সকালের সময় টপ ১০ কর্পোরেট সংবাদ

news paper

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৩-৯-২০২২ দুপুর ১২:০

6Views

১.জিপিএফ-সিপিএফের সুদ ১১-১৩ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
সরকারি কর্মচারীদের সাধারণ ভবিষ্য তহবিল (জিপিএফ) এবং প্রদেয় ভবিষ্য তহবিলে (সিপিএফ) রাখা টাকার সুদের হার ১১ থেকে ১৩ শতাংশ করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এ বিষয়ে গত বুধবার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আমানতের সুদ ১৩ শতাংশ। ১৫ লাখ ১ টাকা থেকে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত সুদ ১২ শতাংশ এবং ৩০ লাখ ১ টাকা থেকে তার বেশি আমানতের সুদ ১১ শতাংশ।
জিপিএফ-সিপিএফে টাকা রাখলে সরকারি কর্মচারীরা ১৩ থেকে ১৪ শতাংশ সুদ পেতেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে তা ১১ থেকে ১৩ শতাংশ করা হয়। এবারও তা-ই রাখা হয়েছে।
একসময় সরকারি কর্মচারীরা মূল বেতনের ৮০ শতাংশ পর্যন্ত জিপিএফে জমা রাখতে পারতেন। তবে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে অর্থ বিভাগ সুদের হার না কমিয়ে জিপিএফে টাকা রাখার সীমা বেঁধে দেয় মূল বেতনের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ। যেসব কর্মচারী রাজস্ব খাত থেকে বেতন পান, তাঁরা টাকা রাখেন জিপিএফে। আর রাজস্ব খাতের বাইরে থেকে বেতন পান যাঁরা, তাঁরা টাকা রাখেন সিপিএফে।


২.গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনে অগ্রাধিকার থাকবে : নসরুল হামিদ


বাণিজ্য ডেস্ক
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, প্রাকৃতিক গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন প্রক্রিয়ায় আগ্রাধিকার অব্যাহত রাখা হবে। বাস্তবসম্মত প্রকল্প নিয়ে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনকাজ বাড়ানো আবশ্যক। গৃহীত প্রকল্পগুলো নির্ধারিত সময়ের আগেই বাস্তবায়ন করতে হবে।প্রতিমন্ত্রী রোববার অনলাইনে সিলেট ১০ নম্বর (অনুসন্ধান কূপ) কূপের খনন কাজের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।সিলেট গ্যাসক্ষেত্রে ১০ নম্বর অনুসন্ধান কূপ খননে সিলেট গ্যাসফিল্ড কোম্পানির সঙ্গে সিনোপ্যাক ইন্টারন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম সার্ভিস করপোরেশন, চায়না’র সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এতে দৈনিক ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন বাড়বে বলে আশা করা যাচ্ছে।সভায় অন্যান্যের মাঝে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এস এম জাকির হোসেন, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান, সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ওয়ার্কওভার বা অনুসন্ধান কূপ হতে যে পরিমাণ গ্যাসই আসুক তা জাতীয় উন্নয়নে অপরিসীম অবদান রাখবে।অনুষ্ঠানে জানানো হয়, গ্যাস উন্নয়ন তহবিল ও সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের নিজস্ব অর্থায়নে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এজন্য টার্ন-কি ভিত্তিতে ভূমি উন্নয়ন ও পূর্ত নির্মাণ কাজ, খনন মালামাল সরবরাহ, তৃতীয়পক্ষীয়  প্রকৌশল সেবা ও কূপ খননের যাবতীয় কাজ সম্পাদন করা হবে।

