সকালের সময় টপ ১০ কর্পোরেট সংবাদ

news paper

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১-৯-২০২২ দুপুর ১২:৩২

10Views

১. প্রথমবারের মত আয়োজিত হচ্ছে ‘ফুড অ্যান্ড কেমিক্যাল ল্যাব এক্সপো’


নিজস্ব প্রতিনিধি
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এবং মার্কিন কৃষি বিভাগ- সমর্থিত বাংলাদেশ ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন প্রকল্পের যৌথ উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে রোববার ‘ফুড অ্যান্ড কেমিক্যাল ল্যাব এক্সপো ২০২২’ এক্সপো আয়োজিত হবে।শনিবার ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানানো হয়। এ সময় এক্সপোর বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম।

তিনি জানান, দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীতে ৩৮টি সরকারি-বেসরকারি পরীক্ষাগার, ছয়টি যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। খাদ্য পণ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বেগবান করতে সনদপ্রাপ্ত পরীক্ষাগারগুলোর ভূমিকা নিয়ে একটি বৈজ্ঞানিক আলোচনা পর্ব থাকবে প্রদর্শনীস্থলে।প্রদর্শনীর উদ্দেশ্য সম্পর্কে আব্দুল কাইউম বলেন, এর উদ্দেশ্য হবে সরকারি-বেসরকারি পরীক্ষাগারগুলোর একটি কার্যক্রম নেটওয়ার্ক সৃষ্টি করা। যাতে তারা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ভোক্তাদের জন্য খাদ্যপণ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন প্রকল্পের পরিচালক মাইকেল জে পার, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য (ফুড কনজাম্পশন অ্যান্ড কনজ্যুমার রাইটস) মো. রেজাউল করিম, সদস্য (পাবলিক হেলথ অ্যান্ড নিউট্রিশন) মনজুর মোরশেদ আহমেদ এবং বাংলাদেশ ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন প্রকল্পের কারিগরি পরামর্শক কামরুন নাহার।সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, খাদামন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার প্রধান অতিথি হিসেবে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জিয়াউল হাসান এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নেবেন। গেস্ট অব অনার থাকবেন ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন হেলেন লাফেভ এবং এফবিসিসিআই’র সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।


২.    ১২ নভেম্বর থেকে  শুরু ‘মেড ইন বাংলাদেশ উইক’


নিজস্ব প্রতিবেদক
সপ্তাহব্যাপী ‘মেড ইন বাংলাদেশ উইক’ শুরু হবে আগামী ১২ নভেম্বর। মোট নয়টি সেশনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই আয়োজনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংগঠনটির সভাপতি ফারুক হাসান।সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি শহিদুল্লাহ আজিমসহ অন্যান্য নেতা ও পোশাক শিল্প উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন। তৈরি পোশাক মালিক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) উদ্যোগে আয়োজিত এ উদ্যোগে সার্বিক সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ (বিএই)।

সংবাদ সম্মেলনে ফারুক হাসান বলেন, আগামী ১২ নভেম্বর থেকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিস) ‘মেড ইন বাংলাদেশ উইক’ শুরু হবে। উইকের দ্বিতীয় দিন ১৩ নভেম্বর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উইকের পর্দা নামবে আগামী ১৮ নভেম্বর।তিনি বলেন, এছাড়া আগামী ১৫ ও ১৬ নভেম্বর বসুন্ধরার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি হল-১ এ দুদিনব্যাপী ঢাকা অ্যাপারেল সামিট অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা অ্যাপারেল সামিটের ৩য় সংস্করণটি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সব অংশীজন একই ছাদের নীচে নিয়ে আসবেন, যেখানে তারা বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে পরবর্তী স্তরে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে করণীয় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবেন।

বিজিএমইএ সভাপতি জানান, মেড ইন বাংলাদেশ উইকে সরকার, বেসরকারিখাত, দাতা সংস্থা, ব্র্যান্ড, শ্রমিক সংগঠনসহ সবার সম্মিলিত প্রয়াসে বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে ৯টি সেশনের আয়োজন করা হবে। এসব সেশনে আলোচনার বিষয়বস্তুর ওপর প্রবন্ধ, ভার্চুয়াল উপস্থাপন, শিল্পের অগ্রগতি এবং আগামী দিনে করণীয় বিষয়ে আলোচনা হবে।

