বসুন্ধরা মিডিয়া এওয়ার্ড ও করপোরেট দায়

news paper

জাহিদুল ইসলাম শিশির

প্রকাশিত: ৩১-৫-২০২২ রাত ১০:৯

7Views

দেশের অন্যতম সেরা শিল্প পরিবার বসুন্ধরা গ্রুপ দেশের মেধাবি সাংবাদিকদের জন্য প্রনয়ন করেছে বসুন্ধরা মিডিয়া এওয়ার্ড। গত সোমবার রাতে সে এওয়ার্ড ও সম্মানী  আড়ম্বরপূর্ণ এক অনুষ্ঠানে তুলে দেয়া হয় সাংবাদিকদের হাতে। সেই সাথে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত হাজার খানেক সংবাদ কর্মি উপস্থিত হয়েছিলেন সে অনুষ্ঠানে। তাদের সবাইকে যথাযোগ্য সম্মান জাননো ও আপ্যায়নের সব আয়োজন ছিলো অনুষ্ঠানের পুরো সময় জুড়ে। বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবার সোবহান তার বক্তব্যে জানালেন,বসুন্ধরা মিডিয়া এওয়ার্ডকে আগামী বছর থেকে আরো বেশী হৃদয়গ্রাহি ও মর্যাদাপূর্ণ করার সব উদ্যোগ নেবেন তিনি।

