সকালের সময় টপ ১০ কর্পোরেট সংবাদ

news paper

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৫-৯-২০২২ দুপুর ১২:৫৫

8Views

১.
বেস্ট ব্যাংক অ্যাওয়ার্ড পেল ইসলামী ব্যাংক


নিজস্ব প্রতিবেদক
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড সাউথ এশিয়ান পার্টনারশিপ সামিট প্রদত্ত সাউথ এশিয়ান বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২২ এ ‘বেস্ট ব্যাংক ইন বাংলাদেশ’ পুরস্কার লাভ করেছে।বৃহস্পতিবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার কাছে এ পুরস্কার হস্তান্তর করেন। এ সময় মোরশেদ আলম এমপি, সাউথ এশিয়ান পার্টনারশিপ সামিট ও বিজনেস এক্সিলেন্স এ্যাওয়ার্ড-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপারসন আশা জয়ামানে, ইসলামী ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী ও জে. কিউ. এম. হাবিবুল্লাহ, এফসিএস এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মিফতাহ উদ্দীনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

২.
পুঁজিবাজারে মূলধন বেড়েছে ২ হাজার ৬১৭ কোটি টাকা 


নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের পুঁজিবাজার পার করলো আরও একটি সপ্তাহ। আলোচিত সপ্তাহে লেনদেন ও সূচক বেড়েছে। তবে কমেছে লেনদেন হওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম। তাতে বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন অর্থাৎ পুঁজি বেড়েছে ২ হাজার ৬১৭ কোটি টাকা। সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে এ চিত্র দেখা গেছে। বিদায়ী সপ্তাহে (১৫ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর) মোট পাঁচ কর্মদিবস লেনদেন হয়েছে। এ পাঁচ দিনের মধ্যে সপ্তাহের প্রথম ও দ্বিতীয় কর্মদিবস সূচক বেড়েছে। তৃতীয় ও চতুর্থ কর্মদিবস সূচক কমেছে। আবার সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার সূচকের উত্থানের মধ্যদিয়ে লেনদেন হয়েছে।ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মোট ৩৯৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৮৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১৬৬টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ১৩৪টির। এছাড়া লেনদেন হয়নি ১০ প্রতিষ্ঠানের। অধিকাংশ কোম্পানির কোম্পানির শেয়ারের দাম কমার পরও বড় মূলধনী কোম্পানির শেয়ারের উত্থানে বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ৪৮ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৫৬৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস সূচক ৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৪৩৬ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ১৯ পয়েন্ট বেড়ে দুই হাজার ৩৬৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সূচক ও দাম বাড়ায় বিদায়ী সপ্তাহে বাজার মূলধন (পুঁজি) বেড়েছে ২ হাজার ৬১৭ কোটি ৪২ লাখ ৪১ হাজার ১২৬ টাকা। তবে তার আগের সপ্তাহে মূলধন কমেছিল ২ হাজার ৫৩৭ কোটি ৭৮ লাখ ৫২ হাজার ৩১০ টাকা। সপ্তাহের শুরুতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ২০ হাজার ১২৬ কোটি ৫৬ লাখ ৮১ হাজার ৯২১ টাকায়। সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে মূলধন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ২২ হাজার ৭৪৩ কোটি ৯৯ লাখ ২৩ হাজার ৪৭ টাকায়। মূলধন বেড়েছে দশমিক ৫০ শতাংশ। একই অবস্থায় লেনদেন হয়েছে দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক ২০৩ পয়েন্ট বেড়ে ১৯ হাজার ৩৪৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এই সময়ে লেনদেন হয়েছে ৪০৮ কোটি ৯২ লাখ ৩৬ হাজার ৬১৮ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১৪৪ কোটি ২৩ লাখ ৪১ হাজার ৯৪২ টাকা। বিদায়ী এই সপ্তাহে লেনদেন হওয়া ৩৩৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৯২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের, কমেছে ১১৬টির আর অপরিবর্তিত ১২৯টির দাম।