 

৩.বৈধ উপায়ে রেমিট্যান্স পাঠাতে রূপালী ব্যাংকের উঠান বৈঠক


বাণিজ্য ডেস্ক
বৈধ উপায়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে উদ্বুদ্ধ করতে পাঁচশ প্রবাসীর পরিবার নিয়ে উঠান বৈঠক করেছে রূপালী ব্যাংকের যশোর এস এম আর রোড শাখা। এ সময় বৈঠকে বিদেশ গমনেচ্ছু শতাধিক যুবক অংশগ্রহণ করেন। বৃহস্পতিবার যশোর সদর উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়ন পরিষদে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বৈঠকে উপস্থিত প্রবাসীদের পরিবারের সদস্যদের ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈধ পথে রেমিট্যান্স গ্রহণের আহ্বান জানান ব্যাংক কর্মকর্তারা। তারা হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষতিকর দিক তুলে ধরেন। ব্যাংক কর্মকর্তারা বলেন, ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠালে ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনা পাওয়া যায়। তারা সরকারের দেওয়া এই প্রণোদনা সুবিধা গ্রহণের আহ্বান জানান। রূপালী ব্যাংকের এস এম আর রোড শাখার ব্যবস্থাপক মো. শহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন ব্যাংকের খুলনা বিভাগীয় প্রধান ও মহাব্যবস্থাপক হেমন্ত কুমার দাশ। অনুষ্ঠানে ব্যাংকের আঞ্চলিক উপ-মহাব্যবস্থাপক রোকনুজ্জামান ও কাশিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শরিফুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।


৪.চট্টগ্রাম বন্দর
নিলাম অযোগ্য মেয়াদোত্তীর্ণ ৩৮২ কনটেইনার পণ্য ধ্বংস করা হবে

চট্টগ্রাম ব্যুরো
দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা ৩৮২ কনটেইনারে নিলাম অযোগ্য পণ্য ধ্বংসের উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। রোববার থেকে এসব পণ্য ধ্বংসের কাজ শুরু হবে। পণ্যগুলো সবই নিলাম অযোগ্য এবং মেয়াদোত্তীর্ণ বিধায় ধ্বংস করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাস্টম হাউস চট্টগ্রামের নিলাম শাখার ডেপুটি কমিশনার সন্তোষ সরেন।  

তিনি বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জারিকরা স্থায়ী আদেশ অনুযায়ী গঠিত ধ্বংস কমিটি ২৯ আগস্ট সভা করেছে। সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে বন্দরের রেফার্ড কনটেইনার ১৩৬টি, ড্রাই কনটেইনার ৩২টি ও বিভিন্ন অফডকে ড্রাই ২১৪টি কনটেইনারবাহী ধ্বংসযোগ্য (পঁচনশীল) পণ্যচালানের ধ্বংস কার্যক্রম ১১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে। এজন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ডাম্পিং স্টেশনের পাশের একটি খালি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। জায়গাটি চট্টগ্রামের আউটার রিং রোড সংলগ্ন হালিশহরের আনন্দবাজারে অবস্থিত। পরিবেশ অধিদপ্তর থেকেও অনুমোদন মিলেছে এ বিষয়ে। এর আগেও একই জায়গায় পণ্য ধ্বংস করেছিল চট্টগ্রাম কাস্টমস।কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, ধ্বংসযোগ্য পণ্যচালানের মধ্যে রয়েছে পেঁয়াজ, আপেল, ড্রাগন ফ্রুটস,  কমলা, আদা, ডালিম, ধনে, আঙ্গুর, ফ্রোজেন লিজার্ড ফিসসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য।

কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতিদিন ২৫-৩০ টি কনটেইনারের ধ্বংসযোগ্য পণ্য ধ্বংস করার পরিকল্পনা আছে। পর্যায়ক্রমে ৩৮২টি কনটেইনার নিরবচ্ছিন্নভাবে পরিবেশ সম্মত উপায়ে ধ্বংস করার পরিকল্পনা রয়েছে। ধ্বংস করা কনটেইনার চট্টগ্রাম বন্দর থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে। এতে চট্টগ্রাম বন্দরের কিছু জায়গা খালি হবে।

 

