ভর্তি আবেদনকারী প্রার্থীর ভুলের বিষয়টি জিএসটি নিয়ন্ত্রিত: কুবি প্রশাসন

news paper

ইকবাল হাসান, কুবি

প্রকাশিত: ২৪-১১-২০২২ দুপুর ১:৮

6Views

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি আবেদনকারীর ব্যক্তিগত ভুলের বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনো ক্ষমতা নেই বলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে প্রশাসন। একই সাথে বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে জিএসটি নিয়ন্ত্রিত বলে উল্লেখ করা হয়।
 
বুধবার (২৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ এমদাদুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কথা বলা হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৭ নভেম্বর প্রকাশিত জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত প্রাথমিক ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী পরীক্ষার্থীরা গুচ্ছভুক্ত পরীক্ষার জন্য তৈরী নির্দিষ্ট জিএসটির ওয়েবসাইট থেকে পরীক্ষার ফলাফল সংগ্রহ করে প্রাথমিক ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।
 
পরে 'বি' ইউনিটসহ সকল ইউনিটের ফলাফল জিএসটির ওয়েবসাইটে  প্রকাশিত হয়। এর মধ্যে যারা ভর্তির সুযোগ পেয়েছে, প্রত্যেককে জিএসটির পক্ষ থেকে মুঠোফোনে ক্ষুদেবার্তা পাঠানো হয়। একই নিয়মে জিএসটির পক্ষ থেকে ক্ষুদেবার্তা কামরুন্নাহার মিতুও পেয়েছিল বলে সেখানে বলা হয়।
 
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে জিএসটি রোল অনুযায়ী ও মেধাক্রম অনুযায়ী ফলাফল প্রকাশ করা হয়। পাশাপাশি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট এবং জিএসটির ওয়েবসাইটে গিয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা নির্দেশিকা দেয়া হয় যা কামরুন্নাহার মিতু যথাযথভাবে অনুসরণ করেননি বলেও উল্লেখ করা হয়।
 
তাছাড়া ভুলটি সম্পূর্ণরূপে জিএসটি নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় এবং বিষয়টি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণে না থাকায় ব্যক্তিগত ভুল সংশোধনের উপায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের নেই বলেও বিজ্ঞপ্তিতে দুঃখ প্রকাশ করা হয়। 
 
আর এই নিয়ে 'কর্তৃপক্ষের ভুলে ভর্তিবঞ্চিত মিতু' শীর্ষক শিরোনামসহ প্রায় একই শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে উদ্বেগ ও শঙ্কা প্রকাশ করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
 
উল্লেখ্য, জিএসটি গুচ্ছভুক্ত ভর্তি পরীক্ষার 'বি' ইউনিটের প্রথম মেধাতালিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশের সময় ভুলবশত একটি পৃষ্ঠা প্রকাশিত হয় নি। পরবর্তীতে ঐ পৃষ্ঠাসহ মেধাতালিকা প্রকাশিত হলেও ভর্তি আবেদনকারী শিক্ষার্থী কামরুন্নাহার মিতু সেই পৃষ্ঠা আর দেখেন নি এবং ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন বলে দাবি করেন। এর প্রেক্ষিতে 'কর্তৃপক্ষের ভুলে ভর্তিবঞ্চিত মিতু' শীর্ষক শিরোনামসহ নানান শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

আরও পড়ুন