৩.
কীভাবে দেনা পরিশোধ করবে, জানাবে ইভ্যালি


নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশের আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি আবারও নতুন করে কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ রাসেলের স্ত্রী শামীমা নাসরিনের নেতৃত্বে আবারও চালু হবে ইভ্যালি। নতুন কার্যক্রমকে সামনে রেখে সার্বিক বিষয়ে শিগগিরই সংবাদ সম্মেলন ডাকা হবে বলে ইভ্যালির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।শুক্রবার বিকালে ইভ্যালির ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজে এ নিয়ে একটি পোস্ট দেয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে- ‘পূর্বের অর্ডার ডেলিভারি, গেটওয়ের টাকা এবং দেনা পরিশোধ সংক্রান্ত সব আপডেট নিয়ে খুব শীঘ্রই একটি প্রেস কনফারেন্স আয়োজন করা হবে। ‘
এদিকে মোহাম্মদ রাসেলের সময়ে পরিচালিত কর্মকাণ্ড অডিট করে ৪৭ হাজার কোটি টাকার হদিস পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন বিদায়ী বোর্ড প্রধান সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। এরই মধ্যে রাসেলের স্ত্রী, শাশুড়ি এবং একজন নিকটাত্মীয়কে নিয়ে নতুন একটি বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে। রাসেলের স্ত্রী এই মামলায় কারাবাস শেষে গত এপ্রিলে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।এর আগে পাওনা টাকা কিংবা পণ্যের দাবিতে গ্রাহকদের বিক্ষোভের জের ধরে গত বছর ২১ সেপ্টেম্বর নিজেদের অফিস বন্ধ ঘোষণা করেছিল ইভ্যালি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে গ্রাহক, মার্চেন্ট ও অন্যান্য সংস্থার কাছে তখন ইভ্যালির দেনা ছিল ৫৪৩ কোটি টাকা, আর এর গ্রাহক ছিল দুই লাখেরও বেশি। তবে নানা ঘটনার পর এখন আবার এর প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ রাসেলের স্ত্রী শামীমা নাসরিন, শাশুড়ি ও একজন নিকটাত্মীয়কে নিয়ে নতুন করে বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

৪.
বিশ্ববাজারে ক্রমবর্ধমান মন্দা আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা


বাণিজ্য ডেস্ক
চলতি সপ্তাহে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো দশকের উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সুদের হার বাড়ানোর পর ক্রমবর্ধমান মন্দার আশঙ্কায় শুক্রবার স্টক মার্কেট গুলোতে ধস নেমেছে। ডলারের বিপরীতে পাউন্ড বিপর্যস্ত হয়েছে এবং তেলের দাম কমেছে।মূল্যবৃদ্ধির তেজ কমার কোনো সুস্পস্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে মুদ্রা নীতিনির্ধারকরা সতর্ক করছেন, অর্থনীতিতে স্বল্প-মেয়াদী আঘাতগুলো দীর্ঘ মেয়াদী প্রভাবের চেয়ে কম বেদনাদায়ক।
মন্দার সতর্কতার পর বুধবার ফেডারেল রিজার্ভ সতর্কতার পদক্ষেপ হিসেবে ধারাবাহিক তৃতীয় বৈঠকে সুদের হার দশমিক ৭৫ শতাংশ পয়েন্টে নির্ধারণ করে এবং চলমান প্রক্রিয়ার মধ্যে এই হার আরো বাড়তে পারে যা ২০২৪ সালে কমে আসতে পারে।ব্রিটেন, সুইডেন, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড, ফিলিপাইন এবং ইন্দোনেশিয়াসহ অন্যান্য দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলো অনুরূপ পদক্ষেপ নিয়েছে। সব সূচকই স্টক মার্কেটের জন্য একটি নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে।
ওয়াল স্ট্রিট শুক্রবার লোকসান বাড়িয়েছে। ২০২০ সালের নভেম্বরের পর থেকে ডাও (স্টক মার্কেট) সর্বনিম্ন মূল্য সূচকে নেমে এসেছে। ইউরোপীয় মার্কেটে মূলধন হ্রাস পেয়েছে। এশিয়ার শেয়ার বাজারে দর পতন হয়েছে।ট্রেডিং প্লাটফর্ম ওএএনডিএর বিশ্লেষক ক্রেগ এরলাম বলেছেন, এশিয়ায় সপ্তাহের একটি নেতিবাচক সমাপ্তি। এবং ইউরোপে আরও বেশি নেতিবাচক প্রভাব মন্দার সম্ভাবনাকে দ্রুত অনুসরণ করেছে।বাজেটে কর বৃদ্ধি জনসাধারণের মধ্যে আর্থিক উদ্বেগ ছড়িয়েছে। মন্দার আশঙ্কা তীব্র হচ্ছে। এতে ব্রিটিশ পাউন্ডের মান ৩৭ বছরের সর্বনিম্নে নেমে এসে ১ দশমিক ১০ ডলারে দাঁড়িয়েছে। সিএমসি মার্কেটস ইউকের প্রধান বাজার বিশ্লেষক মাইকেল হিউসন বলেছেন, ইকুইটি বাজারগুলোতে এই উদ্বেগের কারণে যুক্তরাজ্যে মুদ্রাস্ফীতি আরও বেশি চড়া হওয়ার দিকে ঠেলে দিতে পারে। এছাড়া এটিকে কমিয়ে আনা আরও কঠিন করে তুলতে পারে।