এ বছর এওয়ার্ড প্রাপ্তরা প্রত্যেকে পেয়েছেন দুই লাখ ৫০ হাজার টাকার চেক, ক্রেস্ট ও সনদ। আগামী বছর প্রতিটি এওয়ার্ডের মুল্য হবে ১০ লাখ টাকা। সাংবাদিকদের সম্মানীত করা সে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। অন্যানের মধ্যে প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম ও বসুন্ধরা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২১ এর জুরি বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান । প্রফেসর ড. গোলাম রহমান দেশের সাংবাদিকতার ইতিহাসের এক অতি উজ্জল নাম। তিনি ছিলেন জুরি বোর্ডের প্রধান। যা এওয়ার্ডি নির্বাচনের পুরো প্রক্রিয়াকে  অনেক বেশী স্বচ্ছতা দিয়েছে। অনুষ্ঠানে টেলিভিশন, প্রিন্ট ও অনলাইনের ৯ জন রিপোর্টারকে মুক্তিযুদ্ধ, অপরাধ ও দুর্নীতি এবং নারী ও শিশু ক্যাটাগরিতে তাদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। আলোকচিত্র ও ভিডিওচিত্রের জন্য দুজন সাংবাদিককেও দেওয়া হয় এ অ্যাওয়ার্ড। এছাড়া সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য জেলাভিত্তিক ৬৪ জন সাংবাদিককে দেওয়া হয় সম্মাননা। এওয়ার্ড দেয়া ও পাওয়ার এ সংস্কৃতি নতুন কোন বিষয় নয়। রাষ্ট্র নিজে এবং কখনো কখনো দেশী বিদেশী সংস্থা, সংগঠন সাংবাদিকদের সম্মাননা দিয়ে থাকে। কিন্তু বসুন্ধরা মিডিয়া এওয়ার্ড  এ ক্ষেত্রে নতুন এক সংস্কৃতি বা দৃষ্টিভঙ্গি সামনে এনেছে। আর তা হচ্ছে কর্পোরেট দায় মেনে নেয়া। যে কোন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান তাদের সামাজিক দায় সামনে আনলে ভেতর থেকেই অনেক পরিবর্তন সূচিত হতে থাকে। ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি পরিবেশ ও প্রতিবেশের রক্ষার কমিটনেমন্ট ভেতর থেকেই বেড়ে যায়। বেড়ে যায় কর্মি ও অন্যান্য সামজিক সংগঠনকে ভাল রাখা ও সহযোগিতার মহতী দায়। সেই সাথে রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক মহলের চাহিদায় টেকসই উন্নয়নের গতিধারাতেও ইতিবাচক পরিবর্তন আসে। যেমনটি স্বগর্বে ঘোষণা করলেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। তিনি হাজারো গণমাধ্যম কর্মি রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল কর্তা ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে জানালেন, বসুন্ধরা গ্রুপ কোথায়ও কোন অপরাধ করেছে, কোন ব্যক্তি বা রাষ্ট্রের একটুকরা জমি দখল করেছে বা টাকা না দিয়ে জমি নিয়ে নিয়েছে এমন প্রমান দিতে পারলে ব্যবসা ছেড়ে দিব। তিনি চমৎকার ভাবে আরো একটি বক্তব্য রেখেছেন । তিনি বলেছেন, আমরা গণমাধ্যমে প্রবেশ করেছি খুব বেশী দিনের কথা নয়। কিন্তু এটা বলতে পারি আমরা গণমাধ্যমে বিনিয়োগের সময়কাল থেকে এদেশের গণমাধ্যম কর্মি বা সংবাদ কর্মিদের জীবনমানে একটি পরিবর্তন  এসেছে। সাংবাদিকের জীবন মানেই কষ্টের! এ ধারাটা পাল্টে যেতে শুরু করেছে।  সামনের  দিনে আমরা আমাদের দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে আরো কিছু করার চেষ্টা অবশ্যই করবো। এখানেই যোগ হয়েছে নতুন সংস্কৃতি। আমাদের গণমাধ্যমে কর্পোরেটপূঁজি প্রবাহ বাড়ছে। সেই সাথে বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয় থেকে মিডিয়া বিষয়ে  লেখা পড়া করা জনশক্তি প্রতিনিয়তই যোগ হচ্ছে এ খাতে। তারা তাদের মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে বিশ^ প্রতিযোগিতায়  বাংলাদেশকে নিয়ে যাচ্ছে এ ক অন্যান্য উচ্চতায়। কারণ উন্নত দেশ হিসেবে বিশ^সভ্যতায় নিজেদের অবস্থান যে শুধূ বানিজ্যিক উন্নয়ন বা অবকাঠামো উন্নয়ন দিয়ে নিশ্চিত করা যাবে না। এখানে মেধা ও গবেষনার খাতকে উন্নত হতে হবে। সেবার্তাটি ভেতর থেকেই হয়তো দিতে চেয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ।  তারা  সবার আগে এগিয়ে এসেছে। এ অনুষ্ঠানটিকে অনেকেই নিছক একটি অনুষ্ঠান ও সাধারণ বাহাবা কুড়ানোর প্রক্রিয়া হিসেবে দেখতেই পারেন। কিন্তু তা দূরদর্শি সাংবাদিকতার দায় বোধের বার্তাটি তা মোটেও বলে না। বরং দেশের সেরা ব্যবসায়িক শিল্পগ্রুপ হিসেবে আগামী দিনের টেকসই উন্নয়নে বসুন্ধরা গ্রুপ যে তাদের দায়বোধর জায়গাটি মাথায় রেখেছে, এটা তারই সুদুর প্রসারি ও স্পষ্ঠ্য বার্তা।

বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে আরো বলেছেন এ অনুষ্ঠান আয়োজন সম্পর্কে আমি তেমন কিছ্ ু জানতাম না। এটি নিজ উদ্যোগে আয়োজন করেছেন গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীর। এখানেও একটি বার্তা খুঁেজ পাওয়া যায় । আর তা হচ্ছে তরুণ ও মেধাবি এ শিল্প ব্যক্তিত্ব সবার আগে  সুদুরের প্রয়োজনটি বুঝতে পেরেছেন। তিনি সবার আগেই এগিয়ে এসেছেন, সামনের দিনের প্রয়োজনীয় বার্তাটি নিয়ে । বসুন্ধরা গ্রুপের সফলতার অনেক ইতিহাসের সাথে এ দূরদর্র্শি বার্তাটিও হয়তো ইতিহাস স্মরণ করবে। আর সেই সাথে


আরও পড়ুন