কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে ইউক্রেনকে দেয়া পশ্চিমা অস্ত্র : রাশিয়া

news paper

সকালের সময় ডেস্ক

প্রকাশিত: ৬-৭-২০২২ দুপুর ১০:৩৬

8Views

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা এবং যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো সামরিক সহায়তা হিসেবে যেসব আধুনিক অস্ত্র-গোলাবারুদ পাঠিয়েছে, তার কয়েকটি চালান বেহাত হয়ে গেছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া।

বেহাত হওয়া এসব অস্ত্র মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের একাধিক কালোবাজারে বিক্রি করা হচ্ছে এবং তার ফলে বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসী তৎপরতা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে সতর্কবার্তাও দিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু বলেন, সামরিক অভিযানের শুরু থেকে এ পর্যন্ত পশ্চিম ইউক্রেনকে সহায়তা হিসেবে যে পরিমাণ অস্ত্র-গোলাবারুদ পাঠিয়েছে, সেসবের সম্মিলত ওজন ২৮ হাজার টনেরও বেশি হবে। আমাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী সেসব অস্ত্রের অন্তত কয়েকটি চালান ইউক্রেনের সেনাবাহিনী পর্যন্ত পৌঁছায়নি; সেসব অস্ত্র বেহাত হয়েছে এবং মধ্যপ্রাচ্যসহ ইতোমধ্যে বিশ্বের একাধিক কালোবাজারে মিলছে পশ্চিমা সহায়তার সেসব অস্ত্র। ইউক্রেনভিত্তিক একটি চক্র এজন্য দায়ী। কিন্তু তার পরিণতি ভয়ঙ্কর হতে পারে। কারণ, কোনো আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর হাতে এসব অস্ত্র পড়লে বৈশ্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংকটে পড়বে।

সম্প্রতি রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম আরটি একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করেছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ন্যাটোর সদস্য দেশসমূহের পাঠানো বিভিন্ন অস্ত্র চোরা বাজারে বিক্রি করছে দেশটির একটি অসাধু চক্র।

চোরাবাজারে বিক্রির জন্য ওঠা এসব অস্ত্রের মধ্যে বন্দুক-হ্যান্ডগান ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট থেকে শুরু করে এনএলএডব্লিউ ট্যাংকবিধ্বংসী সিস্টেম, ফনিক্স ঘোস্ট ও সুইচব্লেড বিস্ফোরক ড্রোনের মতো অত্যাধুনিক অস্ত্রও রয়েছে। অস্ত্রের চোরাবাজার সম্পর্কে ধারণা রয়েছে, এমন যে কেউই এসব অস্ত্র কিনতে পারবে ইউক্রেনের এই অসাধু চক্রের কাছ থেকে।

যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোকে ঘিরে দ্বন্দ্বের জেরে সীমান্তে আড়াই মাস সেনা মোতায়েন রাখার পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই ঘোষণা দেয়ার দুদিন আগে ইউক্রেনের রুশ বিচ্ছিন্নতাবাদী নিয়ন্ত্রিত দুই অঞ্চল দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেন তিনি।

চার মাসের মধ্যে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ লুহানস্ক, ইউক্রেনের দুই বন্দর শহর খেরসন ও মারিউপোল, দনেতস্ক প্রদেশের শহর লিয়াম, মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ জাপোরিজ্জিয়ার আংশিক এলাকার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে রুশ বাহিনীর হাতে।


আরও পড়ুন