৫.
সবজির দাম কমেনি, বেড়েছে আদা-রসুনের


নিজস্ব প্রতিবেদক
বাজারে রয়েছে সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ। যে অজুহাতে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়েছিলেন, সেই বৃষ্টিও নেই এখন। তারপরও কাঁচা পেঁপে ছাড়া সব ধরনের সবজির দাম ৬০ টাকার ওপরে। কোনো কোনোটির দাম দেড়শ টাকার কাছাকাছি। শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।সম্প্রতি বৃষ্টির কারণে গত সপ্তাহে সবজির দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছিল। সেই বাড়তি দর এখনও আছে। বেশিরভাগ সবজির দাম ৬০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। কয়েকটির দাম ১০০ টাকার বেশি।বাজারে প্রতি কেজি গোল বেগুন ৯০ থেকে ১০০ টাকা, লম্বা বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, শসা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ও পটোল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কচুর লতি ও বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ও ধুন্দুল ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে কদর কম থাকা সবজি মুলার কেজিও ৬০ টাকা রাখছেন বিক্রেতারা। এ ছাড়া প্রতি কেজি টমেটোর দাম ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, শিম ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা এবং গাজরের কেজি ১২০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে কিছুটা কম দামে পাওয়া যাচ্ছে পেঁপে। ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে সবজিটি।
নতুন করে বাঁধাকপি ও ফুলকপি আসা শুরু হয়েছে বাজারে। তবে সেগুলো আকারে খুবই ছোট হলেও দামে চড়া। এক পিস বাঁধাকপি ও ফুলকপি কিনতে খরচ পড়বে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। এ ছাড়া প্রতি পিস লাউ কিনতে ৬০ থেকে ৭০ টাকা; আর জালি কুমড়ায় ৪০ থেকে ৫০ টাকা খরচ পড়বে। শাকের দামও কম নয়। প্রতি আঁটি লাল শাক ২৫ টাকা, ডাটা শাক ২৫ টাকা, পুই শাক ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।সবজি বিক্রেতারা জানান, গ্রীষ্ম আর বর্ষাকালীন সবজির মৌসুম প্রায় শেষ। এখন শীতের সবজি আসা শুরু হয়েছে। তবে পরিমাণে খুব কম। এ কারণে দাম বাড়তি। তাছাড়া সরবরাহে টান পড়ায় প্রতি বছরের মতো শীতের আগে দাম কিছুটা বেশি থাকে।এখনও দাম কমেনি ফার্মের ডিমের। গত সপ্তাহের মত প্রতি হালি ৫০ আর ডজন ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার মুরগির বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়। সোনালি জাতের মুরগির কেজি ২৯০ থেকে ৩১০ টাকা।সবজির মত দাম বেড়েছে আদা-রসুনেরও। আদার দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকার মতো। গত সপ্তাহে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া আদার কেজি দাঁড়িয়েছে ১৪০ টাকায়। আমদানি করা আদার কেজি ১০০ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৩০ টাকা। রসুনের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা। আমদানি করা রসুনের কেজি দাম বেড়ে হয়েছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা।সরকারি সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে দেশি রসুনের দাম ১৪ শতাংশ বেড়েছে। আদার দাম বেড়েছে আট থেকে ১৪ শতাংশ। সবজি আর আদা রসুনের মত মাছের বাজারও কিছুটা চড়া দেখা গেছে।

