বিশ্বকাপের ২২তম আসর মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে

news paper

রায়হান আহমেদ তপাদার

প্রকাশিত: ১৯-১১-২০২২ দুপুর ৪:৪৪

9Views

বিশ্বকাপ মানেই ক্রীড়ামোদীদের দীর্ঘ সময়ব্যাপী উৎসব। আর তা যদি ফুটবল বিশ্বকাপ হয়, তবে সেই উৎসবে যোগ হয় বাড়তি উন্মাদনা। মাঠের ৯০ মিনিটের উত্তেজনায় দিনভর ডুবে থাকেন ফুটবলপ্রেমীরা। জনপ্রিয় খেলার সবচেয়ে বড় আসর নিয়ে হই হুল্লোড়টা বেশি হবে-এটিই স্বাভাবিক। তার পরও মেগা ইভেন্টটি আসে চার বছর পর পর। ইতোমধ্যে ৯ দশক পেরিয়েছে ফিফা বিশ্বকাপ। দীর্ঘ এ যাত্রায় প্রতিবারই এসেছে কোনো না কোনো নতুনত্ব। এবার মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে হতে যাচ্ছে দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থখ্যাত ইভেন্টটি, যা ফিফা বিশ্বকাপের ২২তম আসর। আগামী ২০ নভেম্বর পর্দা উঠলেই ৮ নতুনত্ব যুক্ত হবে ফুটবল বিশ্বকাপে। মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ ধনকুবের ছোট্ট দেশ কাতার। এবারের বিশ্বকাপ আয়োজন করছে তারা। সে হিসাবে মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম দেশ হিসেবে বিশ্বকাপ আয়োজকের গৌরব অর্জন করতে যাচ্ছে কাতার। শুধু তাই নয়; আরব বিশ্বেও প্রথম এবং এশিয়ায় দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। এর আগে ২০০২ সালে যৌথভাবে আয়োজন করেছিল দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান। এবারের বিশ্বকাপে যে বল দিয়ে খেলবেন মেসি-নেইমাররা তার নাম ‘আল রিহলা’।

পাকিস্তানের তৈরি বলটিতে যুক্ত করা হয়েছে দুর্দান্ত সব প্রযুক্তি। বলা হচ্ছে-বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো টেকনো বল ব্যবহার হচ্ছে। চামড়ায় তৈরি বলটির নিখুঁত গতিবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য এর ভেতরে ৫০০ হার্জ আইএমইউ সেন্সর প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। ফিফার ইতিহাসে এবারই প্রথম নভেম্বর-ডিসেম্বরে বিশ্বকাপ আয়োজিত হচ্ছে। অর্থাৎ শীতকালে। এর আগের সব আসরই অনুষ্ঠিত হয়েছিল জুন-জুলাইয়ে। অর্থাৎ গ্রীষ্মে। মূলত কাতারের আবহাওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখেই এই শীত মৌসুমকে বেছে নিয়েছে ফিফা কর্তৃপক্ষ। কারণ মরুর দেশে জুন-জুলাইয়ে সূর্যের প্রখর রোদে বাইরে বের হওয়াই দায়। তাপমাত্রা ৪০-৪৫ ডিগ্রির নিচে নামে না। তাই বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য নভেম্বর তথা শীতকালকে বেছে নিয়েছে কাতার ও ফিফা।

