বিপুল পরিমান অর্থের প্রয়োজন। মাননীয় অর্থ মন্ত্রী, স্বাস্থ্য মন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর নিকট  আমাদের আকুল আবেদন যথা- (১) প্রতিটি কলেজকে প্রাকটিক্যাল যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য, সংযুক্ত হাসপাতালে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, বহিঃবিভাগ চালু, একটি উন্নত মানের লাইব্রেরীর জন্য অনুদান দেয়া প্রয়োজন (২) শিক্ষকদের জন্য বর্তমানে সরকারী বেনিফিটে ১০০% উন্নতিকরণ। (৩) হোমিওপ্যাথিক শিক্ষকদের ও চিকিৎসকদের  প্রশিক্ষণ সহ সরকারী কাজে অর্ন্তভূক্ত করন বিশেষ ভাবে প্রয়োজন।

সকালের সময়ঃ  বর্তমান সরকার দেশে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের জন্য বিশেষ কোন সুযোগ বা সুবিধা তৈরী করেছে কি? করলে তা কি কি?
ডাঃ সামিনা আরিফঃ  বর্তমান সরকার দেশে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের জন্য সুযোগ বা সুবিধা তৈরী করেছে যথা- (১) স্বাস্থ্য সেবায় জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি ও ঔষধনীতি অর্ন্তভূক্ত হয়েছে। (২) প্রকেেল্পর অধীনে জেলা উপজেলায় সরকারী হাসপাতালগুলোতে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। (৩) স্বাস্থ্য সেবা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা কার্যক্রমে অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে। (৪) সরকারী বেসরকারাী ভাবে স্থাপিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোকে সরকার কর্তৃক অনুমোদন দেয়া হচ্ছে। (৫) হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা আইন তৈরী করা হচ্ছে। (৬) সরকার এ খাতের উন্নয়নে বাজেট বরাদ্দ দিচ্ছে।

সকালের সময় ঃ একজন তরুন শিক্ষার্থী কি কি কারণে ক্যারিয়ার হিসেবে হোমিও চিকিৎসাকে গ্রহন করতে পারেন বলে আপনি মনে করেন। 
ডাঃ সামিনা আরিফ ঃ একজন তরুন শিক্ষার্থী নিম্নলিখিত কারণে এ শিক্ষা গ্রহন করতে পারেন- (১) চিকিৎসা পেশাই হলো একটি সর্বোত্তম সম্মানজনক, সেবামুলক ও মহৎ পেশা। (২) যেহেতু হোমিওপ্যাথি ঔষধ সুলভ মূল্য, সহজ প্রাপ্ত, পাশর্^ প্রতিক্রিয়াহীন একটি আদর্শ চিকিৎসা পদ্ধতি সেহেতু অল্প পুজিতে একজন প্রতিষ্ঠিত চিকিৎসক হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারে। (৩) ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে সেবার সুযোগ রয়েছে (৪) সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে চাকুরীর সুযোগ, শিক্ষকতা ও চিকিৎসক হিসেবে প্রতিষ্ঠার সুযোগ রয়েছে (৬) হোমিওপ্যাথিক ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানী গুলোতে চাকুরীর সুযোগ রয়েছে। সেখানে ম্যনুফ্যাকচারীং এবং মার্কেটিং এর মত আর্কষনীয় চাকুরীর সুযোগ রয়েছে।

সকালের সময়ঃ একজন প্রফেশনাল হিসেবে আপনি বলবেন কি এ পেশা আপনাকে কতটা গর্বিত বা সম্মানীত করেছেন।
ডাঃ সামিনা আরিফঃ  একজন প্রফেশনাল হিসেবে আমি সত্যিই গর্বিত। আমি হোমিওপ্যাথিতে শিক্ষকতার মত মহৎ পেশায় জড়িত আছি তাই খুব গর্ববোধ করি কারণ প্রতি বছর কয়েক একশো শিক্ষার্থী ডাক্তার হিসাবে পাশ করে বের হচ্ছেন সত্যিই তা অনেক গর্বের বিষয়। বেশীর ভাগ চিকিৎসকরাই শিক্ষকতা বা চিকিৎসা সেবা দিয়ে সমাজের ও দেশের মানুষকে স্বাস্থ্য সেবায় বিশেষ অবদান রাখছেন। আমি আরো গর্ববোধ করি এইজন্য যে, আমার বাবা ডাঃ শামশুদ্দোজা আরিফ, সাবেক অধ্যক্ষ, ফেডারেল হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ। যিনি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ও  শিক্ষার মান উন্নয়ন, শিক্ষকদের উন্নয়ন এবং বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক ফার্মাকোপিয়া তৈরীতে সরকার কর্তৃক মনোনীত সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর হোমিওপ্যাথির উপর নিঃস্বার্থ ও অকৃত্রিম ভালবাসা আমাকে অনুপ্রানীত করে।