৩.গ্রাহক পর্যায়ে আন্তঃব্যাংক লেনদেন দ্রুত বাড়ছে


নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজের প্রয়োজনে একজন আরেকজনকে অর্থ পরিশোধ করেন। সশরীরে পরিশোধের পাশাপাশি এখন অনলাইন থেকে অর্থ পরিশোধেরও সুযোগ মিলছে। ব্যবসায়িক পরিশোধের পাশাপাশি গ্রাহক পর্যায়েও আন্তঃব্যাংক এটিএম, পস বা ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে লেনদেন দ্রুত বাড়ছে। এক ব্যাংকের বুথ থেকে আরেক ব্যাংকের গ্রাহকের টাকা উত্তোলনও করছেন অনেকে।কেন্দ্রীয় ব্যাংকে স্থাপিত ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ বাংলাদেশ (এনপিএসবি) ব্যবস্থায় এক ব্যাংকের গ্রাহক আরেক ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন বা পরিশোধ করতে পারেন। ব্যাংকগুলোর মোট লেনদেনের যা খুব সামান্য। ব্যক্তি পর্যায়ের এসব লেনদেনের বাইরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আরটিজিএস, বিএসিপিএস ও বিইএফটিএনের মাধ্যমে আন্তঃব্যাংকে প্রতি মাসে গড়ে ৭ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার মতো পরিশোধ হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই মাসে ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এক ব্যাংকের গ্রাহক আরেক ব্যাংকের গ্রাহককে পরিশোধ করেছেন ৪ হাজার ৪৫৫ কোটি টাকা। গত ডিসেম্বর মাসে এ ক্ষেত্রে ২ হাজার ৫৪৬ কোটি টাকা পরিশোধ হয়। এর মানে ডিসেম্বরের তুলনায় এ উপায়ে পরিশোধ বেড়েছে ১ হাজার ৯১০ কোটি টাকা বা ৭৫ শতাংশ। অবশ্য আগের মাস জুনের তুলনায় আন্তঃব্যাংক ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের লেনদেন ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ কম হয়েছে। আগের মাসে এ উপায়ে ৪ হাজার ৫২২ কোটি টাকা পরিশোধ হয়।জুলাইয়ে এক ব্যাংকের গ্রাহক আরেক ব্যাংকের এটিএম বুথ ব্যবহার করে ৪ হাজার ৩৯৭ কোটি টাকা উত্তোলন করেছেন। আগের মাস জুনে উত্তোলনের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৭৩৬ কোটি টাকা। আগের মাসের তুলনায় উত্তোলন বেড়েছে ১৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ। আর গত ডিসেম্বরের তুলনায় বেড়েছে ৫১ দশমিক ৫০ শতাংশ। গত ডিসেম্বরে অন্য ব্যাংকের বুথ থেকে উত্তোলনের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৯০২ কোটি টাকা। নিজ ব্যাংকের বুথ থেকে টাকা উত্তোলন করতে কোনো খরচ হয় না। তবে এক ব্যাংকের গ্রাহক আরেক ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলনে ১৫ টাকা করে দিতে হয়। এর পরও সুবিধাজনক জায়গা থেকে টাকা উত্তোলনের সুবিধার্থে অন্য ব্যাংকের বুথ ব্যবহার বাড়ছে।
এক ব্যাংকের গ্রাহক আরেক ব্যাংকের পিওএস (পয়েন্ট অব সেলস) ব্যবহার করে জুলাইয়ে ২৬৫ কোটি টাকার বিল পরিশোধ করেছেন। আগের মাস জুনে যা ছিল ২৩২ কোটি টাকা। আর গত ডিসেম্বরে ছিল ২৪৭ কোটি টাকা।