৫. কর্মক্ষমতা না বাড়লে চাকরি যাবে গুগল কর্মীদের


বাণিজ্য ডেস্ক
কর্মীদের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর ওপর জোর দিতে বলেছেন গুগলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সুন্দর পিচাই। এর ব্যত্যয় ঘটলে চাকরি যেতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।কয়েক সপ্তাহ আগেই গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই কর্মীদের একরকম সতর্ক করে বলেন, কঠোর পরিশ্রম করুন নয়ত প্রস্থানের জন্য প্রস্তুত হন। তিনি বলেছিলেন, পরবর্তী তিন মাসে প্রত্যাশা অনুযায়ী আয় না হলে রাস্তা আরও কঠিন হবে। সুন্দর পিচাই জানিয়েছেন, গুগলের দক্ষতা আরও ২০ শতাংশ বাড়াতে চান তিনি। কারণ তিনি গত কয়েক বছর ধরেই ঘন ঘন নিয়োগ ও আর্থিক প্রতিবন্ধকতার মতো বেশকিছু বিষয়ের সঙ্গে লড়াই করছেন।

লস অ্যাঞ্জেলসে কোড কনফারেন্সে পিচাই জানিয়েছেন, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও বিজ্ঞাপনের আয়ে ব্যাপক মন্দা রয়েছে। তিনি তার পরিকল্পনার কথা প্রতিষ্ঠানের অন্য কর্মীদেরও জানিয়েছেন। মঙ্গলবার পিচাই বলেন, আমরা যত ম্যাক্রো-ইকোনমি সম্পর্কে জানব আমাদের এই বিষয়ে অনিশ্চয়তা তত বাড়বে। তিনি আরও বলেন, বিজ্ঞাপনে ব্যয়ের সঙ্গে ম্যাক্রো-ইকোনমির সম্পর্ক রয়েছে।

পিচাই বলেন, একটি সংস্থা হিসেবে নিশ্চিত করতে হবে যে, টাকার যোগান কম রয়েছে এমন পরিস্থিতিতে যাতে সঠিক জিনিসগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। তিনি কর্মীদের উৎপাদনশীল হতে বলেন। এছাড়াও সঠিক ও প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে নিজের সময় ব্যয় করার কথা নিশ্চিত করতে বলেন। পর্যবেক্ষকদের মতে, তার এই বক্তব্যের মধ্যেই কর্মী সংখ্যা কমানোর পরিকল্পনা লুকিয়ে রয়েছে।

তবে এই প্রথম নয়। গত জুলাই মাসেও কর্মীদের উদ্দেশে একটি মেমো লিখেছিলেন গুগলের সিইও। সেখানেই উল্লেখ করা হয়েছিল, সংস্থা চলতি বছরের বাকি সময়টুকুতে নিয়োগের গতি কমিয়ে দেবেন। এর পেছনে বর্তমান আন্তর্জাতিক অবস্থা তুলে ধরেন তিনি।


৬. মুরগি ও ডিমের দামে ফের অস্থিরতা


নিজস্ব প্রতিবেদক
সপ্তাহ ব্যবধানে ফের বেড়েছে সবজি, ডিম ও মুরগি দাম। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বাজারে এসে দিশেহারা সাধারণ মানুষ। সরবরাহ ঠিক থাকলেও সাত দিনের ব্যবধানে বেড়েছে ডিম, সবজি, মুরগি, মাছের দাম বেড়েছে। তবে কিছুটা কমেছে চালের দাম। শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে। 

বাড্ডার বিভিন্ন বাজারে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি সিম, টমেটো ও গাজর ১২০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি প্রতি পিস লাউ বিক্রি হয়েছে ৬০-৭০ টাকা। প্রতি কেজি বরবটি ৮০-৯০, করোলা ৮০, বেগুন ৬০-৭০, পটোল ৪০-৫০, ধুন্দল ৬০, ঝিঙা ৪০-৫০, ঢেঁড়শ ৪০ এবং প্রতি কেজি শসা বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা। অর্থ্যাৎ সব ধরনের সবজি এক সাপ্তাহে ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। তবে কিছুটা অনেকটা কমছে কাঁচা মরিচের দাম। বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজিতে। আলুর কেজি আগের মতোই বাড়তি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি।