৬.
আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ


নিজস্ব প্রতিবেদক
আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। প্রতিষ্ঠানটির কাছে পাওনা ১৭৪ কোটি টাকা আদায়ে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বকেয়া পরিশোধ না করলে প্রতিষ্ঠানটির হিসাব থেকে অর্থ কেটে এনবিআরের হিসাবে জমা করতে ব্যাংকগুলোকে অনুরোধ করেছে এনবিআর।ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর সম্প্রতি পাঠানো এক চিঠিতে এনবিআর বলেছে, কর বাবদ আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজের কাছে ১৭৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি এখনও তা পরিশোধ করেনি। এ অবস্থায় প্রতিষ্ঠানটির নামে থাকা সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দুই কর্মদিবসের মধ্যে অবহিত করতে হবে। এরপর সাত দিনের মধ্যে আকিজ ফুড কর পরিশোধ না করলে তাদের অ্যাকাউন্টে জমা থাকা অর্থ থেকে যতটুকু প্রয়োজন বৃহৎ করদাতা ইউনিটের নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে জমা করতে হবে।এনবিআরের চিঠিতে বলা হয়েছে, আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজের উৎপাদিত পণ্যের তালিকায় রয়েছে মিনারেল ওয়াটার, কোমল পানীয়, এনার্জি ড্রিংক, ফার্ম ফ্রেশ লিকুইড মিল্ক্ক, ফ্রুট জুস ইত্যাদি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে এনার্জি ড্রিংকের ওপর সম্পূরক শুল্ক্কের হার ২৫ শতাংশের জায়গায় ৩৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। এ বিষয়ে ২০১৮ সালের ৭ জুন জারি করা এসআরওর বিষয়টি অবহিত করে বৃহৎ করদাতা ইউনিট থেকে চিঠি দেওয়া হয়।তবে প্রতিষ্ঠানটি নির্দেশনা পরিপালন না করে ওই চিঠির ওপর আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করে। হাইকোর্ট বিভাগ ২০২১ সালের জানুয়ারিতে সরকারের পক্ষে রায় দেন। এরপর আকিজ গ্রুপ আপিল বিভাগে সিভিল পিটিশন দাখিল করে। গত ১৯ জুন আপিল খারিজ করায় সরকারের দাবি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ রকম অবস্থায় বকেয়া কর আদায়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজের এ নির্দেশনা দেওয়া হলো।


৭.
পাচারের অর্থ ফেরানোর কাজে নেই সমন্বয়

নিজস্ব প্রতিবেদন 
বিদেশে পাচার করা টাকা ফেরানোর ক্ষেত্রে কার্যকর উদ্যোগের অভাব স্পষ্ট হয়ে উঠছে। সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর আইনানুযায়ী পাচার করা সম্পদের সুনির্দিষ্ট তথ্য চাইতে পারছে না বাংলাদেশ। ফলে অনেক দেশ তথ্য দিচ্ছে না। এ ধরনের তথ্য চাওয়ার মতো একক কোনো সংস্থা দেশে এখনো গড়ে উঠেনি। যারা কাজ করছে তাদের মধ্যে সে অর্থে সমন্বয় নেই।

বর্তমানে দেশের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ) এ ব্যাপারে কিছু কাজ করছে। কিন্তু পাচার করা সম্পদ ফেরানোর ক্ষেত্রে সব সংস্থার কার্যক্রম তদারকির বিষয়ে তাদের আইনি ক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বেশ কয়েকটি সংস্থা। ফলে তদারকির বিষয়টিও খুব বেশি এগোচ্ছে না।