৪.মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর প্রতি নির্দেশনা অপরিকল্পিত ঋণ ও সুদ ব্যয় এড়াতে চায় সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
অর্থবছরের শুরুর তুলনায় শেষ দিকে বাজেট বাস্তবায়ন গতিশীল হওয়ায় একসঙ্গে অনেক খরচের চাপে পড়ে সরকার। এতে সরকারের অপরিকল্পিত ঋণ নেওয়া ও সুদ ব্যয় বেড়ে যায়। এমনকি আর্থিক শৃঙ্খলাও ভেঙে পড়ে। আবার সরকারি ব্যয়ের গুণগত মান নিশ্চিত করাও সম্ভব হয় না।
এ অবস্থা থেকে বের হতে অর্থবছরের শুরুতেই পরিকল্পিতভাবে বাজেট বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছে সরকার। এজন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাজেট বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট ও সময়নিষ্ঠ পরিকল্পনা নিতে বলেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। বাজেট বাস্তবায়নের সঙ্গে সংশ্নিষ্টরা যাতে সুন্দরভাবে পরিকল্পনা সাজাতে পারেন সেজন্য অর্থ বিভাগ নির্দিষ্ট কিছু ফরমও তৈরি করে দিয়েছে। আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ওই ফরম অনুযায়ী পরিকল্পনা তৈরি করে মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে অর্থ বিভাগে পাঠাতে হবে। একই সঙ্গে পরিকল্পনা অনুযায়ী বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতি তিন মাস পরপর অর্থ বিভাগকে জানাতে হবে।
অর্থ বিভাগ বলেছে, প্রতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে আগের মাসের ইউটিলিটি বিল পরিশোধ করতে হবে। অর্থবছরের শুরু থেকে মেরামত ও সংরক্ষণের কাজ শুরু করতে হবে। এমনভাবে মেরামত ও সংরক্ষণ কাজের পরিকল্পনা করতে হবে যাতে প্রতি ত্রৈমাসিকের ব্যয় মোটামুটিভাবে ভারসাম্যপূর্ণ থাকে। অর্থবছরের শেষ ত্রৈমাসিকে মাত্রাতিরিক্ত বিল পরিশোধের চাপ যাতে তৈরি না হয়। বাজেট কতটা বাস্তবায়ন হয়েছে তা প্রতি ত্রৈমাসিকের পরের দুই সপ্তাহের মধ্যে অর্থ বিভাগে পাঠাতে হবে।

সূত্র জানায়, সরকার সময়মতো বাজেট বাস্তবায়নের একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো তৈরি করতে চায়। এজন্য অর্থ বিভাগ থেকে অন্যান্য মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও প্রতিষ্ঠানের বাজেট বাস্তবায়ন সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়মিতভাবে পরিকল্পনা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরে এ উদ্যোগ নেওয়া হলেও অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়। ২০২১-২২ অর্থবছরেও এ ধরনের বাস্তবায়ন পরিকল্পনা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অর্থবছর শেষে দেখা গেছে, শেষ প্রান্তিকে গিয়েই বাজেটের অর্ধেকের বেশি ব্যয় হয়েছে। আবার বাজেটে সরকার যেসব নতুন নীতি, কর্মসূচি ও কার্যক্রম নিচ্ছে, এর পুরোটা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। অর্থ বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, বাজেটে নাগরিক স্বার্থসহ সামগ্রিকভাবে দেশের উন্নয়নে অনেক পরিকল্পনা থাকে। সময়মতো ও সুষ্ঠুভাবে সব ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন না হওয়ায় বাজেটের সুফল সবাই সমানভাবে পাচ্ছে না।