সবজির দাম বৃদ্ধি নিয়ে এক সবজি বিক্রেতা বলেন, গত কয়েকদিন ধরে বেশ বৃষ্টি হয়েছে। তাই হয়তো সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। গত সপ্তাহে প্রতি ডজন ডিম ১২০ টাকায় বিক্রি হলেও দাম বাড়ায় এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। পাশাপাশি প্রতি কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে এখন প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ১৮০ টাকা, কক ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা এবং সোনালি মুরগির দাম ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। তবে আগের দামেই ৭০০ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস ও প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকায়।  

 বিভিন্ন মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৪৫০ টাকা। তেলাপিয়া, পাঙাস মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকা। শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪৬০ টাকা। কৈ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। আকার ভেদে  চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে চিংড়ি এবং ইলিশ। চিংড়ির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা। আর এক কেজি ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ থেকে ১৮০০ টাকা। ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা। আর ৪০০-৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। 

সরকারি সংস্থা টিসিবি বলছে, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পর গত এক মাসের ব্যবধানে চাল, চিনি, মসুর ডাল, শুকনা মরিচ, আদা, জিরা, লবঙ্গ, এলাচ, ইলিশ মাছ, গরুর মাংস, গুঁড়াদুধ, লবণসহ ফার্মের ডিমের দাম বেড়েছে। সাবান, টুথপেস্ট, নারিকেল তেলসহ বিভিন্ন প্রসাধনীর দাম বেড়েছে ৪৪ শতাংশ পর্যন্ত। আগে আধা কেজির যে ডিটারজেন্টের দাম ছিল ৬০ টাকা, সেটি এখন ৯০ টাকা। ৫২ টাকার সাবানের দামও এখন ৭৫ টাকা হয়েছে। রাজধানীর বাজার দর নিয়ে বেসরকারি চাকরিজীবী মো. কাউসার হোসেন বলেন, প্রতিদিন নিত্যপণ্যের দাম নানা আজুহাতে বেড়ে চলছে। আগে নিম্ন আয়ের মানুষ ব্রয়লার খেয়ে মাংসের স্বাদ পূরণ করতো। বর্তমানে এই ব্রয়লারও মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে বেঁচে থাকা কষ্টকর হয়ে যাবে।

৭. ডিএসইতে সাপ্তাহিক দাম কমার শীর্ষে ফনিক্স ফাইন্যান্স

নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (৪ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর) লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ফনিক্স ফাইন্যান্সের শেয়ারের দাম সবচেয়ে বেশি কমেছে। বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কম থাকায় কোম্পানিটির শেয়ার ডিএসইর দাম কমার শীর্ষে উঠে এসেছে। ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে লেনদেন শেষে ফনিক্স ফাইন্যান্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ২০.৫০ টাকায়। আর বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ১৬.৩০ টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার দর ২০.৪৯ শতাংশ কমেছে। এর মাধ্যমে ফনিক্স ফাইন্যান্স ডিএসইর সাপ্তাহিক দাম কমার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।ডিএসইতে সাপ্তাহিক দাম কমার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ১৮.৭৪ শতাংশ, ইউনিয়ন ক্যাপিটালের ১৬.৫২ শতাংশ, এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ডের ১৪.২৯ শতাংশ, রতনপুল স্টিলের ১৪.২৯ শতাংশ, ন্যাশনাল টি’র ১৩.৯৪ শতাংশ, এপেক্স ফুডসের ১৩.৪৪ শতাংশ, পেপার প্রসেসিংয়ের ১১.৯৭ শতাংশ, প্রাইম ফাইন্যান্সের ১১.৬৪ শতাংশ এবং ইবিএল এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম ১০.৯৬ শতাংশ কমেছে।


৮. আয় কমেছে ওষুধ রফতানিতে

নিজস্ব প্রতিবেদক
বিশে^র ১৫৩টিরও অধিক দেশে রফতানি হয় বংলাদেশে তৈরি ওষুধ। বিগত কয়েক বছর ওষুধ রফতানিতে বেশ ভালো প্রবৃদ্ধি হলেও চলতি ২০২২- ২৩ অর্থবছরে ওষুধ রফতানির আয়ে বেশ বড় ধাক্কা লেগেছে। গত অর্থবছরের প্রথম দুই মাসের চেয়ে ২৫ শতাংশ আয় কম হয়েছে ওষুধ রফতানিতে। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