সূত্র জানায়, সংস্থাগুলো যদি সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করে তবে পাচার করা সম্পদের তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব। ২০০৭-০৮ সালে তাৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার সুনির্দিষ্টভাবে তথ্য চেয়ে অনেক দেশ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে। বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকেও সুনির্দিষ্টভাবে তথ্য চেয়ে অনেক দেশ থেকে সংগ্রহ করার নজির রয়েছে। কিন্তু বড় বড় পাচারকারীদের ব্যাপারে কোনো তরফ থেকেই তথ্য চাওয়া হচ্ছে না।
এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, পাচার করা টাকা ফেরানোর বিষয়টি পুরোপুরি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ব্যাপার। রাজনৈতিকভাবে সিদ্ধান্ত হলে অনেকে ব্যাপারে সুনির্দিষ্টভাবে তথ্য চাওয়া সম্ভব। সে সক্ষমতা দেশি সংস্থাগুলোর অনেকেরই রয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের অভাবে পাচার করা সম্পদ ফেরানোর বিষয়টি আড়ালেই থেকে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সব সংস্থার মধ্যে সমন্বয় দরকার। যা এখন নেই। অনেক দেশে এ ধরনের আলাদা সংস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। আন্তঃসংস্থা যে টাস্কফোর্স আছে সেটিও সমন্বয় করতে পারছে না। কেননা এখানে একক কোনো নির্দেশ কার্যকর নেই।
সূত্র জানায়, পাচার সম্পদ ফেরাতে সরকারিভাবে অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে চলতি অর্থবছরের বাজেটে পাচার করা সম্পদ ফিরিয়ে আনলে কর মওকুফ সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আন্তঃসংস্থা টাস্কফোর্স নতুন করে পুনর্গঠন করা হয়েছে। সুইস ব্যাংক থেকে পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনতে বিএফআইউর প্রধানের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
টাকা পাচার বন্ধ ও পাচারের ঘটনা শনাক্ত করতে মানি লন্ডারিং বিষয়ক প্রতিটি রিপোটিং প্রতিষ্ঠানে আলাদা তদন্ত ইউনিট গঠনের গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর আলোকে কয়েকটি সংস্থায় এ ইউনিট গঠন করা হয়েছে। রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মস (আরজেএসসি) কোম্পানি আইন সংশোধন করে মানি লন্ডারিং বিষয়ক তথ্য আদান-প্রদানে নিবন্ধিত কোম্পানিগুলোকে বাধ্যা করা হচ্ছে। তদন্তকারী সংস্থাগুলোকে মানি লন্ডারিং বিষয়ক মামলা করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে মামলার গুণগত মান ও ফলাফলের দিকে নজর দিতেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে পাচার করা সম্পদ ফিরিয়ে আনতে যে কর সুবিধা দেওয়া হয়েছে তার সুফল এখন পর্যন্ত মেলেনি। তবে অর্থবছর শেষে আয়কর রিটার্ন দেওয়ার সময় তাতে উল্লেখ করতে হবে বিদেশে থাকা কোনো সম্পদ তিনি দেশে এনেছেন কিনা। বা বিদেশে সম্পদের ঘোষণা দিয়েছেন কিনা। এর আগে বিষয়টি স্পষ্ট হবে না। তবে এতে সাড়া না পেয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিষয়টি দেশে-বিদেশে প্রচারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেননা পাচার সম্পদ ব্যাংকের মাধ্যমে আনতে হবে।

আন্তঃসংস্থার কাজের সমন্বয়ের জন্য ইতোমধ্যে টাস্কফোর্স নতুন করে পুনর্গঠন করা হয়েছে। এর একটি বৈঠকও হয়েছে। ওই বৈঠকে পাচার করা সম্পদ ফিরিয়ে আনার জন্য বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে বিএফআইইউ ইতোমধ্যে একটি প্রতিবেদন টাস্কফোর্সের বৈঠকে উপস্থাপন করেছে। এখন সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।

সুইস ব্যাংক থেকে পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনতে বিএফআইউর প্রধানের নেতৃত্বে যে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে তারা একাধিকবার বৈঠকে বসে কিছু কর্মপন্থা ঠিক করেছে। এর মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যেসব দেশ সুইস ব্যাংক থেকে তথ্য পেয়েছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা। কিন্তু এ যোগাযোগটি এখনও কার্যকর হয়ে উঠেনি।

