জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

বাংলার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক এবং বাহক জবি

news paper

ইউছুব ওসমান, জবি

প্রকাশিত: ২১-৮-২০২২ দুপুর ৪:৪৩

29Views

রাজধানী ঢাকার কোতোয়ালি থানার সদরঘাট এলাকায় চিত্তরঞ্জন এভিনিউতে অবস্থিত একটি স্বায়ত্তশাসিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক  বাহক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। ২০০৫ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ৮ম জাতীয় সংসদের ১৮ তম অধিবেশনে ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন–২০০৫’ সংসদে উত্থাপিত হয় এবং ওই বছরেরই ২০ অক্টোবর সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে জগন্নাথ কলেজকে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ২০ অক্টোবরকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে পালন করে আসছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
 
দেড়শো বছরেরও বেশি সময়ের ঐতিহ্য বহন করে আসা এই বিদ্যাপীঠের পথচলা শুরু হয় ১৮৫৮ সালে। মানিকগঞ্জের বালিয়াটির জমিদার জগন্নাথ রায় চৌধুরী বুড়িগঙ্গার তীরে একটি পাঠশালা প্রতিষ্ঠা করেন যা 'জগা বাবুর পাঠশালা' নামে পরিচিত ছিল। তৎকালীন ব্রাহ্ম আন্দোলনের নেতা দীননাথ সেন, অনাথবন্ধু মৌলিক, পার্বতী চরণ রায়, ব্রজসুন্দর মিত্র প্রমুখের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি ব্রাহ্ম ধমের্র মূল মতবাদ সম্পর্কে সাধারণ ছাত্রদের শিক্ষা দেয়ার উদ্দেশ্যে পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় ব্রাহ্ম সমাজের নিজস্ব জায়গায় জগা বাবুর পাঠশালাকে স্থানান্তর করে 'ব্রাহ্ম স্কুল' নামে একটি অবৈতনিক স্কুল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন।
 
আর্থিক সংকটের কারণে ১৮৭২ সালে মালিকানা পরিবর্তন ঘটে ব্রাহ্ম স্কুলের। স্কুলের ভার গ্রহণ করেন জগন্নাথ রায় চৌধুরীর সুযোগ্য পুত্র বালিয়াটির জমিদার কিশোরীলাল রায় চৌধুরী। কিশোরীলাল রায় চৌধুরী ব্রাহ্ম স্কুলের নাম পরিবর্তন করে তার বাবা জগন্নাথ রায় চৌধুরীর নামে 'জগন্নাথ স্কুল' নামকরণ করেন এবং স্কুলকটিকে স্থানান্তর করে বর্তমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনের জায়গায় নিয়ে আসেন। কিশোরীলাল চৌধুরীর অক্লান্ত পরিশ্রমে জগন্নাথ স্কুলের সুনাম ছড়িয়ে পড়তে থাকে চারিদিকে। 
 
এরপর ১৮৮৪ সালে জগন্নাথ স্কুলের নাম পরিবর্তন করে জগন্নাথ কলেজ রাখা হয় এবং এসময়ে এটি দ্বিতীয় শ্রেণির কলেজের মর্যাদা লাভ করে।  ১৮৮৭ সালে 'কিশোরীলাল জুবিলি স্কুল' নামে এর স্কুল শাখাকে জগন্নাথ কলেজ থেকে পৃথক করা হয় যা বর্তমানে 'কে. এল. জুবিলি স্কুল এন্ড কলেজ' নামে পরিচিত। শিক্ষাক্ষেত্রে সাফল্যের ধারাবাহিকতায় জগন্নাথ কলেজ ১৯০৮ সালে প্রথম শ্রেণির কলেজের মর্যাদা লাভ করে।
 
পরবর্তীতে ১৯২০ সালে জগন্নাথ কলেজ আইন পাস করে ব্রিটিশ সরকার। কিন্তু এরপরের বছরই ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে জগন্নাথ কলেজের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে শুধু ইন্টারমিডিয়েট কলেজে রূলান্তর করা হয় এবং জগন্নাথ ইন্টারমিডিয়েট কলেজ হিসেবে নামকরণ করা হয়। জগন্নাথ কলেজের গ্রন্ঠাগারের ৫০ ভাগ দূর্লভ ও মূল্যবান বই দিয়েই সাজানো হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার। ঢাকার নিউমার্কেট এলাকায় জগন্নাথ কলেজের নিজস্ব সম্পত্তির ওপর নির্মিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল। এছাড়াও জগন্নাথ কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বেঞ্চ, টেবিল-চেয়ার নিয়েই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে।
 