ইপিবি সূত্র জানায়, চলতি ২০২২- ২৩ অর্থবছরে প্রথম দুই মাসে (জুলাই- আগস্ট) জীবন রক্ষাকারী ওষুধপণ্য রফতানি থেকে দুই কোটি ৭৫ লাখ ৯০ হাজার ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। এই অঙ্ক গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২৫ শতাংশ কম। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম এসেছে ১৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ।এই দুই মাসে এ খাত থেকে তিন কোটি ২৬ লাখ ডলার আয়ের লক্ষ্য ধরেছিল সরকার। গত অর্থবছরের জুলাই- আগস্ট সময়ে আয় হয়েছিল তিন কোটি ৬৯ লাখ ৯০ হাজার ডলার। ২০২২- ২৩ অর্থবছরের পুরো সময়ে ওষুধ রফতানি থেকে ২৩ কোটি ডলার আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, প্রতি বছরই ওষুধ রফতানি থেকে আয় বেড়েছে। তবে ২০১৫ সালে বিশ্ববাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) জন্য ২০৩২ সাল পর্যন্ত ওষুধের মেধাস্বত্বে ছাড় (মেধাস্বত্ব অধিকার- ট্রিপস) দেওয়ার পর থেকে এ খাতের রফতানির পালে বাড়তি হাওয়া লাগে। এরপর করোনা চিকিৎসার ওষুধ রফতানি করে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেছে ওষুধ খাত।করোনাভাইরাস মহামারিতে দেশের বিভিন্ন শিল্প খাত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেও ওষুধ শিল্পে তার কোনো প্রভাব পড়েনি। উল্টো করোনা এ খাতে আশীর্বাদই বয়ে এনেছিল বলা যায়। অভ্যন্তরীণ বাজারে চাহিদা বাড়ার পাশাপাশি রফতানি আয় বাড়ছিল সমানতালে। রফতানি পণ্যের তালিকায় কোভিড- ১৯ চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের অন্তর্ভুক্তি, গুণগত মানের উন্নয়ন ও সরকারের নীতিসহায়তার কারণে সুবাতাস বইছিল এ খাতে।

ওষুধ শিল্প- সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০২০- ২১ অর্থবছরে কেবল কোভিড- ১৯ চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ রফতানি থেকেই আয় হয়েছিল প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। গত অর্থবছরে তা আরও বেড়ে ৫০০ কোটি টাকার মতো দাঁড়ায়।বাংলাদেশ মূলত ম্যালেরিয়া, যক্ষ্মা, ক্যানসার, কুষ্ঠরোগ, অ্যান্টি- হেপাটিক, পেনিসিলিন, স্ট্রেপটোমাইসিন, কিডনি ডায়ালাইসিস, হোমিওপ্যাথিক, বায়োকেমিক্যাল, আয়ুর্বেদিক ও হাইড্রোসিলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ওষুধ রফতানি করে থাকে।

২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর থেকে এ তালিকায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধক ওষুধ যুক্ত হয়, ফলে এ শিল্পে রফতানি আয়ের পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। গত ২০২১- ২২ অর্থবছর পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল। কিন্তু বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি স্বাভাবিক হয়ে আসায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধক ওষুধ আর এখন রফতানি হচ্ছে না।

ওষুধ শিল্প- সংশ্লিষ্টরা জানান, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ থেকে রেমডেসিভির ও ফ্যাভিপিরাভিরের জেনেরিক সংস্করণটি আমদানি করছে। বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির তথ্য অনুযায়ী, দেশের মোট চাহিদার ৯৭ শতাংশের বেশি ওষুধ স্থানীয়ভাবে উৎপাদন হচ্ছে। এর পাশাপাশি ৪৩টি কোম্পানির বিভিন্ন প্রকারের ওষুধ ও ওষুধের কাঁচামাল যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের প্রায় ১৫৩টি দেশে রফতানি হচ্ছে।
ইপিবির তথ্যে দেখা যায়, আগের বছরগুলোর ধারাবাহিকতায় গত ২০২১- ২২ অর্থবছরেও ওষুধ রফতানির ইতিবাচক ধারা অব্যাহত ছিল। ওই অর্থবছরে এ খাত থেকে ১৮ কোটি ডলার আয়ের লক্ষ্য ধরা ছিল। আয় হয়েছিল ১৮ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার ডলার।