এটিই প্রথম আঁটসাঁট বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে। কাতার ছোট্ট দেশ। রাজধানী দোহাতেই সব। তাই বিশ্বকাপের জন্য নির্মিত ৮ স্টেডিয়াম একে অপরের খুব কাছাকাছি। মাত্র ৫৫ কিলোমিটার জায়গার মধ্যে আটটি স্টেডিয়ামের অবস্থান। ইতিহাসে কখনো অল্প জায়গায় সবকটি ভেন্যু দেখা যায়নি। সে হিসাবে ভৌগোলিকভাবে এটিই সবচেয়ে আঁটসাঁট জায়গার বিশ্বকাপ। ১৯৩০ সালে উরুগুয়ে থেকে বিশ্বকাপ ফুটবলের রথ টানা শুরু হয়েছিল। শুধু ১৯৪২ ও ১৯৪৬ সালে স্থগিত ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে। পরবর্তী বিশ্বকাপ ২০২৬ সালে; অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোর যৌথ আয়োজনে। এ ছাড়া ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে চূড়ান্ত রাউন্ডে খেলবে ৪৮টি দেশ। অর্থাৎ সব মহাদেশ থেকে অংশগ্রহণ বাড়বে। বাংলাদেশ কি চেষ্টা করে দেখতে পারে? ফুটবল বিশ্বকাপের চূড়ান্ত রাউন্ডে এ পর্যন্ত অংশ নিতে না পারলেও বাংলাদেশ ফুটবল উৎসবে আলোড়িত হতে কার্পণ্য করে না। আলোচনা, তর্ক-বিতর্কের জোয়ারে ফুটবলের সাগর উত্তাল হয়ে ওঠে। অবশ্য প্রতিটি বিশ্বকাপই এত আবেগঘন যে, দশ দিগন্তের কোনো অংশই এ আবেশ থেকে দূরে থাকতে পারে না। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িয়ে পড়ে। সারাবিশ্বের সঙ্গে বিশ্বকাপ ফুটবলের একটি অভাবনীয় সংযোগ তৈরি হয়। এবারও বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের হৃদয় একইভাবে স্পন্দিত হবে আনন্দ-বেদনায়। ভূগোলের প্রাচীর ভেঙে পড়বে। সবকিছু মিলে জন্ম হবে এক বিশ্বসংস্কৃতির। এবার বিশ্বকাপ শুরু হচ্ছে স্বাগতিক কাতার আর দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরের ম্যাচ দিয়ে; ২০ নভেম্বর। এই বর্ণাঢ্য উৎসব সাঙ্গ হবে ফাইনাল ম্যাচের মাধ্যমে আগামী ২০ ডিসেম্বর। এখন আলোচনায় প্রাধান্য পাচ্ছে কে ট্রফি জিতবে- ইউরোপ, না লাতিন আমেরিকার দেশ? ২০০২ সালে এশিয়ায় অনুষ্ঠিত কোরিয়া-জাপান বিশ্বকাপে পঞ্চম  বারের মতো ট্রফি জিতেছিল ব্রাজিল। 

সবসময় দেখা গেছে-অঘটন, বিপর্যয়, অকল্পনীয় ফল বিশ্বকাপের নিত্যসঙ্গী।শুধু ভালো খেললেই হবে না; ভাগ্যেরও সহায়তা প্রয়োজন। ভাগ্য সহায় না থাকায় ২০১৪ সালে ব্রাজিল নিজ দেশে সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে হেরেছে ৭-১ গোলে। এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশিবার বিশ্বকাপ বিজয়ী ব্রাজিল ভাবতেও পারেনি, এত করুণ পরাজয়ের স্বাদ তাদের পেতে হবে। ফাইনালে জার্মানি ১-০ গোলে পরাজিত করেছে আরেক লাতিন দেশ আর্জেন্টিনাকে। ইউরোপের কোনো দেশের এটাই প্রথম লাতিন বিজয়। অথচ বিশ্বকাপ চলাকালীন লাতিন সমর্থকরা ভেবেছিল, সেবারই প্রথম ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা মুখোমুখি হবে ফাইনালে। সে হিসাব মেলেনি। কাতার বিশ্বকাপ সামনে রেখেও সবচেয়ে বেশি সোচ্চার ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনা। লাতিন এ দেশ দুটি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য মরিয়া। কিন্তু তা তো সম্ভব নয়; চ্যাম্পিয়ন তো হবে একটি দেশ। লাতিন ঘরানার মিডিয়া আর দুনিয়াজুড়ে ভক্ত-সমর্থক এবারও আত্মবিশ্বাসী। ইউরোপের কোনো দেশকে নিয়ে তাদের মিডিয়া ও সমর্থকরা কিন্তু এত সোচ্চার নয়। আমাদের দেশেও ফুটবলপ্রেমীদের মনন ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার মধ্যে ভীষণভাবে সীমাবদ্ধ। বিশ্বকাপের শিরোপা এখনও ইউরোপ ও লাতিন আমেরিকার মধ্যেই আটকে আছে। ইউরোপ জিতেছে ১২ বার; লাতিন ৯ বার। ২০০২ সালে জাপান-কোরিয়া বিশ্বকাপের পর ব্রাজিল আর বিশ্বকাপ জেতেনি। এদিকে সেই ১৯৮৬ সালের পর আর জেতেনি আর্জেন্টিনা। উভয় দেশ শিরোপা-ক্ষুধায় ভুগছে। ২০০২ সালে এশিয়াতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ব্রাজিল। ব্রাজিল সমর্থকরা মনে করছে, আবার যেহেতু এশিয়াতে বিশ্বকাপ, তাই কাপ জেতা তাদের জন্য সহায়ক। ব্রাজিলের প্রথম খেলা সার্বিয়ার বিপক্ষে। ওদিকে আর্জেন্টিনা তো ৩৫ ম্যাচে জিতে বিশ্বকাপ খেলতে এসেছে। প্রথম খেলা সৌদি আরবের বিপক্ষে। ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার দুই তারকা যথাক্রমে নেইমার ও মেসির জন্য কাতার বিশ্বকাপ অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। আর্জেন্টিনার মেসি তাঁর জীবনের শেষ বিশ্বকাপ খেলবেন কাতারে। 