অর্থ বিভাগের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যথাসময়ে সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অর্থবছরের শুরুতে সুনির্দিষ্ট ও সময়নিষ্ঠ পরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রয়োজন। প্রতিবছর বাজেটে নতুন কিছু নীতি, কার্যক্রম বা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। চলতি অর্থবছরেও এ ধরনের নতুন কিছু কার্যক্রম রয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে, ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে এ পর্যন্ত নেওয়া অধিকাংশ নতুন নীতি, কর্মসূচি ও কার্যক্রম বাস্তবায়ন হলেও গত তিন অর্থবছরে নেওয়া অনেক কার্যক্রম বাস্তবায়ন হয়নি।
অর্থ বিভাগ বলছে, অর্থবছরের প্রথমভাগে বাজেট বাস্তবায়ন চলে ধীরগতিতে। অর্থবছরের শুরুর দিকে বাজেটের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আহরণেও ধীরগতি দেখা যায়। এ সময়ে বেতন-ভাতা ছাড়া প্রকল্পের অন্যান্য আইটেমের বিপরীতে ব্যয়ও কম হয়। বিশেষ করে বিভিন্ন ইউটিলিটি বিল পরিশোধ, মেরামত, সংরক্ষণ, নির্মাণ ও পূর্ত কাজ এবং মালপত্র কেনা ও সংগ্রহের ক্ষেত্রে অর্থবছরের শেষ দিকে উদ্যোগ নেওয়া হয়। ফলে অনেক ক্ষেত্রে সরকারি ব্যয়ের গুণগত মান নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। উপরন্তু বছরের শেষে এসে সরকারকে অপরিকল্পিত ঋণের দায়ভার বহন করতে হয়। ফলে আর্থিক শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা যায় না।
অর্থ বিভাগ মনে করে, সরকারের আয় ও ব্যয়ের মধ্যে ভারসাম্যহীনতার অন্যতম কারণ রাজস্ব সংগ্রহ ও সরকারি অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে সুষ্ঠু পরিকল্পনা না থাকা। বাজেট সুষ্ঠুভাবে সময়মতো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগাম পরিকল্পনা নেওয়া সম্ভব হলে অপরিকল্পিত ঋণ ও ঋণজনিত ব্যয় কমানো সম্ভব। এজন্য জাতীয় সংসদ বাজেট সুষ্ঠুভাবে সময়মতো বাস্তবায়নের জন্য আগাম পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, অপরিকল্পিত সরকারি ঋণ এড়ানো এবং ঋণজনিত ব্যয় কমানো .

উল্লেখ, চলতি অর্থবছরের জন্য সরকার ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে সামগ্রিক উন্নয়ন ব্যয় ২ লাখ ৫৯ হাজার ৬১৭ কোটি টাকা। বর্তমানে সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও প্রতিষ্ঠান কম্পিউটারভিত্তিক মাল্টিমডিউল ডাটাবেজের (আইবাস প্লাস প্লাস) মাধ্যমে বাজেট প্রণয়ন করছে। তা সত্ত্বেও বাজেটের সময়মতো ও সুষ্ঠু বাস্তবায়ন এখনও একটি প্রধান চ্যালেঞ্জ।


৫.‘অবৈধ’ মানি চেঞ্জারদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামবে সিআইডি

নিজস্ব প্রতিবেদক
অনুমোদনহীন মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠান এবং বৈধগুলোর অবৈধ শাখা বন্ধে শিগগির ঢাকাসহ দেশজুড়ে অভিযান পরিচালনার কথা জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গত রোববার বৈদেশিক মুদ্রার খোলা বাজারে স্থিতীশিলতা ফিরিয়ে আনা ও হুন্ডি বন্ধে মানি চেঞ্জারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠকে অভিযানের বিষয়ে জানানো হয়।পরে সিআইডির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অভিযান চালাতে মানি চেঞ্জাররা সহায়তা দেবেন বলে জানানো হয়। অনুমোদিত ২৩৫টির বাইরে আরও ৭০০টির মত মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠান অনুমোদন ছাড়াই কার্যক্রম চালাচ্ছে বলে এর আগে জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম।

