সকালের সময় টপ ১০ কর্পোরেট সংবাদ

news paper

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২০-৯-২০২২ দুপুর ১২:৩

9Views

১ । ৪ শতাংশ সুদে ঋণ পাবেন লবণচাষিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
লবণ চাষের জন্য চাষিরা ৪ শতাংশ রেয়াতি সুদ হারে ঋণ পাবেন। তবে বিতরণ করা ঋণের নির্ধারিত মেয়াদ শেষে কোনো ঋণ সম্পূর্ণ বা আংশিক অনাদায়ী থাকলে রেয়াতি সুদ হার প্রযোজ্য হবে না। গত রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছে।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, সমুদ্র উপকূলীয় যেসব এলাকা লবণ চাষের উপযোগী, সেখানে লবণ চাষ মৌসুমে (নভেম্বর মাস থেকে মে মাস পর্যন্ত) রেয়াতি সুদের হারে ঋণ দেওয়া হবে। প্রকৃত লবণ চাষিদের অনুকূলে একক ও গ্রুপ ভিত্তিতে ঋণ বিতরণ করা যাবে।যেসব লবণ চাষির জমির মালিকানা আছে, তাদের মালিকানার সপক্ষে দাখিল করা দলিলপত্র এবং প্রাথমিক জামানত হিসেবে উৎপাদিত লবণ হাইপোথিকেশনের বিপরীতে রেয়াতি সুদে ঋণ দেওয়া হবে। বর্গাচাষিদের ক্ষেত্রে জমির মালিক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির প্রত্যয়নপত্র নিতে হবে। ১০ টাকায় খোলা অ্যাকাউন্ট ও কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড ছাড়া লবণচাষিদের শনাক্তকরণের অন্য কোনো কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে না।

বিতরণ করা ঋণের নির্ধারিত মেয়াদ শেষে কোনো ঋণ সম্পূর্ণ বা আংশিক অনাদায়ী থাকলে রেয়াতি সুদ হার প্রযোজ্য হবে না। এক্ষেত্রে ঋণ বিতরণের তারিখ থেকে ব্যাংক নির্ধারিত স্বাভাবিক সুদ হার প্রযোজ্য হবে।ব্যাংকগুলো রেয়াতি সুদে বিতরণ করা ঋণ আদায় ও সমন্বয়ের পর ঋণ হিসেবের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট অর্থবছর শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ৪ শতাংশ হারে সুদ ক্ষতিপূরণের আবেদন করবে।

দাখিল করা দাবি ন্যূনতম ১০ শতাংশ ঋণ নথি সরেজমিনে যাচাই করে প্রাপ্য সুদ ক্ষতিপূরণের পরিমাণ নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক তার নিজস্ব হিসাব থেকে ব্যাংকগুলোকে সুদ ক্ষতির অর্থ পরিশোধ করে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে তা পুনর্ভরণের ব্যবস্থা করবে। তবে, কোনো ঋণ হিসাবে ৪ শতাংশের বেশি সুদ আদায় করলে ঋণ হিসাব সুদ ক্ষতি পুনর্ভরণের জন্য বিবেচিত হবে না।

সময়ে সময়ে জারি করা কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালায় বর্ণিত অন্যান্য নির্দেশানা লবণ চাষে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ সার্কুলার জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে।


২.ডিসিসিআই-এসএমই ফাউন্ডেশনের মধ্যে চুক্তি


নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের সিএমএসএমই খাতের সার্বিক উন্নয়ন এবং সম্ভাব্য আর্থিক সহায়তা প্রাপ্তিতে সহযোগিতা প্রদান, সারাদেশে এসএমই খাতের ক্লাস্টার উন্নয়ন, রপ্তানি বৃদ্ধি ও রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ, এলডিসি-পরবর্তী সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সিএমএসএমই খাতের দক্ষতা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনায় যৌথভাবে কাজ করার লক্ষ্যে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশনের (এসএমই ফাউন্ডেশন) মধ্যে গতকাল একটি সহযোগিতা স্মারক ডিসিসিআই মিলনায়তনে স্বাক্ষরিত হয়।

ঢাকা চেম্বারের মহাসচিব আফসারুল আরিফিন এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ওই সহযোগিতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান জানান, দেশের এসএমই খাতের উন্নয়নে এসএমই ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে একযোগে কাজ করছে এবং আজকের এ সহযোগিতা চুক্তি-পূর্ববর্তী কাজের ধারাবাহিকতাকে আরও বেগবান করবে।

এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন ড. মো. মাসুদুর রহমান বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক কার্যক্রমের বেশিরভাগই ঢাকা ও চট্টগ্রামকেন্দ্রিক। তবে সারাদেশে অর্থনীতির কার্যক্রমকে ছড়িয়ে দিতে হলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের বিকাশের কোনো বিকল্প নেই। তিনি উল্লেখ করেন, কভিডকালে এসএমইদের অর্থায়নে সহায়তার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ২৩ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, তবে এ খাতের উদ্যোক্তাদের অর্থায়ন নিশ্চিতকল্পে নীতিমালা সহজীকরণ ও আইনের সংস্কার একান্ত আবশ্যক এবং এ লক্ষ্যে ডিসিসিআইসহ অন্যান্য বাণিজ্য সংগঠনগুলো বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে পারে। বৈশ্বিক বাণিজ্যের প্রতিযোগিতার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশীয় উদ্যোক্তাদের গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও নতুন পণ্য উদ্ভাবনে বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান জানান এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন। ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি আরমান হক, সহসভাপতি মনোয়ার হোসেন এবং পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

৩.গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের আইপিও আবেদনের তারিখ নির্ধারণ


নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ারবাজারে নতুন করে আসছে ব্যাংকিং খাতের প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক। ব্যাংকটির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। ব্যাংকটির আইপিও আবেদন শুরু হবে আগামী ১৬ অক্টোবর। চলবে ২০ অক্টোবর পরযন্ত। সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে আইপিওর মাধ্যমে ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে পুঁজিবাজার থেকে ৪২৫ কোটি টাকা মূলধন উত্তোলনের অনুমোদন পেয়েছে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড।

বিএসইসি জানায়, আইপিওর মাধ্যমে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের ৪২ কোটি ৫০ লাখ শেয়ার ইস্যু করে পুঁজিবাজার থেকে ৪২৫ কোটি উত্তোলন করবে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক। উত্তোলিত অর্থ এসএমই, সরকারি সিকিউরিটিজ ও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ এবং  প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের খরচ খাতে ব্যয় করবে ব্যাংকটি। কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড ও প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

৪.দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমলো


নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম। গত রোববার ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে ৯৩৩ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৮২ হাজার ৩৪৮ টাকা হয়েছে।স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে দেশের বাজারে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।সোমবার থেকে স্বর্ণের এই নতুন দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। নতুন দাম অনুযায়ী, ভালো মানের ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ৯৩৩ টাকা কমিয়ে ৮২ হাজার ৩৪৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৮৭৫ টাকা কমে ৭৮ হাজার ৬১৫ টাকা করা হয়েছে। ১৮ ক্যারেটের দাম কমানো হয়েছে ৭০০ টাকা, এখন বিক্রি হবে ৬৭ হাজার ৪১৮ টাকা। সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ভরিতে ৫৮৩ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫ হাজার ৮৭১ টাকা।

তবে রুপার দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। ক্যাটাগরি অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৫১৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের রুপার দাম ১ হাজার ৪৩৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের রুপার দাম ১ হাজার ২২৫ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ৯৩৩ টাকা অপরিবর্তিত আছে। এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর সবশেষ দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানো হয়।তখন ভরিতে এক হাজার ২৮৩ টাকা কমে ভালো মানের স্বর্ণের (২২ ক্যারেট) দাম প্রতি ভরি ৮৩ হাজার ২৮১ টাকা হয়।


৫.ইসলামী ব্যাংকের বিশেষ ক্যাম্পেইন শুরু


নিজস্ব প্রতিনিধি
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড ‘সঞ্চয়ে সমৃদ্ধি নিরাপদ আগামী’ শীর্ষক ১৫ দিনব্যাপী বিশেষ ক্যাম্পেইন শুরু করেছে। ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা সোমবার ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে প্রধান অতিথি হিসেবে ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী। অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ ওমর ফারুক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ডেভেলপমেন্ট উইংপ্রধান মোঃ মাকসুদুর রহমান। ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ আলতাফ হুসাইন, মোঃ নাইয়ার আজম, মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার ও আবুল ফায়েজ মুহাম্মাদ কামালউদ্দিন, মুহাম্মদ শাব্বির, ক্যামেলকো তাহের আহমেদ চৌধুরী এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মিফতাহ উদ্দিনসহ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন নির্বাহীবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ব্যাংকের সকল জোনপ্রধান, শাখাপ্রধান ও উপশাখা ইনচার্জগণ ভার্চুয়াল প্লাটফর্মের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিলেন।

ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ইসলামী ব্যাংক গ্রাহকদের চাহিদা ও প্রয়োজনকে গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন আমানত প্রকল্প চালু করেছে। এসব প্রকল্প গ্রাহকদের মাঝে আরও বেশি জনপ্রিয় করে সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধকরণে এ ক্যাম্পেইন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এছাড়া সুবিধাবঞ্চিত ব্যক্তিদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণের মাধ্যমে জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি করতেও সঞ্চয় অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করে। গ্রাহকদের সমৃদ্ধ আগামী ও ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার জন্য সঞ্চয়কে উদ্ধুদ্ধ করা এ ক্যাম্পেইনের মূল লক্ষ্য।


৬.‘বাজেট সহায়তার আগে অর্থনীতি পর্যালোচনা করছে বিশ্ব ব্যাংক’


নিজস্ব প্রতিবেদক
বাজেট সহায়তা দেওয়ার আগে বাংলাদেশের অর্থনীতি অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছে বিশ্ব ব্যাংক। এর অংশ হিসেবে সোমবার পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলমের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিশ্ব ব্যাংকের একটি প্রতিনিধি দল। এতে নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির দক্ষিণ এশিয়ার রিজওনাল ডিরেক্টর ম্যাথিউ ভারগিস। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।

রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিশ্রুত ২৫ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা ছাড় দেওয়ার আগে তারা (বিশ্বব্যাংক) বেশ কিছু বিষয় জানতে চেয়েছে। এর মধ্যে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি, রিজার্ভের অবস্থা, মূল্যস্ফীতি, ভ্যাট আইন সংস্কার, সিপিটিইউকে পাবলিক প্রকিউমেন্ট অথরিটি করার অগ্রগতি এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীর গতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন থেকে কমে গেছে এটা চ্যালেঞ্জ। কিন্তু আমাদের রফতানি বাড়ছে ২৫ শতাংশ হারে। আমদানি বাড়ছে ২৩ শতাংশ হারে। গত এক মাসে রেমিটেন্স এসেছে দুই বিলিয়ন ডলার। ফলে আমরা এখন স্বস্তিদায়ক অবস্থায় আছি। রিজার্ভের উপর চাপ কমবে। আমাদের বিনিময়মূল্য স্থিতিশীল আছে, কোথায় উৎপাদন ব্যাহত হয়নি।

তিনি আরও বলেন, বাইরের প্রভাবে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি হয়েছে। আশা করছি আগামীতে তা কমে আসবে। অর্থনীতি আমাদের আয়ত্তে আছে, তবে রিজার্ভ ধরে রাখতে আমাদের বাজেট সহায়তা প্রয়োজন। প্রচুর বৈদেশিক ঋণ এবং সরাসরি বিনিয়োগ দরকার।

সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের গতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মেগা প্রকল্পসহ দেশের সব প্রকল্পের গতি বৃদ্ধির প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। আমরা গ্রিন গ্রোথে গুরুত্ব দিচ্ছি। তবে ব্যবস্থাপনার অদক্ষতাই প্রকল্প বাস্তবায়নে বড় চ্যালেঞ্জ। এক্ষেত্রে উন্নয়ন করা হচ্ছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং নিজস্ব গ্যাস অনুসন্ধানে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মো. মামুন আল রশীদ, পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য (সচিব) ড. কাওসার আহমেদ প্রমুখ

৭.এএমজেড হসপিটাল ও সেনা কল্যাণ সংস্থার মধ্যে চুক্তি


বাণিজ্য ডেস্ক
এএমজেড হসপিটাল লি. এবং সেনা কল্যাণ সংস্থার মধ্যে সম্প্রতি একটি কর্পোরেট চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ঢাকার এসকেএস টাওয়ারে সেনা কল্যাণ সংস্থার অফিসে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেনা কল্যাণ সংস্থার সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের বিশেষ মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়াসহ আরও বিভিন্ন বিষয়ে দুই পক্ষের সম্পর্ক জোরালো করতে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। 

এই চুক্তির পর এএমজেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মানবতার কল্যাণে নিয়োজিত সেনা কল্যাণ সংস্থার সব কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং তাদের পরিবারকে হাসপাতালের বর্তমান মূল্যের ওপর সর্বোচ্চ ছাড় দিয়ে বিশেষ মূল্যে চিকিৎসা সেবা দেবে। অনুষ্ঠানে এএমজেড হাসপাতাল লিমিটেডর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. জুলফিকার আলী, ডিজি রাশিদুল মজিদ চৌধুরী এবং সিনিয়র ম্যানেজার-মার্কেটিং মাঈন উদ্দিন আকাশ।