১৯৪৯ সালে দীর্ঘ ২৮ বছর পর জগন্নাথ কলেজে আবারও স্নাতক কার্যক্রম চালু হয় এবং  নাম পরিবর্তন করে পুনরায় জগন্নাথ কলেজ রাখা হয়। ১৯৬৮ সালে মোনায়েম খাঁন জগন্নাথ কলেজকেন্দ্রিক স্বাধিকার আন্দোলনকে রুখতে না পেরে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে এক পর্যায়ে জগন্নাথ কলেজকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন। ছয়মাস বন্ধ থাকার পর শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে কলেজ পুনরায় চালু করতে বাধ্য হন। কিন্তু মোনায়েম খাঁন জগন্নাথ কলেজকেন্দ্রিক সরকারবিরোধী আন্দোলনে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে নানা কূটকৌশলের মাধ্যমে একে সরকারি কলেজে রূপান্তর করেন এবং কলেজের সমগ্র ক্ষমতা নিজের হাতে নিয়ে নেন। তখন একে সরকারীকরণ (প্রাদেশিকীকরন) করে শুধু বিজ্ঞান কলেজে রূপান্তর করা হয়। জগন্নাথ কলেজের বাণিজ্য ও মানবিক বিভাগকে সরিয়ে মহাখালীতে নতুন 'জিন্নাহ কলেজ' নামে প্রতিষ্ঠা করা হয় যা বর্তমানের 'সরকারি তিতুমীর কলেজ'।
 
পরের বছর ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ১১ দফায় জগন্নাথ কলেজকে সরকারীকরণের বিরোধিতা করলে ওই বছরই জগন্নাথ কলেন আবার পূর্বের ন্যায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ফিরে যায়। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে জগন্নাথ কলেজে সকল বিভাগের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর কোর্স চালু হয়। সে সময় দেশের অন্যান্য কলেজের ন্যায় এই কলেজও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজ ছিল। পরবর্তী সময়ে ১৯৯২ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে ১৯৯১-৯২ শিক্ষাবর্ষ থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চলতে থাকে।
 
এরপর এরপর জগন্নাথ কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২০০৫ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে সরকার।
 
কলেজ থাকাকালীন সময়েই স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ এবং প্রভাবশালীরা একে একে দখল করে নেয় সবগুলো আবাসিক হল। আবাসন সংকট ও সংকীর্ণ ক্যাম্পাসের ঘানি মাথায় নিয়েই যাত্রা শুরু করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। চরম মানবেতর জীবনযাপন করেও দেশের বিভিন্ন পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। বর্তমানে মোট ৬টি অনুষদে ৩৬টি বিভাগ ও ২টি ইন্সটিটিউট রয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে।
 
প্রায় ১৮ হাজার শিক্ষার্থী, ৯৬০ জন একাডেমিক স্টাফ এবং ৮৫০ জন প্রশাসনিক স্টাফ নিয়ে বর্তমানে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। অনেক চড়াই উতরাই পেরোনোর পর গত বছরের ২০ অক্টোবর  বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী হল বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের উদ্বোধন করা হয়। ঢাকার কেরানীগঞ্জে ২০০ একর জমির উপর নতুন ক্যাম্পাস স্থাপনের কাজও চলমান। জমি অধিগ্রহণের কাজ হয়ে গেলেও গতি পায়নি সীমানা প্রাচীর নির্মাণসহ অবকাঠামোগত কোনো কাজ।
 
শিক্ষার পাশাপাশি দেশ ও জাতির কল্যাণে বাংলাদেশের প্রতিটি আন্দোলনে এই প্রতিষ্ঠানের অবদান ছিল গর্ব করার মত। ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬২ তে সামরিক সরকারের শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, ৬৬ এর ছয়দফা দাবি, ৬৮ এর এগারো দফা দাবি, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন আন্দোলন ও সংগ্রামের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। 
 
ভাষা আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যোগ দিয়ে জগন্নাথ কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখ করার মতো। ১৯৪৮ সালের ২৩’শে ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান গণপরিষদে ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে সংশোধনী প্রস্তাব বাতিল হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ কলেজ ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রদের মিছিলের মাধ্যমে ঢাকায় প্রথম প্রতিবাদ শুরু হয় ২৬’শে ফেব্রুয়ারি।
 
এ সময় জগন্নাথ কলেজ ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে আলাদা করে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গড়ে উঠেছিল। ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য ও যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করে ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকাশিত হয় প্রথম পুস্তিকা 'রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন – কী ও কেন?' যার লেখক ছিলেন জগন্নাথ কলেজের তৎকালীন শিক্ষার্থী অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। ১৯৫২ সালের ২১’শে ফেব্রুয়ারিতে প্রথম যে ১০ জন ১৪৪ ধারা ভেঙে মিছিল ও রাজপথে প্রতিবাদ শুরু করেছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন এই প্রতিষ্ঠানের ছাত্র প্রখ্যাত কথাশিল্পী ও চলচ্চিত্র পরিচালক জহির রায়হান।
 