অন্যদিকে নেইমার জানিয়েছেন, বিশ্বকাপ জেতার জন্য তিনি জীবন দিতে প্রস্তুত। উভয় দেশের টিম ম্যানেজ- মেন্টের দায়িত্বে থাকা সাবেক তারকা এবং নিজ নিজ দলের কোচ বলেছেন, বিশ্বকাপে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা; কোনো দেশই নেইমার ও মেসির ওপর নির্ভরশীল নয়। উভয় দেশই নির্ভর করছে পুরো টিমের ওপর। দল মাঠে নামলে কিছু কৌতূহলের জবাব মিলবে। যেটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা হলো, চাপ নেওয়া যাবে না। ফুটবল উপভোগ করতে হবে। নিজ মহাদেশে আয়োজিত বিশ্বকাপে এশিয়ার প্রতিনিধিত্ব করবে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান, সৌদি আরব ও অস্ট্রেলিয়া। ২০০২ সালের বিশ্বকাপে দক্ষিণ কোরিয়া সেমিফাইনালে উঠেছিল। আবার এশিয়ায় বিশ্বকাপ। নিজ মহাদেশে কমপক্ষে দুটি দেশের নক আউট রাউন্ডে যাওয়া উচিত। যদিও বিষয়টি অনেক বড় চ্যালেঞ্জের। গ্রুপের খেলার ওপরেই সবকিছু নির্ভর করবে। আফ্রিকা মহাদেশের কোনো দেশ এখনও সেমিফাইনাল খেলতে পারেনি। অথচ আফ্রিকা মহাদেশ থেকে প্রচুর খেলোয়াড় ইউরোপের বিভিন্ন লিগে দাপটের সঙ্গে খেলে থাকেন। আফ্রিকা মহাদেশের দেশগুলোর সমস্যা হলো-দুর্বল ফুটবল ব্যবস্থাপনা, ফুটবলে অর্থের অভাব এবং দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপট। এশিয়ারও একই ধরনের সমস্যা। দুর্বল পেশাদারি ব্যবস্থাপনা, পরিকল্পনা ও অর্থের অভাব।অনেক দেশে আছে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ। এ ছাড়া রয়েছে শারীরিক গঠন ও শক্তিতে ঘাটতি। অবশ্য মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর মানুষের শারীরিক সামর্থ্য ফুটবল উপযোগী। সবার জানা আছে, বিশ্বকাপে ইউরোপের দেশগুলোর কোয়ালিফাইং রাউন্ড সবচেয়ে কঠিন। এবার কোয়ালিফাইং করতে পারেনি চারবারের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন, দু'বারের রানার্সআপ এবং একবার তৃতীয় স্থান অধিকারী দল ইতালি। ইতালি বিশ্বকাপে অনুপস্থিত মানে বিশ্বকাপের জৌলুস খানিকটা ম্লান বৈকি।