সরবরাহ সংকটে সম্প্রতি ডলারের দর আকাশচুম্বী হয়ে পড়লে কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের মধ্যে সিআইডি এ পদক্ষেপের কথা জানাল। আমদানি বেড়ে চাহিদা তীব্র হলে খোলা বাজারে ডলারের দাম সাম্প্রতিক সময়ে ১২১ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সেই সময়টাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন আইনশৃংখলা বাহিনীও তৎপর হয় অবৈধ ডলার ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে। কড়াকড়ির পর দাম কমে এখন ১১০ টাকার আশেপাশে ঘুরপাক খাচ্ছে। এদিন ঢাকায় সিআইডি সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মানি চেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এ সমন্বয় সভায় অবৈধ হুন্ডি ব্যবসা, বৈধ এবং অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জের কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠকে অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে জন্য মানি চেঞ্জারদের সংগঠন সিআইডিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবে বলে জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, ‘হুন্ডি বা অর্থ পাচার রোধ, অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জের কার্যক্রম এবং বৈধ মানি এক্সচেঞ্জের অনুনোমোদিত একাধিক শাখা স্থায়ীভাবে বন্ধ করার লক্ষ্যে সিআইডি’র সাথে মানি চেঞ্জার্স এসোসিয়েশন একযোগে কাজ করবেন মর্মে উল্লেখ করেন।’
এবিষয়ে মানি চেঞ্জারস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. হেলাল উদ্দিন শিকদার বলেন, ‘সিআইডির সঙ্গে আজ আমরা মিটিং করেছি। আমরা তাদের (সিআইডি) বলেছি, অনুমোদন ছাড়া যারা মানি চেঞ্জিং প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। সিআইডির পক্ষ থেকে আমাদের আশ্বস্থ করা হয়েছে এই সপ্তাহের মধ্যেই তারা ফলপ্রসু ব্যবস্থা নেবে।’

সভায় অনুমোদনহীন মানিচেঞ্জারদের তালিকা তৈরিতে মানিচেঞ্জার সংগঠন ও সিআইডি সমন্বিতভাবে কাজ করবে বলেও আলোচনা হয়। গত কয়েক মাস ধরে অনুমোদিত ২৩৫টি মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩৫টি পরিদর্শন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে ৪২টিকে কারণ দর্শানোর নোটিস, ২৮টির ব্যাংক হিসাব তথ্য জানতে চেয়েছে এবং পাঁচটির লাইসেন্স স্থগিত করেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এমন পদক্ষেপের পর এবার অনুমোদনবিহীন ৭০০টির মত মানি চেঞ্জারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ তৈরি হল। এর বাইরেও ব্যক্তি পর্যায়েও অনেকে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। গত জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে এসব অবৈধদের একটি তালিকা বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দিয়েছিল মানি চেঞ্জারদের সংগঠনটি। রোববার বৈঠকে আগেরটির ভিত্তিতে পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানায় সিআইডি।

৬.মাসের শুরুতে প্রবাসী আয়ে সুবাতাস


নিজস্ব প্রতিনিধি

এখন বিদেশ থেকে যেকোনো পরিমাণ আয় পাঠাতে আর নথিপত্র লাগছে না। আবার প্রবাসী আয়ের ওপর আড়াই শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে চলতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম আট দিনে দেশে ৫৯ কোটি ৫৯ লাখ ডলার প্রবাসী আয় এসেছে। 
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বিভাগের এক প্রতিবেদন থেকে সোমবার এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে থেকে জানা যায়, ৫৯ কোটির মধ্যে ৫০ কোটি ডলারের বেশি প্রবাসী আয় এসেছে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে। সম্প্রতি সরকারি ব্যাংকের চেয়ে বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে বেশি প্রবাসী আয় আসার প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। এই আট দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে প্রবাসী আয় এসেছে ৯ কোটি ডলারের মতো।
গত আগস্ট মাসে দেশে প্রবাসী আয় এসেছিল ২০৩ কোটি ৭৮ লাখ মার্কিন ডলার। তার আগে জুলাই মাসে এসেছিল ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। জুলাই মাসে পবিত্র ঈদুল আজহার কারণে দেশে বিপুল পরিমাণ প্রবাসী আয় এসেছিল। আগস্ট মাসে দেশে বড় উৎসব ছিল না, তা সত্ত্বেও সেই সময় প্রবাসী আয়ের প্রবাহ ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যায়।
চলতি বছরের প্রথম আট মাসের মধ্যে যে তিন মাস প্রবাসী আয়ের প্রবাহ ২০০ কোটি ডলারের বেশি ছিল, তার মধ্যে আগস্টও একটি। এর বাইরে গত এপ্রিল ও জুলাই মাসে ২০০ কোটি ডলারের বেশি প্রবাসী আয় এসেছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, হঠাৎ বেসরকারি খাতের অনেক ব্যাংক সরকারি ব্যাংকগুলোর চেয়ে বেশি প্রবাসী আয় আনছে। কারণ, এসব ব্যাংক বেশি দামে বিদেশ থেকে ডলার কিনছে। এসব ব্যাংকের দ্বারস্থ হচ্ছেন প্রবাসীরাও।