এ হিসাবে লক্ষ্যের চেয়ে আয় বেড়েছিল প্রায় ৫ শতাংশ। আগের অর্থবছরের চেয়ে বেশি এসেছিল ১১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। ২০২০- ২১ অর্থবছরে ওষুধ রফতানি থেকে আয় হয়েছিল ১৬ কোটি ৯০ লাখ ২০ হাজার ডলার।ঔষধ শিল্প সমিতির তথ্য অনুযায়ী, ওষুধ রফতানি আয়ের ২০ শতাংশই দখল করে আছে বেক্সিমকো। দ্বিতীয় অবস্থানে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস। এ ছাড়া স্কয়ার, এসকেএফ, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস, একমি ল্যাবরেটরিজসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ওষুধ রফতানি করে থাকে।বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির মহাসচিব এস এম শফিউজ্জামান বলেন, করোনার ওষুধ রফতানি করে গত অর্থবছরে ভালো আয় করেছিলাম আমরা। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় এ ওষুধ রফতানি হচ্ছে না। তাই আয় কিছুটা নিম্নমুখী হয়েছে। অন্য কোনো কারণ নেই। বিভিন্ন দেশে আমাদের ওষুধের চাহিদা বাড়ছে। করোনার ওষুধ রফতানি না হলেও আমাদের রফতানি বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকবে। দুই মাসের তথ্য দিয়ে সার্বিক অবস্থা বোঝা যাবে না। অর্থবছর শেষে ঠিকই আমাদের ওষুধ রফতানিতে প্রবৃদ্ধি হবে।

 

৯. জলবায়ু মোকাবিলায় ৩১৭০ কোটি ডলার দিয়েছে বিশ্বব্যাংক


বাণিজ্য ডেস্ক
জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় ২০২১-২০২২ অর্থবছরে রেকর্ড ৩১ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৩১৭০ কোটি ডলার অর্থায়ন করেছে বিশ্বব্যাংক। জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় এর আগে কখনো এই পরিমাণে অর্থায়ন করেনি সংস্থাটি। এই খাতে বাংলাদেশেও নানা উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে বিশ্বব্যাংক। শুক্রবার ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বিশ্বব্যাংকের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 


এতে বলা হয়, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বিশ্বব্যাংক গ্রুপ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দেশগুলোকে সহায়তা করতে রেকর্ড ৩১ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থায়ন করেছে। আগের অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ২৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ফলে এক বছরের ব্যবধানে এই খাতে ১৯ শতাংশ বেশি অর্থায়ন করেছে সংস্থাটি।বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস বলেন, ২০২২ সালে জলবায়ু মোকাবিলায় বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। আমরা দেশগুলোকে তাদের উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে উচ্চ-অগ্রাধিকারযুক্ত জলবায়ু সম্পর্কিত প্রকল্পগুলো চিহ্নিত করতে এবং তা মোকাবিলায় সক্ষম করতে ৩১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছি। কার্বন নিঃসরণ কমানোই আমাদের লক্ষ্য। এটা কমিয়ে কীভাবে টেকসই উন্নয়ন করা যায় তা বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলা সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলোর জন্য বিশ্ব সম্প্রদায় থেকে বিপুল পরিমাণ তহবিল সংগ্রহ করে তা সরবরাহ করবো বলেও জানান তিনি।

সংস্থাটির তথ্যমতে, বিশ্বব্যাংকের দ্যা ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক ফর রিকন্সট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইবিআরডি) এবং ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) যৌথভাবে ২৬ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থায়ন করেছে। এর প্রায় অর্ধেক ১২ দশমিক ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিশেষভাবে অভিযোজন এবং স্থিতিস্থাপকতায় বিনিয়োগ করা হচ্ছে। এছাড়াও বিশ্বব্যাংক গ্রুপের বেসরকারি খাতের শাখা আইএফসি জলবায়ু অর্থায়নে ৪ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার সরবরাহ করেছে। অন্যান্য উৎস থেকে ৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়াও বিশ্বব্যাংকের আরেক সংস্থা মাল্টিলেটারাল ইনভেস্টমেন্ট গ্যারান্টি এজেন্সি এক দশমিক এক বিলিয়ন ডলার সরবরাহ করেছে।