সেনা কল্যাণ সংস্থার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন এয়ার কমোডোর মো. শাহারুল হুদা (মহাপরিচালক কল্যাণ), কর্নেল মো. আরশাদুজ্জামান খান (উপ-মহাপরিচালক, সেনা কল্যাণ টাওয়ার), ডাক্তার মেজর মো. শাহরিয়ার (উপ মহাব্যবস্থাপক-স্বাস্থ্য) এবং নাছরিন আক্তার (সহকারী মহাব্যবস্থাপক-প্রশাসন)।

৮.রপ্তানিতে নগদ সহায়তা পাবে হালাল মাংসসহ ৪৩ পণ্য


নিজস্ব প্রতিবেদক
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে হালাল মাংসসহ ৪৩টি পণ্য ও খাতকে রপ্তানির বিপরীতে ভর্তুকি বা নগদ সহায়তা দেওয়া হবে। গত অর্থ বছরের মতো এবারও ১ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ হারে এই নগদ সহায়তা পাবেন রপ্তানিকারকরা। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

সার্কুলারের নির্দেশনা অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ে বস্ত্রখাতের ৫টি উপ-খাতসহ ৪৩টি পণ্যে রপ্তানির বিপরীতে প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা পাওয়া যাবে। গতবার ৪২টি পণ্য এ সহায়তা পেয়েছিল।সার্কুলারের বলা হয়, চলতি অর্থ বছরে ১০০ শতাংশ হালাল মাংসের সঙ্গে ১০০ শতাংশ হালাল উপায়ে প্রক্রিয়াকৃত মাংসজাত পণ্যে ১০ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা দেওয়া হবে। সফটওয়্যার ও আইটিইএস সেবা রপ্তানির বিপরীতে ব্যক্তি পর্যায়ে ফ্রিল্যান্সাররা ৪ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা পাবেন। তবে বস্ত্রখাতে যুক্তরাজ্যে রপ্তানির ক্ষেত্রে বাজার সম্প্রসারণ সহায়তা প্রযোজ্য হবে না।

গত বছরের মতো চলতি অর্থ বছরেও বেজা, বেপজা ও হাইটেক পার্কে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে সংশ্লিষ্ট পণ্যখাতে নগদ সহায়তা প্রযোজ্য থাকছে।
নগদ সহায়তার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বরাবরের মতো চলতি অর্থ বছরের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে নগদ সহায়তা পরিশোধ বিষয়ে এ সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

রপ্তানিকারকরা বলছেন, চলমান পরিস্থিতিতে ঘোষিত নগদ সহায়তা রপ্তানি বাণিজ্য প্রসারে সহায়তা করবে। এ প্রণোদনা ডলার সংকট কাটাতে সহায়তা করবে। পাশাপাশি বৈদেশিক বাণিজ্যে স্বস্তি আসবে। এছাড়া, এর মাধ্যমে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।


৯.১৫ দিনে প্রবাসী আয় এলো ১০০ কোটি ডলার

নিজস্ব প্রতিবেদক
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের প্রথম ১৫ দিনে ১০০ কোটি ৮৬ লাখ (১০০৮ দশমিক ৬৭ মিলিয়ন) ডলার আয় বা রেমিট্যান্স এসেছে বিদেশে  থাকা প্রবাসীদের। যা দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১০৮ টাকা ধরে) যার পরিমাণ ১০ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা। আর ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান বিভাগের এক প্রতিবেদনে এ চিত্র পাওয়া গেছে।

সেপ্টেম্বরের প্রথম ১৫ দিনে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পাঁচ বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিটেন্স এসেছে ১৪ কোটি ৫ লাখ মার্কিন ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিটেন্স এসেছে ৮৪ কোটি ৮৩ লাখ মার্কিন ডলার। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৪ লাখ মার্কিন ডলার আর বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে এক কোটি ৬৪ লাখ মার্কিন ডলার।

আলোচিত সময়ে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে বেসরকারি ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। ব্যাংকটির মাধ্যমে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২২ কোটি ডলার। এরপর সিটি ব্যাংকে এসেছে ৯ কোটি ৯৭ লাখ ডলার, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে ৭ কোটি ৩০ লাখ, অগ্রণী ব্যাংকে ৬ কোটি ২৩ লাখ এবং ডাচ্–বাংলা ব্যাংক ৫ কোটি ২১ লাখ এবং পূবালী ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৫ কোটি ৫৮ লাখ ডলার প্রবাসী আয়।