৭.সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড ছাড়বে ন্যাশনাল ব্যাংক


নিজস্ব প্রতিবেদক
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ১০ কোটি মার্কিন ডলারের বন্ড ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।প্রাপ্ত তথ্যমতে, ব্যাংকটি সাত বছর মেয়াদি ফরেন কারেন্সি ডিনোমিটেড সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে ১০ কোটি ডলার সংগ্রহ করবে। মূলত ব্যাসেল থ্রি-এর অধীনে ব্যাংকের মূলধন শক্তিশালীকরণের জন্য এই বন্ড ইস্যু করবে ব্যাংকটি। নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন সাপেক্ষে এই বন্ড ইস্যু করতে পারবে ব্যাংকটি।কোম্পানিটি ১৯৮৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন করছে। ৫ হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন তিন হাজার ২১৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১ হাজার ৯৭২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট ৩২১ কোটি ৯৭ লাখ ৩৯ হাজার ৫৭০ শেয়ার রয়েছে। 


৮. শেখ হাসিনার ভারত সফরে বাংলাদেশে বিনিয়োগ প্রসঙ্গ

ফয়েজ রেজা
প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন মনে করে ভারত। দুই দেশের মধ্যে বহুমুখী সম্পর্ক আগেই ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের সফরের মাধ্যমে সেই সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে। ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনের ফোরকোর্টে শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১২ বার দেখা হয়েছে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে শেখ হাসিনার। এবারের দেখায় দুই দেশের নেতাদের সম্পর্ক আরও গতিশীল হবে। যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, পানি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা, উন্নয়ন অংশিদারিত্ব এবং আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক বিষয় সম্পর্কিত বিষয় ছিল এবারের সফরের মুখ্য বিষয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই দেশের মধ্যে আর্থিক খাত, সেবা, প্রযুক্তি হস্তান্তরখাতে বিনিয়োগ সম্পর্ক বাড়ানোর উপর জোর দিয়েছেন। মোংলা ও মিরের সরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভারতীয় উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই), কনফেডারেশন্স অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজ- সিআইআই, এফবিসিসিআই এর পরিচালক ও প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সদস্যদের সাথে কথা বলে এবং ভারত সরকারের মিনিস্ট্রি অব এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স এর বিভিন্ন সূত্র থেকে এসব বিষয় জানা গেছে। 

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সংগঠন এফবিসিসিআই এর ৬২ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নিয়েছিলেন। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন  এফবিসিসিআই এর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। এফবিসিসিআই সূত্রে জানা গেছে- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই দেশের সম্পর্কের সর্বোচ্চ সুফল পেতে বাণিজ্য সম্পর্ককে বিনিয়োগ সম্পর্কে উন্নীত করার জন্য ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ভারতের নয়াদিল্লীতে এফবিসিসিআই ও কনফেডারেশন্স অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজ- সিআইআই’র যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে নির্বাচিত প্রধান নির্বাহীদের সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন- করোনা মহামারীর পর বিশ্বে খাদ্য নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্পে বাড়তি মনোযোগ দিচ্ছে। সরকার এ খাতের উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে চান। 