সকালের সময়ঃ  আর্থিক স্বাধীনতা অর্জনে এপেশা কতটুকু আর্কষনীয় হতে পারে।
ডাঃ সামিনা আরিফঃ আসলে সত্যি কথা বলতে হোমিওপ্যাথি আর্থিক দিক থেকে আর্কষনীয় কোন পেশা নয়। এখনও সেবামূলক পেশা বলে মানুষের কাছে জনপ্রিয়। তবে এই পেশা একটি মহৎ  ও সম্মানজনক পেশা। মূলত এই চিকিৎসা সেবা নিম্ন মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তরাই বেশী চিকিৎসা সেবা গ্রহন করে থাকেন। তবে এ পেশায় স্বনির্ভরতা ও সচ্ছলতা আছে। 
সকালের সময়ঃ  হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাকে আধুনিকায়ন করতে এখানে আরো কিকি করা প্রয়োজন রয়েছে বলে আপনি মনে করেন।
ডাঃ সামিনা আরিফঃ  আমি মনে করি (১) খুবই জরুরী ভিত্তিতে জাতীয় পর্যায়ে একটা রিসার্চ সেন্টার করা প্রয়োজন। (২) একটি পূনাঙ্গ আধুনিক হাসপাতাল প্রয়োজন (৩) হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় আধুনিক প্রযুক্তি সংযুক্ত করা প্রয়োজন (৪) জেলা, উপজেলা ও কমিউনিটি ডাক্তাদের নিয়োগ দেয়া প্রয়োজন। (৫) ডিগ্রী প্রাপ্ত হোমিও চিকিৎসকদের মাষ্টারস কোর্স চালু করা অথবা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজে হোমিওপ্যাথিক ফ্যাকাল্টি চালু করা যেতে পারে। ডিপ্লোমা ধারীদের ব্যাচেলর ডিগ্রী কোর্স করার সুযোগ দেয়া প্রয়োজন। (৬) ডিগ্রী ও ডিপ্লোমা দুিটর সিলেবাসে কোর্স কারিকুলাম আরো আপগ্রেড করা প্রয়োজন। (৭) হোমিওপ্যাথিক কলেজগুলোতে প্রাকটিক্যাল যন্ত্রপাতি আধুনিকায়ন করা প্রয়োজন। (৮) সরকারী ও বেসরকারী হাসপাতালগুলোতে আউট ডোর সেবা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। (৯) কলেজ গুলোর সহিত সংযুক্ত হাসপাতালগুলোতে আধুনিক প্রযুক্তির সংযোজন প্রয়োজন। (১০) বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয়ের লক্ষ্যে ভেষজ জাতীয় উদ্যান তৈরী করা খুবই প্রয়োজন।

সকালের সময়ঃ  আর্ন্তজাতীক অংগনে এ চিকিৎসা কোন মানদন্ড রয়েছে কি?
ডাঃ সামিনা আরিফঃ  আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা যথেষ্ট মানদন্ড রয়েছে। নিম্নলিখিত অবস্থা ও ব্যবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এই মানদন্ড নির্ধারন করতে পারি। যথা (১) হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ব্যবস্থা বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক স্বীকৃত ও অনুমোদিত (২) বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রায় ৩০% মানুষ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সেবা গ্রহন করেন। (৩) হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতি একটি বিজ্ঞান ভিত্তিক অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতির ন্যায় আধুনিক। (৪) আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মানদন্ড আছে বলেই দেশে দেশে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানগনের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক সংযুক্ত রয়েছেন। (৫) এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে ব্যবহার্য ঔষধ বা ঔষধী সামগ্রী আর্ন্তজাতিক ভাবে স্বীকৃত ফার্মাকোপিয়া যথা- জার্মান হোমিওপ্যাথিক ফার্মাকোপিয়া (এঐচ) ব্রিটিশ হোমিওপ্যাথিক ফার্মাকোপিয়া (ইঐচ), ইউনাইটেড স্টেট অব হোমিওপ্যাথিক ফার্মাকোপিয়া (ঐচটঝ), বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক ফার্মাকোপিয়া, হোমিওপ্যাথিক ফার্মাকোপিয়া অব ইন্ডিয়া (ওঐচ) অনুসরণ করা হয় (৬) এটি একটি সর্বাধনিক বিজ্ঞান সম্মত নীতিমালার উপর প্রতিষ্ঠিত যা অনুসরণে বর্তমানে অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতিতে অনুঃসৃত হচ্ছে। (৭) হোমিওপ্যাথিক চিকিৎমা ব্যবস্থাটি আর্ন্তজাতীক ভাবে স্বীকৃত হওয়ায় ইহার মানদন্ড নির্ধারনে ডঐঙ বিশেষ করে ঔষধ প্রশাসন হোমিওপ্যাথিক ঔষধের মানদন্ড বজায় রাখা বা উন্নয়নের লক্ষে নতুন নতুন রেগুলেটরী আইন প্রনয়নে উদ্যোগী হচ্ছে।

