বিয়ে করাই যার নেশা, কে এই রুবি !

news paper

নিজাম উদ্দিন

প্রকাশিত: ১-১২-২০২২ দুপুর ২:২৪

71Views

একাধিক স্বামী পরিতক্ত নারী কে এই অজিফা খাতুন রুবি ওরফে রুবি খাতুন ওরফে রুবি আলম। ধারাবাহিক প্রতিবেদনে দ্বিতীয় পর্বে তথ্যনির্ভর প্রথম পর্বের রিপোর্টের পরে অজিফা খাতুন রুবি ওরফে রুবি খাতুন সকালের সময়কে উকিল নোটিশ পাঠায়। সকালের সময় উকিল নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করে সরজমিনে আরো তথ্য তল্লাশিতে খুঁজে পায় আরো অতি গুরুত্বপূর্ণ ভয়ানক তথ্য, যা ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশ হবে।

সরে জমিনে গিয়ে তথ্য অনুসন্ধানীতে যা পাওয়া যায়, দিনাজপুর জেলার এক সহজ সরল যুবক মোঃ হেলাল উদ্দিন। তিনি এনজিও,ব্রাকের রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া থানার আর,ডি,পি একজন মাঠ কর্মি ছিল। রুবি খাতুন ওরফে ওজিফা খাতুন (রুবি) ১৯৯৯ সালে প্রথম বিবাহ করেছিল। রুবি খাতুন হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে রংপুর জেলায় ১ম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টে সি আর মামলা নং ২৫৪/২০০১ তারিখ ২০-০৬-২০০১ ধারা ৪৯৩ দঃ বিঃ (প্রতারণা মুলকভাবে আইন সম্মত বিবাহ,করিয়া সহবাস করা) দায়ের করেছিল। ঘটনার বর্ণনা বলা হয় রুবি খাতুন ২৪-০২-১৯৯৯ ইং তারিখে হেলাল উদ্দিনকে বিবাহ করে। দুই বছর সংসার করার পর ২২-০২-২০০১ ইং তারিখে জানিতে পারে তার বিবাহ বাতিল হইয়াছে।। সেই প্রেক্ষিতে হেলাল উদ্দিনের নামে মামলা করেন।

২য় বারে ভুক্তভুগী হয়েছিল নীলফামারী জেলার জামিলুর রহমান নামে এক যুবক। তিনি  ঢাকায় ড্রাগন সুয়েটার ফ্যাকটরীতে চাকুরি করিত। রুবি খাতুন তার বিরুদ্ধে রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া থানায় একটি মামলা করেন,মামলার এজাহার করেছিল যাহার মামলা নং ৫/ তারিখ ৩১-১২-০৫ ইং। উক্ত মামলায় / এজাহারের বিরুদ্ধে জামিলুর রহমান জবাব দিয়ে বলেছিলেন- রুবি বেগম ৪(চার) বৎসর আগে আমার কাছে ঢাকায় আসে। সে কিছু দিন আমার বাসায় থাকার পর অন্যত্র চলে যায়। চলে যাওয়ার কিছুদিন পর সে আমাকে কয়েকটা চিঠি দেয় এবং তার সাথে আমার দীর্ঘ দিনের প্রেম ভালবাসা ছিল এমন অজুহাত দিয়ে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকে এবং শেষ পর্যন্ত আমার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে চলে যায়। রুবি খাতুন সম্পর্কে আমার বোনের ননদ ছিল। আমার উক্ত ঘটনাটিতে রুবির বাড়িতে আমার বোনের সাথে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। আমার বোনের ননদ রুবি বেগম সত্যিই একজন কালো বাজারী মেয়ে। আমি জানি রুবি বেগম নিরীহ মানুষকে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত করে। বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে টাকা আদায় করে।