টাকা পাচার বন্ধ ও টাকা পাচারের ঘটনা শনাক্ত করতে মানি লন্ডারিং বিষয়ক প্রতিটি রিপোর্টিং প্রতিষ্ঠানে আলাদা তদন্ত ইউনিট গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের ১৭টি খাত রয়েছে। এর আলোকে কয়েকটি সংস্থায় এ ইউনিট গঠন করেছে। এখন এ ইউনিটগুলোর কার্যক্রম সমন্বয় করার জন্য বিএফআইইউ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ উদ্যোগের বিরোধিতা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও সিআইডি। তারা এ বিষয়ে বিএফআইইউর আইনি ক্ষমতা আছে কিনা তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখার কথা বলেছে। ফলে তদারকির জন্য কোনো কার্যক্রম হাতে নেওয়া যাচ্ছে না।
এ প্রসঙ্গে বিএফআইইউর এক কর্মকর্তা বলেন, এগমন্ট গ্রুপের মাধ্যমে এবং যেসব দেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক আছে ওই দেশ থেকে দ্বিপক্ষীয়ভাবে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। সংগৃহীত তথ্য সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী সংস্থাগুলোকে দেওয়া হচ্ছে। এসব তথ্যের বেশিরভাগই সন্ত্রাসে অর্থায়ন ও আমদানি-রপ্তানির আড়ালে অর্থ পাচার বিষয়ক।
সূত্র জানায়, বিদেশ থেকে পাচার করা টাকা ফেরাতে হলে একেক দেশের আইন একেক রকম। ওইসব আইনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার দেশে যেমন একক কোনো সংস্থা নেই। তেমনি যোগাযোগের কাঠামোও নেই। আন্তঃসংস্থা সমন্বয় টাস্কফোর্স থেকেও এ ব্যাপারে জোরালো উদ্যোগ নেই।
সুইজারল্যান্ডের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট থেকে তথ্য পেতে হলে ব্যক্তির নাম, পাসপোর্ট নাম্বার, কোন ব্যাংকে, অ্যাকাউন্ট নাম্বারসহ দিতে হবে। কিন্তু বিএফআইইউ’র কাছে এ বিষয়ে সব তথ্য নেই। গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে এসব তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। সমন্বয়ের অভাবে সেটিও হচ্ছে না। আর সুইজারল্যান্ড সব ব্যাংক গণহার কোন ব্যক্তির তথ্য অনুসন্ধান করে না।
সুইজারল্যান্ডসহ ইউরোপের অনেক দেশ থেকে তথ্য আনতে হলে পাচারকারীর কর ফাঁকির অভিযোগ প্রমাণ করতে হবে। এ ধরনের কোনো মামলার রায়ের ভিত্তিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে ওই দেশের আয়কর কর্তৃপক্ষের কাছে তথ্য চাইতে হবে। এভাবে তথ্য পাওয়া সহজ। ভারত, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র এই প্রক্রিয়ায় সুইজারল্যান্ড থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে। সে কাঠামো এখনও হয়নি।
গত মে মাসে আন্তঃসংস্থা টাস্কফোর্স পুনর্গঠন করার পর সেখান থেকে এনবিআরের চেয়ারম্যানকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আগে তিনি ছিলেন। এর পরিবর্তে এনবিআরের দুজন প্রতিনিধি রাখা হয়েছে। কিন্তু সংস্থায় এনবিআরের চেয়ারম্যান যেভাবে তৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দিতে পারতেন সেটি ওই দুই প্রতিনিধির পক্ষে দেওয়া সম্ভব হবে না। এতে মূল কাজ বাধাগ্রস্ত হবে।
যুক্তরাজ্য থেকে তথ্য আনতে হলে বড় ভূমিকা রাখে সে দেশের অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ওই অফিসের সঙ্গেই যোগাযোগ করে অনেক নামি-দামি রাজনৈতিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে টাকা পাচারের তথ্য সংগ্রহ করেছিল। কিন্তু বর্তমানে ওই অফিসের সঙ্গে যোগাযোগের কাঠামো নেই। তবে বিএফআইইউ থেকে সব দেশের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের সঙ্গে যোগাযোগ করে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। ওইখানে শর্ত থাকছে ওইসব তথ্য প্রকাশ করা যাবে না। আদালতে সাক্ষী হিসাবে উপস্থাপন করা যাবে না। শুধু তদন্তের কাজে ব্যবহার করা যাবে।
আমদানি-রপ্তানির আড়ালে যেসব অর্থ পাচার হয় সেগুলো ব্যাংক, কাস্টমস ও বন্দরে নিবিড়ভাবে তদন্ত করে বের করা সম্ভব। কিন্তু এমন যৌথ তদন্ত হচ্ছে না। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও কাস্টমস বিচ্ছিন্ন কিছু তদন্তের মাধ্যমে কিছু ঘটনা শনাক্ত করেছে। ওইগুলো নিয়ে মামলা পর্যন্তই শেষ। আর কোনো অগ্রগতি নেই।
এখন পর্যন্ত গত ৮ বছরে বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট ৭৯টি দেশের সঙ্গে অর্থ পাচার, মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন বিষয়ক তথ্য আদান-প্রদান করার জন্য দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। এর আওতায় বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদান করছে।