বিশ্বকাপে তিনবারের রানার্সআপ নেদারল্যান্ডস এবার নিটোল দল নিয়ে খেলতে এসেছে। বেলজিয়াম দলটিও অত্যন্ত শক্তিশালী। কিন্তু এসব দল নিয়ে আমাদের দেশে তেমন হইচই নেই। আনাচে-কানাচে ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনার পতাকা। ফাঁকে ফাঁকে রয়েছে জার্মানি ও ফ্রান্সের কিছু পতাকা। তারকা খেলোয়াড়দের ছবি শোভা পাচ্ছে দেয়ালে দেয়ালে। প্রিয় দলের জার্সি অনেকেই গায়ে চাপিয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্যের দেশে প্রথম বিশ্বকাপ নিয়ে উন্মাদনা যেমন আছে, তেমনি আছে বিতর্কও, যে বিতর্ক শুরু হয়েছিল কাতার বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ার পর থেকেই। গত বছর গার্ডিয়ানের এক খবরে বলা হয়, কাতারে বিশ্বকাপের স্টেডিয়াম, মেট্রোরেল, রাস্তা ও হোটেল নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত সাড়ে ছয় হাজার শ্রমিক মারা গেছেন। এ ছাড়া নারীদের অধিকার ও সমলিঙ্গের সম্পর্কের বিষয়ে কাতারের অবস্থান নিয়েও প্রশ্ন অনেক দিনের। কাতার বিশ্বকাপের প্রতিটি স্টেডিয়ামেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে, যার প্রভাব পড়তে পারে জলবায়ু পরিবর্তনেও। এসব অভিযোগে কারণে কাতারে বিশ্বকাপ হওয়ায় অনেকেই প্রতিবাদ করেছেন। বিশ্বকাপ দোরগোড়ায় এলেও সেই আন্দোলন এখনো চলছে। এরই মধ্যে কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন অনেক সাবেক তারকা ফুটবলারও। তাঁদের একজন ২০১৪ বিশ্বকাপজয়ী জার্মানির অধিনায়ক ফিলিপ লাম।কাতার বিশ্বকাপ শুধু যে ফুটবল সম্প্রদায়ের প্রতিবাদের মুখে পড়েছে, তা নয়, গত অক্টোবরে জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যানসি ফাইসির কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রতিবাদ জানান। এমনকি দোহায় থাকা জার্মান রাষ্ট্রদূতের কাছেও লিখিত অভিযোগও দেয় তারা। রাজনৈতিক এই চাপ ভালোভাবেই মোকাবিলা করেছে কাতার। চলতি মাসে ন্যানসি ফাইসির কাতার সফর করেন। সেখানে সব সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আশ্বাস দেয় কাতার সরকার। সে আশ্বাসে অবশ্য জার্মান সরকারের মন অনেকটাই গলেছে।

যাইহোক, আয়তনে ক্ষুদ্র হলেও কাতারের ভূ-কৌশলগত অবস্থান আরব উপদ্বীপে দেশটিকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের সুযোগ করে দিয়েছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ অর্থনৈতিক ভিত্তি। কাতার বিশ্বের শীর্ষ তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রপ্তানিকারক দেশ। অবশ্য বিমান পরিবহন থেকে ফুটবল ক্লাব-বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য এনেছে আল-থানি পরিবার। রূপকল্প-২০৩০-এর মাধ্যমে কাতার খনিজ সম্পদ নির্ভর অর্থনীতিকে মেধা নির্ভর অর্থনীতিতে রূপ দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিরোধের পথ ধরেই কাতার রাষ্ট্রের গোড়াপত্তন। ক্ষুদ্র দেশটির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে বৈশ্বিক রাজনৈতিক মঞ্চের অংশ হওয়ার বিকল্প নেই। শেখ হামাদ ও শেখ তামিমের হাত ধরে সেই পথে দৃঢ় ও সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছে কাতার। তবে বৈরী প্রতিবেশী আর সৌদি, ইরান, তুরস্ক ও আমিরাতের আঞ্চলিক আধিপত্যের লড়াইয়ে এই পথচলা কুসুমাস্তীর্ণ হয়নি আল-থানি পরিবারের জন্য। নেপথ্যে আছে বৈশ্বিক রাজনীতিও। অবশ্য এখন পর্যন্ত ‘উন্নত মম শির’ মন্ত্রে সব প্রতিকূলতা মাড়িয়ে এগিয়ে যাচ্ছে কাতার। বিশ্বকাপ বিতর্ক নিয়ে কয়েক দিন আগে মুখ খুলেছেন কাতারের আমির শেখ তামিম। সমালোচকদের তোপ দাগিয়ে তিনি বলেছেন, বিশ্বকাপ আয়োজক হিসেবে কাতারের আগে অন্য কোনো দেশ এতটা অপপ্রচারের শিকার হয়নি। সফল ভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন সম্পন্ন করতে পারলে হয়তো সমালোচকদের প্রতি সবচেয়ে ভালো জবাবটা দিতে পারবে কাতার। তবে সফলভাবে বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজন সম্পন্ন করতে পারলে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে কাতার।

লেখক: গবেষক ও কলামিস্ট, যুক্তরাজ্য 


আরও পড়ুন