প্রধানমন্ত্রীর এবারের ভারত সফরের বাণিজ্য প্রতিনিধিদের দলে ছিলেন এফবিসিসিআই এর পরিচালক ও ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এর চেয়ারম্যান প্রীতি চক্রবর্তী। সকালের সময়কে তিনি বলেন- ‘দুই দেশ এবং দুই দেশের নেতাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও মজবুত হওয়া ছাড়াও দৃশ্যমান কিছু অর্জন আছে প্রধানমন্ত্রীর এবারের ভারত সফরে। যার মধ্যে আছে- জ্বালানী, খাদ্য ও ট্রানজিট, আমাদের দেশে এখন যা জরুরি দরকার। এসব বিষয়ে ভারত সহযোগিতা করতে চায়। বাংলাদেশে এখন সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ আছে। এটি দুই দেশের জন্যেই শান্তির’। বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিদের সাথে ভারতের ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিদের যে সেমিনার হয়েছে- সেখানে ভারতের প্রফেসর সঞ্জয় কাঠুলিয়া একটি গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরেছেন। যেখানে ভারতের সাথে বাংলাদেশের হেলথ ট্যুরিজমের প্রসঙ্গটি উঠে এসেছে। ভারতে স্বাস্থ্য পর্যটনে প্রথম হচ্ছে বাংলাদেশ। বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়ার উপর জোর দিয়েছেন সঞ্জয় কাঠুলিয়া। প্রীতি চক্রবর্তী জানান-  প্রতি বছর স্বাস্থ্যখাতে আড়াই বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশ থেকে যায় ভারতে। মেডিকেল এডুকেশনে বাংলাদেশ বছরে ২ বিলিয়ন ডলার মেডিকেল রেমিটেন্স পায়। ভারতের বড় বিনিয়োগকারীরা যৌথভাবে অথবা এককভাবে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগ করতে পারে। ভারত স্বাস্থ্যখাতে যদি বিনিয়োগ করে, এটি বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের জন্য ভালো হবে। এফবিসিসিআই এর পক্ষ থেকে দেশের পাঁচটি বড় খাত যেমন- আইটি, ফার্মাসিটিকেলস, চামড়া, প্লাস্টিক, পাট শিল্পে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। যা আমরা এক্সপোর্ট করতে পারব। তিনি জানান- সফর শেষে এফবিসিসিআই এর বিশেষ সভায় এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে আগামী বছর ভারতের সাথে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিগণ এসব বিষয় নিয়ে আবারও আলোচনায় বসবে। 

এফবিসিসিআই এর সভাপতি জসিম উদ্দিন অশুল্ক বাধা দূর ও এন্টি ডাম্পিং শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। দেশের উদীয়মান অভ্যন্তরীণ বাজার, আন্তর্জাতিক বাজারে সহজ প্রবেশাধিকার, বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ওয়ান স্টপ সার্ভিস ও উদার বিনিয়োগ নীতিমালার সুবিধা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি জানান- এর মাধ্যমে ভারতের উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে লাভবান হতে পারেন। ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অর্থনৈতিক ক্ষেত্রগুলোতে সম্প্রসারিত হয়েছে। যা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে বিকশিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। 

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়ন, পর্যটন ও সংস্কৃতিমন্ত্রী জি কিশান রেড্ডি বলেন- দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অংশীদারিত্বেও সোনালী অধ্যায় রচিত হয়েছে। এ সম্পর্ককে আরও গভীর করতে হবে। যাতে দু’দেশের মানুষের উন্নয়ন হয়। এবারের সফরে নয়াদিল্লীতে এফবিসিসিআই ও ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান চেম্বার্স অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ফিকি)’র যৌথ আয়োজনে নিউ হরাইজনস ইন ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ইকোনোমিক রিলেশন্স শীর্ষক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে ভারতীয় ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের সঙ্গে যৌথ বিনিয়োগের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন এফবিসিসিআই এর সভাপতি জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন- ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। ভারতে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানি সহজীকরণ করা দরকার। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ভারতের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে সিরামিক, কাচপণ্যসহ লাভজনক খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।