৮.
কিস্তিতে ঋণ পরিশোধের সুযোগ


বাণিজ্য ডেস্ক
রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) ঋণ কিস্তিতে পরিশোধের সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে তিনটি কিস্তিতে পুরো ঋণের দায় পরিশোধ করা যাবে। এত দিন একবারে ঋণের সব অর্থ পরিশোধ করতে হতো।বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে নিয়োজিত সব অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ইডিএফ ঋণের দায় আংশিকভাবে পরিশোধের সুযোগ পাবে রপ্তানিকারকরা। ঋণের মেয়াদকালে সর্বোচ্চ দুইবার আংশিক পরিশোধ করা যাবে। অবশিষ্ট দায় ঋণের মেয়াদকালীন সময়ের মধ্যে একবারে পরিশোধ করতে হবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে। অর্থাৎ তিনটি কিস্তিতে ঋণের পুরো দায় পরিশোধ করতে পারবে। বাংলাদেশ ব্যাংক ইডিএফ থেকে রপ্তানিকারকদের উৎপাদন উপকরণাদি আমদানির ক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রায় পুনঃঅর্থায়ন করে থাকে। ইডিএফ ঋণের মেয়াদ ১৮০ দিন, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন সাপেক্ষে এই সময় আরও ৯০ দিন বাড়ানো যায়।খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এত দিন ইডিএফ ঋণের দায় একবারে পরিশোধ করতে হতো। এতে সমস্যায় পড়তে হতো রপ্তানিকারকদের। কারণ অনেক সময় রপ্তানি আয় একসঙ্গে পাওয়া যায় না। আংশিক আসে। এমন পরিস্থিতিতে নতুন নির্দেশনায় রপ্তানি আয় পাওয়ার পরেই রপ্তানিকারকেরা আংশিকভাবে কিস্তিতে ইডিএফের দায় পরিশোধ করতে পারবে।

৯.
শ্রীলঙ্কায় মূল্যস্ফীতি বেড়ে এখন ৭০%


বাণিজ্য ডেস্ক
শ্রীলঙ্কার বার্ষিক মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে নতুন উচ্চতায় উঠেছে। গত আগস্ট মাসে দেশটিতে মূল্যস্ফীতি ৭০ দশমিক ২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। তবে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে ৮৪ দশমিক ৬ শতাংশ হয়েছে। অর্থাৎ এক বছর আগে শ্রীলঙ্কায় যেসব খাদ্যের দাম ছিল ১০০ রুপি (দেশটির মুদ্রা), সেটি এখন ১৮৪ দশমিক ৬০ রুপি। শ্রীলঙ্কা সরকারের তথ্যের ভিত্তিতে বিবিসি সেই দেশের মূল্যস্ফীতির এই খবর পরিবেশন করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি গত সাত দশকের বেশি সময়ের মধ্যে এখন সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে রয়েছে।

২ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার দেশ শ্রীলঙ্কা এই বছর আর্থিক ও রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার মধ্যে নিমজ্জিত হয়। দেশটি বিশেষ করে বৈদেশিক মুদ্রার সংকটে পড়ে। যে কারণে বিদেশ থেকে জ্বালানি, সার, ওষুধসহ প্রধান আমদানি পণ্যগুলো আনতে পারেনি দেশটি। করোনা মহামারির আগে শ্রীলঙ্কা মার্কিন ডলারসহ বিভিন্ন বিদেশি মুদ্রার জন্য পর্যটন খাতের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল ছিল। কিন্তু দুই–আড়াই বছর ধরে চলা কোভিডের কারণে পর্যটকের আগমন বন্ধ থাকায় বিদেশি মুদ্রার সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। বিশেষ করে বছরের পর বছর আর্থিক অব্যবস্থাপনা ও চীনের কাছ থেকে উচ্চসুদের ঋণ নেওয়ার কারণে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিতে বিপর্যয় দেখা দেয়। চলতি বছরের শুরুতে দেশটি ঋণখেলাপিহয়ে পড়ে।