আলোচিত সময়ে সরকারি বিডিবিএল, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বিদেশি ব্যাংক আল-ফালাহ, হাবিব ব্যাংক ও  ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া ও ওরি ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি।এদিকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে বিভিন্ন ছাড় ও সুবিধার সুফল দেখা যাচ্ছে। চলতি অর্থবছরের টানা দুই মাস ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স বৈধ পথে পাঠিয়েছে প্রবাসীরা। গত আগস্ট মাসের ২০৩ কোটি ৭৮ লাখ (২ দশমিক ০৩ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। তার আগের মাস জুলাইয়ে এসেছিল ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। জুলাই মাসে ঈদ-উল আজহার কারণে দেশে বিপুল পরিমাণ প্রবাসী আয় এসেছিল। তবে আগস্টে বড় উৎসব ছিল না, তারপরও প্রবাসী আয় ২০০ কোটি ডলার ছাড়ায়। চলতি বছরের প্রথম আট মাসের মধ্যে যে তিন মাস প্রবাসী আয় ২০০ কোটি ডলারের বেশি ছিল।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, হঠাৎ বেসরকারি খাতের অনেক ব্যাংক সরকারি ব্যাংকগুলোর চেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আনছে। কারণ, এসব ব্যাংক বেশি দামে বিদেশ থেকে ডলার কিনছে। প্রবাসীরাও বেশি দাম পাওয়ায় এসব ব্যাংকের দ্বারস্থ হচ্ছেন।

প্রণোদনা ও ডলারের দাম বাড়ার পরও ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রবাসী আয়ে বড় পতন হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ (২১ দশমিক ৩ বিলিয়ন) মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৫ দশমিক ১১ শতাংশ কম। ২০২০-২১ অর্থবছরে দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ (২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।

এখন বিদেশ থেকে যেকোনো পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠাতে কোনো ধরনের কাগজপত্র লাগে না। এছাড়া আবার প্রবাসী আয়ের ওপর আড়াই শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। ডলারের সংকট নিরসন ও প্রবাসী আয় বাড়াতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো নিজেরাই বসে গত ১১ সেপ্টেম্বর  সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ করে দেয়। ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ অথরাইজড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) যৌথ সভায় দাম নির্ধারণ করে।

বাফেদার ঘোষিত দাম অনুযায়ী, এখন থেকে দেশে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী শ্রমিকদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে প্রতি ডলার সর্বোচ্চ ১০৮ টাকায় কিনতে পারবে ব্যাংক। বাণিজ্যিক রেমিট্যান্স ও রপ্তানি বিল নগদায়ন হবে প্রতি ডলার ৯৯ টাকায়। এ ছাড়া রেমিট্যান্স আহরণ ও রপ্তানি বিল নগদায়নে ব্যাংকগুলোর গড় (ওয়েট অ্যান্ড এভারেজ) মূল্যের সঙ্গে সর্বোচ্চ এক টাকা যোগ করে আমদানিকারকের কাছে ডলার বিক্রি করতে পারবে ব্যাংকগুলো।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে ‘টাকার বিনিময় মূল্য’ অংশে বলা হয়েছে, চাহিদা ও জোগানের ভিত্তিতে এবং বাফেদার নির্দেশনা অনুযায়ী আন্তব্যাংক লেনদেন এবং গ্রাহক লেনেদেনের জন্য টাকার বিনিময়মূল্য নির্ধারণ করছে ব্যাংকগুলো। সবশেষ ১৮ সেপ্টেম্বরের দেয়া তথ্য অনযায়ী, ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্য সর্বোচ্চ ১০৫ টাকা ৫০ পয়সা এবং সর্বনিম্নও ১০৫ টাকা ৫০ পয়সা দেয়া আছে।


১০.ব্যাংক খাতে দক্ষতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছে আইসিসিবি


নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের ব্যাংক কর্মকর্তাদের জন্য ব্যাংক খাতের চলমান নানা বৈশ্বিক ইস্যুতে সেমিনার ও গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করবে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশ (আইসিসিবি)। আইসিসিবি ব্যাংকিং কমিশন এসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। সম্প্রতি কমিশনের এক বৈঠকে দেশের ব্যাংক খাতের কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিসংক্রান্ত ভবিষ্যৎ কর্মসূচি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

আইসিসিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ২০২৩ সালের জন্য আইসিসি বাংলাদেশের কর্মপরিকল্পনাও প্রস্তুত করেছে কমিশন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন আইসিবি ব্যাংকিং কমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এ (রুমী) আলী।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আইসিসি বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুর রহমান, আইসিসিবি ব্যাংকিং কমিশনের সদস্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো. আহসান উল্লাহ, পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল আহমেদ চৌধুরী, ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমরানুল হক, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আলী জওহর রিজভী, ইস্টার্ন ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ শাহীন এবং আইসিসি বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল আতাউর রহমান।

 


আরও পড়ুন