 

৯..বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে বিকাশ কর্মকর্তাদের কর্মশালা


বাণিজ্য ডেস্ক
গ্রাহকের অর্থের নিরাপত্তা ও আস্থা নিশ্চিত করতে মোবাইল আর্থিক সেবায় ট্রাস্ট কাম সেটলমেন্ট অ্যাকাউন্ট পরিচালন সচেতনতা বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে বিকাশ কর্মকর্তাদের নিয়ে এক কর্মশালা আয়োজন করা হয়। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুসারে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের কাছে সৃষ্ট দায়ের সমপরিমাণ বা বেশি অর্থ তফসিলি ব্যাংকে ট্রাস্ট কাম সেটলমেন্ট অ্যাকাউন্ট খুলে ট্রাস্ট ফান্ড হিসেবে জমা রাখার বাধ্যবাধকতা ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন নির্দেশনা সম্পর্কে সচেতন করা হয়।গত রোববার বিকাশ নির্ধারিত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আয়োজিত কর্মশালাটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্টের উপপরিচালক আনোয়ার উল্যাহ। বিকাশের বিভিন্ন বিভাগের ৬০ জনের বেশি কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।‘গাইডলাইন ফর ট্রাস্ট ফান্ড ম্যানেজমেন্ট ইন পেমেন্ট অ্যান্ড সেটলমেন্ট সার্ভিসেস’ নীতিমালার বিস্তারিত উপস্থাপিত হয় কর্মশালায়। এ নীতিমালার করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়।গ্রাহকের অর্থের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নগদ টাকা ই-মানিতে রূপান্তর করার প্রক্রিয়াটি এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিশেষ ধরনের ট্রাস্ট কাম সেটলমেন্ট অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পরিচালনা করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এমনকি সেবাদাতাদের প্রাতিষ্ঠানিক অ্যাকাউন্ট থেকে এ অ্যাকাউন্ট ভিন্নভাবে পরিচালনার নির্দেশনা আছে। এ অ্যাকাউন্ট খোলার আগে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অবশ্যই অনুমোদন নিতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রবর্তিত নীতিমালা অনুসারে এ অ্যাকাউন্টের অর্থ জামানত রেখে কোনোভাবেই ঋণ গ্রহণের সুযোগ নেই। অ্যাকাউন্ট থেকে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কোনো নগদ অর্থও উত্তোলন করতে পারবে না।


১০.নাসির গ্রুপের চেয়ারম্যান আর নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক    
দেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্পগ্রুপ নাসির গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নাসির উদ্দিন বিশ্বাস মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। সোমবার বেলা ১১টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাসির উদ্দিনের বড় ভাইয়ের ছেলে কিবরিয়া বিশ্বাস।নাসির উদ্দিন কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের সন্তান। স্বাধীনতার পর তিনি নাসির গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন। এই গ্রুপ এখন দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী। এই গ্রুপের ব্যবসা গ্লাস, তামাক, মুদ্রণ ও প্যাকেজিং, এনার্জি সেভিং ল্যাম্প ইত্যাদি খাতে বিস্তৃত।নাসির উদ্দিন বিশ্বাস শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি নিজের উপজেলা দৌলতপুরের ১৪ ইউনিয়নে ১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। পরে তা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়।এছাড়া তিনি গড়ে তোলেন নাসির উদ্দিন বিশ্বাস গার্লস হাই স্কুল, নাসির উদ্দিন বিশ্বাস কলেজ, নাসির উদ্দিন বিশ্বাস পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও নার্সিং ইনস্টিটিউট। মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং চিকিৎসাসেবায় আনেয়ারা বিশ্বাস মা ও শিশুকেন্দ্রও প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।

 


আরও পড়ুন