সকালের সময়ঃ   আপনার যদি কিছু বলার থাকে-
ডাঃ সামিনা আরিফঃ সরকারী পৃষ্ঠোপোষকতা আমাদের অবশ্যই প্রয়োজন আছে তবে পাশাপাশি আমি বিত্তবানদের হোমিওপ্যাথিক উন্নয়নে এগিয়ে আসার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। আমরা খুবই বিচ্ছিন্ন ভাবে হোমিওপ্যাথ ডাক্তারা অটিস্টিক বৈশিষ্ট সম্পন্ন শিশুদের নিয়ে কাজ করে চলেিেছ তাই আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিকট অটিস্টিক বৈশিষ্ট সম্পন্ন শিশুদের নিয়ে কাজ করার সুযোগ দেয়ার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। সর্বশেষে আমি বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে আাপনাদের মাধ্যমে জানাতে চাই যে কখনও যদি হোমিওপ্যাথির উন্নয়নে আমার সামান্য মেধা ও পরিশ্রম কাজে লাগে তা দিতে আমি বদ্ধপরিকর। 
সকালের সময়ঃ দেশের তরুণ প্রজন্মের প্রতি আপনারপরামর্শ কি?
ডাঃ সামিনা আরিফঃ দেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে আমার প্রত্যাশা অনেক। আগামী দিনে তারাই এদেশটার নেতৃত্ব দিবে। এখনকার সময়টা একটু অন্যরকম। এখন সব কিছু গ্লোবালই ভাবার সময়। একজন তরুণকে এখন সকল ক্ষেত্রে বিশ^মানের হয়ে গড়ে উঠতে হবে। কারণ তার প্রতিযোগিতা বিশ^ব্যাপি। এ কারণে শিক্ষায়, স্বাস্থ্যে আচরণে মানুসিকতায় তাকে বিশ^ মানের হতে হবে। না হলে প্রতিযোগিতায় টেকা কঠিন। এসব বিবেচনায় তাকে মাদক, ছাড়তে হবে। নেশা ছাড়তে হবে সুস্থ্য শরীর মন নিয়ে তাকে এগোতে হবে। এ কথা মাথায় রেখে তরুণরা আগামী দিনের বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুুতি নিলে আমরা আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে অচিরেই নিজেদের আসন বিশ^সভায় নিশ্চিত করতে পারবো। যে স্বপ্নটি আমাদের জাতির পিতা দেখেছিলেন। আর তা বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তার সুযোগ্য উত্তরাধিকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 
পড়ন্ত বিকেলে মীরপুরে ডাঃ সামিনা আরিফের সাথে কথা বলতে বলতে আলোক রশ্মি  ম্লান হয়ে আসছিলো।  আমাদের উঠে পড়ার তাড়া ছিলো। ঠিক সে সময়ে আশার কথা শোনালেন ডাঃ সামিনা। বল্লেন, দেখবেন সব বাধা পেরিয়ে এ দেশে একদিন সবাই যার যার জায়গা থেকে মর্যাদা পাবে। আমাদের দেশটাকে সম্মান করবে সমগ্র বিশ^। ফিরতে ফিরতে আমরাও বল্লাম  তাই যেন হয়..। 

 


আরও পড়ুন