এই ঋণ বাংলাদেশও পেয়েছে। যেমন রেজিলিয়েন্ট ইনফ্রাসট্রাকচার ফর অ্যাডাপটেশন অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি রিডাকশন (রিভার) প্রকল্পের অধীনে বিশ্বব্যাংক ৫০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে। ১৪টি বন্যা উপদ্রুত (উপকূলীয় এলাকার বাইরে) জেলায় দুর্যোগ প্রস্তুতি বিষয়ক উন্নতি সাধনের লক্ষে এই ঋণ দিয়েছে সংস্থাটি। প্রকল্পের আওতায় ৫ শতাধিক বহুমুখী বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র, সংযোগ সড়ক এবং জলবায়ু সহনশীল কমিউনিটি অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। স্বাভাবিক সময়ে এসব আশ্রয়কেন্দ্র প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে পরিচালিত হবে। এসব কেন্দ্রে সৌরবিদ্যুৎ, নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার সুবিধা থাকবে।
উপকূলীয় এলাকার বাইরে ১৪টি জেলায় এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। এসব জেলা হলো- নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, সুনামগঞ্জ এবং হবিগঞ্জ।


১০. বছরে ৩০ নারী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেবে এফবিসিসিআই


নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত নারী শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে প্রতি বছর ৩০ জন নারী শিক্ষার্থীর পড়াশোনার খরচ দেবে এফবিসিসিআই। বৃত্তিপাপ্ত শিক্ষার্থীরা এশিয়ার ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এ পড়ার সুযোগ পাবেন। শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়টির সাথে এ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই করেছে এফবিসিসিআই। এফবিসিসিআই’র পক্ষে সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন ও এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এর পক্ষে উপাচার্য ড. রুবানা হক ৫ বছর মেয়াদী এই সমঝোতা স্মারকে সই করেন।  অনুষ্ঠানে সভাপতি মো. জাসিম উদ্দিন বলেন, সামাজিক দায়িত্বের অংশ হিসেবে তৃণমুলের প্রান্তিক নারী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ করে দিতে এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এফবিসিসিআই। এর মাধ্যমে সমাজে নারী ক্ষমতায়ন ও উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় নারীদের অংগ্রহণ আরো বাড়বে। 

তিনি বলেন, ভারতসহ অন্যান্য দেশে শিল্পখাতের সাথে শিক্ষাখাতের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশেও এই সম্পর্ক জোরদার করতে হবে। দক্ষ জনবল তৈরি ও শিল্পের সাথে শিক্ষার সংযোগ বাড়াতে এফবিসিসিআই’র বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ বুয়েট ও নর্থ সাউথ এর সাথে চুক্তি করেছে। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথেও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার বিষয়ে কাজ চলছে। এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এর উপাচার্য ড. রুবানা হক বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে হতদরিদ্র নারীরা বিভিন্ন বাধা বিপত্তি কাটিয়ে পড়াশুনা করেন। অন্তর্ভুক্তিকরণকে প্রধান লক্ষ্য হিসেবে কাজ করা জরুরী বলে মনে করেন তিনি। তিনি জানান, ১৯ টি দেশের প্রায় ১৩০০ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। এর আগে স্বাগত বক্তব্যে এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মরহুম আনিসুল হকের শিল্পখাতে ব্যাপক অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, বিভিন্ন জেলা চেম্বার ও অসোসিয়েশনের অবকাঠামোগত উন্নয়নে তিনি যে ভূমিকা রেখেছেন তা ব্যবসায়ীরা সারাজীবন মনে রাখবেন। বৃত্তি প্রদানের ক্ষেত্রে কুড়িগ্রামের দরিদ্র শিক্ষার্থীদের প্রাধান্য দিতে আহ্বান জানান সিনিয়র সহ-সভাপতি। ব্যক্তিগতভাবে ৫ জন শিক্ষার্থীর পড়ালেখার খরচ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল আহমেদ বলেন, দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী। তাদেরকে পেছনে রেখে দেশ এগোতে পারবেনা। শিক্ষার মানোন্নয়ন ও উচ্চশিক্ষাকে সার্বজনীন করাকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে মনে করেন কামাল আহমেদ।  অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর সহ-সভাপতি মোঃ আমিন হেলালী, সালাউদ্দিন আলমগীর, মোঃ হাবীব উল্লাহ ডন, এম এ রাজ্জাক খান রাজ, পরিচালকবৃন্দ ও মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।


আরও পড়ুন