আদালতে সাক্ষ্য দিচ্ছিলেন পরীমনি, বাইরে কাঁদছিল ছেলে

news paper

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৯-১১-২০২২ দুপুর ৩:৪৮

8Views

মারধর, হুমকি ও যৌন হয়রানির মামলায় নাসির-অমিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক মোহাম্মদ হেমায়েত উদ্দিনের আদালতে পরীমনি জবানবন্দি দেন। এরপর আদালত অবশিষ্ট জবানবন্দি ও জেরার তারিখ আগামী ১১ জানুয়ারি ধার্য করেন।

এদিন সকালে পরীমনি, স্বামী শরীফুল রাজ এবং সন্তান রাজ্যকে নিয়ে আদালতে আসেন। পরীমনিকে নিয়ে রাজ এজলাসে প্রবেশ করেন। এ সময় রাজ্য গাড়িতে আরেক জনের দায়িত্বে ছিল। পরীমনি আদালতে সাক্ষ্য দেয়া শুরু করেন। এরই মধ্যে পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত (সুরভী) একজনের মাধ্যমে জানান রাজ্য বাইরে কান্নাকাটি করছে। এ সময় বিচারক পরীমনিকে আরেকদিন আসার কথা বলেন। 

এদিকে পরীমনি জবানবন্দিতে বলেন, ‘গত বছরের ৯ জুন অমি আমাদের বাসায় আসে। আগে থেকে অমিকে আমি চিনতাম। সেদিন রাতে বনানীর বাসা থেকে গাড়িতে অমি, জিমি, বন্নি ও বডিগার্ডসহ উত্তরার দিকে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হই। উত্তরার দিকে পৌঁছাতেই অমি গাড়ি ঘুরিয়ে নেয়। তখন অমি আমাকে বলে মাত্র ২ মিনিটের কাজ আছে। কাজ শেষ করতে ২ মিনিট সময় লাগবে।’

‘ওই ২ মিনিট আমার জীবনে কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ উল্লেখ করে পরীমনি জবানবন্দিতে বলেন, ‘অমি ওই সময় গাড়ি বোট ক্লাবের দিকে নিয়ে যায়। ওই দিন আমাদের প্রি-প্ল্যান করে আনা হয়।’  

সাক্ষীর কাঠগড়া থেকে নামার সময় পরীমনি বলেন, ‘সেদিন তখন যদি একটু মদ খেতাম তাহলে আজকে আর আদালতে আসতে হতো না। এই মামলার জম্মও নিতো না।’ 

এদিন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদে অপর দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। নাসিরের পক্ষে সময়ের আবেদন করা হলে আদালত মঞ্জুর করেন।

গত বছরের ১৪ জুন সাভার থানায় পরীমনি বাদী হয়ে মামলায় অভিযোগ করেন, গত বছরের ৮ জুন রাতে তাকে কৌশলে সাভারের বিরুলিয়ায় ঢাকা বোট ক্লাবে ডেকে নিয়ে যান তুহিন। সেখানে তাকে জোর করে মদ পান করানোর চেষ্টা করেন নাসির। একপর্যায়ে তাঁকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা চালানো হয়।

মামলাটি তদন্ত করে গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর নাসির, শহিদুল ও তুহিনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এ বিচারকাজ চলছে।  


আরও পড়ুন