মালয়েশিয়ায় অভিবাসীদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য, মানবসম্পদমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি
প্রকাশিত: ২১-৬-২০২২ দুপুর ১১:১৫
কাগজপত্রবিহীন কর্মীদের বৈধতা দেয়ার বিষয়ে মন্তব্যের জেরে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী এম সারাভানানের পদত্যাগ দাবি করেছেন সাবাহ প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী হ্যারিস সালেহ। সাবেক এ মন্ত্রীর বরাত দিয়ে সোমবার (২০ জুন) এ খবর প্রকাশ করেছে দেশটির অনলাইন মাধ্যম ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে।
গত সপ্তাহে সাবাহতে এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে মানবসম্পদমন্ত্রী এম সারাভানান বলেন, অবৈধ অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে ফিরতে বাধ্য করা উচিত। তাদের বৈধ হওয়ার সুযোগ দেয়ার মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় অবৈধপথে আসাদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। মূলত মানবসম্পদমন্ত্রীর এ বক্তব্যের সমালোচনা করে পদত্যাগ দাবি করেছেন ওই প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী হ্যারিস সালেহ।
বর্ষীয়ান এ রাজনীতিবিদ বলেন, কাগজপত্রবিহীন কর্মীদের বৈধতা দেয়ার সিদ্ধান্ত মালয়েশিয়ার মন্ত্রিপরিষদ নিয়েছে। এ সিদ্ধান্তের বিপক্ষে কথা বলতে হলে তাকে মন্ত্রিপরিষদ থেকে পদত্যাগ করা উচিত, আর গণতান্ত্রিক সংসদে এটাই নিয়ম।
সাবেক এ মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, কাগজপত্রবিহীন কর্মীরা বৈধভাবেই মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করেছে। ১০ থেকে ২০ বছর ধরে তারা সাবাহতে কর্মরত। নানা কারণে যারা এখানে থাকার বৈধতা হারিয়েছে, তারা পুনরায় বৈধ হওয়ার সুযোগ পেয়ে এখানকার অর্থনীতিতে, বিশেষ করে পামঅয়েল সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে বলেও মন্তব্য করেন হ্যারিস। এই কর্মী ছাড়া সাবাহর অর্থনীতি দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতো বলেও মন্তব্য করেন সাবেক এই মুখ্যমন্ত্রী।
বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রীর একের পর এক বিতর্কিত বক্তব্যের সমালোচনার মধ্যে এ পদত্যাগ দাবি করলেন সাবাহ প্রদেশের ওই মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৯ জুন বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর হলেও এখনো পর্যন্ত কোনো কর্মী আসা শুরু হয়নি। আর এ নিয়ে নিজ দল ও বিরোধীদের দারুণ সমালোচনার মুখে পড়েছেন মানবসম্পদমন্ত্রী এম সারাভানান।