এরই মধ্যে খাদ্য ও জ্বালানিসংকট শুরু হয়। ফলে দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা শুরু হয়। সরকারের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক সংকট সামাল দিতে না পারার অভিযোগ তুলে জনগণ রাজপথে নেমে আসে। ফলে রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষে জুলাই মাসে পদত্যাগ করার আগে বিদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংক আগস্টে বলেছিল যে মূল্যস্ফীতি সহনীয় হয়ে আসবে বলে তারা আশা করছে। গত সপ্তাহে শ্রীলঙ্কা সরকারের পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, সর্বশেষ তিন মাস জুন–আগস্টে তাদের অর্থনীতি ৮ দশমিক ৪ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে।

এই মাসের শুরুতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) শ্রীলঙ্কাকে ২৯০ কোটি ডলার ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে। ভারতও শ্রীলঙ্কার ঋণ পুনর্গঠন নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে। তারা শ্রীলঙ্কায় দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের প্রস্তাবও দেবে। এর আগে শ্রীলঙ্কাকে প্রায় ৪০০ কোটি ডলারের আর্থিক সহায়তা দিয়েছিল ভারত। এ ছাড়া শ্রীলঙ্কার ১২০ কোটি ডলারের আমদানি বিল পরিশোধ স্থগিত করেছে এবং ঋণে সাড়ে ৫ কোটি ডলারের সার নেওয়ারও প্রস্তাব দিয়েছে ভারত। শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর পি নন্দলাল ভিরাসিংহে গত জুনে বলেছিলেন, অর্থনৈতিক দুর্ভোগ এড়ানো সম্ভব ছিল। শ্রীলঙ্কা যদি আর্থিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তড়িঘড়ি করে আইএমএফের কাছে যেত, তাহলে অর্থনৈতিক সংকট এড়াতে পারত।

১০.
গুজরাটকে ৩৫ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন বিশ্বব্যাংকের


বাণিজ্য ডেস্ক
জনগণের স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষ করে কিশোরীদের জন্য ও রোগ নির্ণয়ে ভারতের গুজরাট রাজ্যের সরকারকে ৩৫ কোটি ডলার বা ২ হাজার ৮৩২ কোটি রুপি ঋণ প্রদানের অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

বিশ্বব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের নির্বাহী পর্ষদের পরিচালকরা প্রদেশটিকে ৩৫ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দেয়ার বিষয়টি অনুমোদন দিয়েছেন। বিশ্বব্যাংকের আর্ম প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক অব রিকনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইবিআরডি) এ অর্থায়ন করবে।
রাজ্য সরকারের সিস্টেম রিফর্ম এন্ডেভারস ফর ট্রান্সফরমড হেলথ অ্যাচিভমেন্ট ইন গুজরাট (স্রেষ্ঠা-জি) প্রোগ্রামের মাধ্যমে ঋণটি ব্যবহার করা হবে। বিশ্বব্যাংক জানায়, এর মাধ্যমে আরো বেশি মানুষ উচ্চমানের স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করতে পারবে। গুজরাট প্রদেশ বর্তমানে অধিবাসীদের প্রজনন, মাতৃত্ব, নবজাতক, শিশু ও কিশোর স্বাস্থ্য, সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগের চিকিৎসা সুবিধা দিয়ে থাকে।

বিশ্বব্যাংকের এ ঋণ সহায়তার মাধ্যমে প্রদেশটি বিদ্যমান স্বাস্থ্যসেবার পরিধি বাড়ানোর পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য ও উপশমকারী স্বাস্থ্যসেবা যুক্ত করতে পারবে। এছাড়া প্রদেশের অসংক্রামক রোগের চিকিৎসাসেবা আরো শক্তিশালী করতে পারবে। ভারতে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আগস্টে তানো কৌমে বলেন, এ প্রোগ্রামটি প্রথাগত স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলোতে জনগণের প্রবেশাধিকার বাড়াবে। পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য ও উপশমকারী চিকিৎসাসেবার উন্নয়নে রাজ্যটির প্রচেষ্টাকে সমর্থন করবে।

 


আরও পড়ুন