পরবর্তী ঘটনার ভুক্তভুগী হয়েছিল সৌদি প্রবাসী নিলু মিয়া। তার বিরুদ্ধে রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা করেন,মামলা  নং ২৫/২৮৩ তারিখঃ ০২/১২/২০০৫ দায়ের করেছিল। মামলায় রুবি খাতুন বর্ননা করেছে যে, নিলু তার বাড়ীতে লোকজন না থাকার সুযোগে আসা যাওয়া করত এবং প্রেম আলাপ করিয়া দৈহিক মিলনের জন্য প্ররোচনা দিত। গত ০২/১২/০৫ ইং তারিখে নিলু বাড়ীতে কেউ না থাকার সুযোগে আসে এবং ১ সপ্তাহের মধ্যে বিবাহ করিবে বলিয়া জানায়। আমি অস্বীকৃতি জানালে এক পর্যায়ে নিলু পকেট হইতে দুটি চকলেট খাইতে দেয়। চকলেট খাওয়ার পর পরেই আমি নিস্তেজ হইয়া পড়ি, এই সুযোগে নিলু তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করিতে থাকে। পরে ১৮/১২/২০১৫ ইং তারিখে গোপনে মোটা অংকের যৌতক নিয়ে অন্যত্র বিবাহ করে নিলু।

উপরোক্ত মিথ্যা ও হয়রানী মুলক মামলার কারণে উক্ত নিলু মিয়া ও অন্যান্য ভুক্তভোগিরা গত ৭/৫/২০০৭ইং তারিখে রংপুর জেলায় একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন, যার শিরোনাম ছিল "এক  প্রবজ্ঞক মহিলার খপ্পর থেকে যুব সমাজকে বাচান উক্ত সম্মেলনে উক্ত রুবি খাতুনের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর অভিযোগ ছিল- এর আগে ঐ মহিলা বিদেশ ফেরত অথবা স্বচ্ছল পরিবার যে কোন যুবকের বিরুদ্ধে সম্পর্ক বিস্তার করে অর্থ হাতিয়ে নেয়াসহ বিভিন্ন অসৎ উপায়ে টাকা কামানোর ফন্দিফিকির করে থাকেন। 

সংবাদ সম্মেলনে আরও উল্লেখ্য করেছিলো ভুক্তভোগীরা, তারা বলেন পুরুষ শিকারী এক মহিলা রুবি খাতুন, তিনি  সবসময়ই মানুষকে একটাই ভয়ভিতি উপস্থিত করতেন বাড়াবাড়ি করলে মামলার হুমকি বা মামলা করে সর্বশান্ত করা। এ ধরনের একাধিক অভিযোগে অভিযুক্ত পুরুষ শিকারী মহিলা রুবি খাতুন।   তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিলে কোন অদৃশ্য কারনে তা গ্রহন করা হতনা। সম্মেলনে বলা হয় রুবি খাতুন এভাবে যুবকদের ফাদে ফেলে প্রচুর টাকার মালিক বনে গেছেন। 

এ বিষয়ে জনাব নিলু মিয়ার সাথে মুঠোফোনে আলাপচারিতায় তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, রুবি খাতুন একজন প্রতারক তিনি বিভিন্নভাবে বিভিন্ন উপায়ে আমি ছাড়াও এর আগে একাধিক পুরুষের কাছ থেকে এভাবে হয়রানি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতে নিয়েছেন তার মিথ্যা বানোয়াট মামলায় আমার পরিবার ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। 

 উপরোক্ত ঘটনা পরে নিজ জেলার গন্ডি পেরিয়ে রুবি খাতুন ঢাকায় ৫ তলা বাড়ীর মালিক সাজিয়ে সুদূর পার্বত্য বান্দরবান জেলার রামু উপজেলার দুবাই প্রবাসী সুরত আলমের সহিত বিবাহ হয়েছিল। গত ০২-০২-২০১০ ইং দৈনিক নতুন বাংলাদেশ" এবং ০৩/০৯/২০১০ তারিখে সমুদ্র বার্তা পত্রিকায় প্রকাশিত অজিফা খাতুন রুবি ওরফে রুবি আলমের খবর প্রকাশ হয়েছিল যার শিরোনাম ছিল "নাইক্ষংছড়িতে সকল ক্ষমতার উৎসকারী কে এই রুবি আলম" সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ইতিপূর্বে উক্ত রুবি আলম আরো ৫জন স্বামী ত্যাগ করে প্রবাসী সুরত আলমকে ৬স্ট স্বামী হিসাবে গ্রহন করে বলে সূত্রে জানায়। 

উক্ত খবর প্রকাশ হওয়ার পর রুবি খাতুন ওরফে রুবি আলম এই পত্রিকার নিউজে  তৎকালীন সময়ে কোনো প্রতিবাদ দেননি। তাতে ধরে নেওয়া যায় ঘটনা সত্যি। এবং  চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার স্থানীয় একাধিক পত্রিকায় নিউজ  হলেও  নিউজের সততা যাচাই নিয়ে প্রশ্নে কোন ব্যবস্থা রুবি খাতুন নেননি। 

