সন্ধ্যার পর রাজধানীতে গণপরিবহন সংকট

news paper

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৬-৮-২০২২ রাত ১০:৩৭

5Views

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর গণপরিবহনের ভাড়া সমন্বয় করার আগে শনিবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে গণপরিবহনের তীব্র সংকট দেখা দেয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন মানুষ। অফিস শেষে অনেকেই বাসের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে দেখা যায়। সড়কে অল্পসংখ্যক বাস চলাচল করলেও ব্যক্তিগত গাড়ি ও সিএনজিচালিত অটোরিকসার আধিক্য চোখে পড়ে। শনিবার (৬ আগস্ট) রাজধানীর বাড্ডা, গুলশান, ভাটারা এলাকায় এমন চিত্র দেখা যায়।

মেরুল বাড্ডা এলাকায় এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও বাস পাননি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী সাজেদুল ইসলাম। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বাসের আশা ছেড়ে দিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকসা খুঁজতে থাকেন তিনি। এ সময় তিনি জানান, প্রতিবারই তেলের দাম বাড়লে জনগণকে জিম্মি করে ভাড়া বাড়িয়ে নেয় পরিবহন মালিকরা। আজও তাই হলো, বাস ইচ্ছে করেই বন্ধ রেখেছে। নতুন ভাড়ার সিদ্ধান্ত হলে তারা বাস নামাবে।

তিনি আরো জানান, মিরপুর ১ নম্বর যাব, এক ঘণ্টা ধরে কোনো বাস আসছে না। সিএনজিচালিত অটোরিকশাও দ্বিগুণ ভাড়া চাইছে।

বাসের চালক ও সহকারীরা জানিয়েছেন, নতুন ভাড়ার ঘোষণা না আসা পর্যন্ত মালিকরা বাস নামাবেন না। কেননা, বেশি দামে তারা আজ তেল কিনেছেন। এমন অবস্থায় অপেক্ষা করতে চান তারা।

বাড়তি ভাড়া আদায় করতে পরিবহন মালিকরা সড়কে নৈরাজ্য করছে জানিয়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ফলে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ নেমে এসেছে।
পরিবহন ব্যয় দ্বিগুণ বেড়ে যাবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের সামর্থ্যের বাইরে চলে যাবে। এরই মধ্যে পরিবহন সেক্টরে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশে সাধারণত তেলের দাম যে পরিমাণ বাড়ে তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি বাড়ে বাস ও অন্যান্য গণপরিবহন ভাড়া। পণ্য পরিবহন ভাড়াও ইচ্ছামতো বাড়িয়ে দেন ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিকরা।


আরও পড়ুন