১৯৫২ সালের মাতৃভাষা বাংলার রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় এই আন্দোলনে সর্বপ্রথম শহীদ হন জগন্নাথ কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র রফিক উদ্দিন আহমদ। ৫২’র ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করায় কারাবরণ করেন জগন্নাথ ছাত্র সংসদ (জকসু) এর তৎকালীন জিএস শফিউদ্দিন আহমদ ও ভাষা আন্দোলনের একজন বলিষ্ঠ সংগঠক অজিত কুমার গুহ।
 
জাতীয় অধ্যাপক ড. সালাহউদ্দীন আহমেদসহ অন্যান্য শিক্ষকরা এই প্রতিষ্ঠান থেকেই ছাত্রদের ভাষা আন্দোলনে উৎসাহিত করতেন। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতেও ভাষা আন্দোলনে জগন্নাথের অবদানের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস পাওয়ায় যায়।
 
১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলনে মূলত জগন্নাথ কলেজ ও ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাস থেকেই প্রতিবাদের সূচনা করা হয়। শিক্ষা আন্দোলনের নেতা হায়দার আকবর খাঁন বলেন, যতদূর মনে পড়ে জগন্নাথ কলেজ ও ঢাকা কলেজের কয়েকজন ছাত্র প্রথমে ছাত্র সমস্যার দিকে দৃষ্টিপাত করে কলেজ থেকেই আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটায়। পরবর্তীকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতারা এই আন্দোলনটিকে আরও বেগবান করে।
 
ঐতিহাসিক ছয় দফা আন্দোলনেও জগন্নাথের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু ছয় দফা ঘোষণা করলে তার সমর্থনে সফল হরতাল পালন করে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন মুজিব বাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান কাজী আরেফ আহমেদ ও চিত্র নায়ক ফারুক।১৯৬৮ সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হলে জগন্নাথ ছাত্র সংসদের (জকসু) উদ্যোগেই প্রথম প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
 
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জগন্নাথ কলেজে পাকিস্তানি হানাদাররা একের পর এক হামলা চালায়। মুক্তিযুদ্ধে জগন্নাথের বহু ছাত্র ও শিক্ষক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধে এই প্রতিষ্ঠানের অগণিত ছাত্র পাক হানাদারদের নৃশংসতায় শহীদ হন। স্বাধীনতাকামী বাঙালির ওপর সংঘটিত অবর্ণনীয় নির্যাতন এবং গণহত্যার চিত্র তুলে ধরে শহীদদের স্মরণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ২০০৮ সালের ৩১ মার্চ নির্মাণ করা হয় “মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ও একাত্তরের গণহত্যা” নামক ভাস্কর্য। মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত এটি দেশের একমাত্র গুচ্ছ ভাস্কর্য।
 
ক্রীড়াক্ষেত্রেও একসময় খ্যাতি ছিলো এই বিদ্যাপীঠের। এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আন্তঃকলেজ ও আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয়ে ধারাবাহিক চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন এসেছে নিয়মিত। এছাড়াও এখানকার শিক্ষার্থীরা জয় করেছিল রোনাল্ডস শিল্ড, স্যার এ এফ রহমান শিল্ড, ফিরোজ নুন কাপ প্রভৃতি। এই প্রতিষ্ঠানেরই শিক্ষার্থী ব্রজেন দাস ছয় বার ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে গড়েছেন সাতারের বিশ্ব রেকর্ড। ২০১৯ সালে সাউথ এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম স্বর্ণপদক জয়ী মারজান আকতার প্রিয়া এই ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানেরই শিক্ষার্থী।
 
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হয়েও প্রাতিষ্ঠানিক আবাসন বিহীন জীবন মেনে নিয়ে আপন গতিতেই এগিয়ে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। চলতি বছরের মার্চে একমাত্র ছাত্রীহল উদ্বোধন হলেও অনেকটা অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মতোই জীবন কাটাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।  এতো লড়াই, সংগ্রামের পরও একমাত্র জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ই পেরেছে প্রতিষ্ঠার মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই দেশের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হতে। বিসিএস সহ দেশের বড় বড় জায়গায় এখানকার শিক্ষার্থীদের রাজত্ব চোখে পড়ার মত। মানসম্মত শিক্ষা প্রদানে এর খ্যাতি সমগ্র বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। ভবিষ্যতে এর শিক্ষার ও উন্নত হবে এবং অধিষ্ঠিত হবে আরও উচ্চ আসনে সেই প্রত্যাশাই সবার।

আরও পড়ুন