এবং কক্সবাজারের একাধিক পত্রিকার শিরোনাম  ৫ম স্বামী কে নিয়ে খবর প্রকাশকের ব্যাপারেও কোন পদক্ষেপ গ্রহন করে নাই রুবি খাতুন ওরফে রুবি আলম।  রুবির বিষয়ঃ যোগাযোগ করা হয় রুবির সাবেক স্বামী প্রবাসী সুরত আলমের সাথে। 

মুঠো ফোনে দুবাই প্রবাসী সুরত আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,আমি জানতে পারি এর আগে চাকুরীজীবি সহ  ৫ জন যুবকের সংগে বিবাহ হয়েছিল ও বিবাহের নামে প্রতারনা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এমতাবস্থায় গত ১০/০৯/২০০৯ ইং তারিখে সুরত আলম রুবি আলমকে,তালাক প্রদান করে বলে জানান এই প্রতিবেদককে। এরপর অজিফা খাতুন রুবি ওরফে রুবি আলম আমার ও আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করে। আমার বাড়ি দখল করে নিয়ে যান। আমার মা সহ আমার ভাই বোনদের মেরে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এখানেই ক্ষান্ত হননি মামলার পরে মামলা দিয়ে আমাদেরকে পথে বসে দিয়েছেন। তার সাথে ঘটনা নাইক্ষ্যংনছড়িতে হলেও তিনি (রুবি) রংপুরে গিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছিলো একটা আর দুটি মামলা না,তিনি একাধিক মামলা দিয়ে আমাদের দিনের পর দিন হয়রানি করেছে। 

অতঃপর সুরত আলমের সহিত বিবাহ বিচ্ছেদের পর বরিশালের এক ব্যবসায়ী, নুরুল ইসলাম মৃধাকে স্বামী হিসাবে বিবাহ করে বলে  সূত্রে জানা যায়। রুবি এডভোকেট না হয়েও সমাজে পরিচয় দিতেন তিনি একজন এডভোকেট। 

নুরুল ইসলাম মৃধা রুবি খাতুনে শিক্ষাগত যোগ্যতার জাল সনদ ও বিভিন্ন ধরনের প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন অপকৌশলে নানান জনের নিকট হতে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে রুবির সঙ্গে  ছাড়া ছাড়ি  হয়েছে বলে জানা যায়। বর্তমানে রুবি খাতুন ওরফে ওজিফা খাতুন (রুবি) উপরোক্ত হিসাব অনুযায়ী একাধিক  স্বামী ছিলো। 

রুবি খাতুন ওরফে ওজিফা খাতুন রুবি, ওরফে রুবি আলমের বর্তমান স্বমী আব্দুল হালিম ওরফে এইস এম বাপ্পি, 

বাপ্পির গ্রামের বাড়ি  রাজাপুর, জেলা- ঝালকাঠি এর সহিতবিবাহ করেছেন বলে সূত্রে জানা যায়। রুবি খাতুনের উক্ত স্বামী চিটাগাং রেলওয়ের অফিসের প্রধান প্রকৌশলীর চেয়ারে বসে ছবি তুলে তার ফেইসবুক আইডি লিংক http:// www.facebook.com/md.bappy 334924 পোষ্ট করেছে এবং লিখিছেন চিটাগাং রেলওয়ে অফিসের কাজ শেষ করে বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্স করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম"। ইহা সরকারী অফিসে একজন উর্ধতন কর্মকর্তার চেয়ারে বসে ছবি তুলে facebook প্রচার করা ডিজিটাল আইনে ফৌজদারী অপরাধ এবং প্রতারণার শামিল। একাধীক ভুক্তভোগীদের সবারই একই দাবি তার বিরুদ্ধে একাধিক থানায় একাধিক মামলা রহিয়াছে,এরকম জাতীয় প্রতারক কে যেন আইনের আওতায় এনে রাষ্ট্রীয় আইন অনুসারে তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করে। 


এ বিষয়ঃ ওজিফা খাতুন রুবির সাথে, একাধিক বার ফোন দিলে,ফোন না ধরলেও বারবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে, তিনি ফোন রিসিভ করে শুধু বললেন আমার দাঁত ব্যাথা করছে আমি কথা বলতে পারবোনা এই বলে মোবাইল বন্ধ করে দেন।


আরও পড়ুন