যৌন নিপীড়ক জাবি শিক্ষকের অব্যাহতি দাবিতে মানববন্ধন

news paper

মাজহার তাহমিদ, জাবি

প্রকাশিত: ৬-১২-২০২২ দুপুর ৩:৩৭

11Views

ছাত্রীর সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন এবং শিক্ষক নিয়োগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক সহকারী প্রক্টরের প্রভাব বিস্তারের প্রতিবাদে জাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে মানববন্ধন করেছে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট।  মানববন্ধন থেকে বক্তারা অভিযুক্ত শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির অব্যাহতি দাবি করেন।   

মানববন্ধনে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সামী আল জাহিদ প্রীতমের সঞ্চালনায় সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জাবি সংসদের সভাপতি আবু সায়েম বলেন, আজকের অভিযুক্ত শিক্ষক পদ পদবির লোভ দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের অনৈতিক কাজে প্রলুব্ধ করছে। আজ যারা শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট করছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছে  তাদের শাস্তি হোক। অভিযুক্ত শিক্ষককে নৈতিক স্খলনের দায়ে প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হোক এবং তদন্ত সাপেক্ষে তাকে চাকরিচ্যুত করার দাবি জানাই। 

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক আলিফ মাহমুদ বলেন, আজকে একটি লজ্জাজনক অধ্যায়ের সাক্ষী হয়ে আমরা এখান দাড়িয়েছি। শিক্ষকরা নৈতিকতার শিক্ষা দেন। কিন্তু  ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান শিক্ষক মাহমুদর রহমান জনি নৈতিকতাকে জলাঞ্জলি দিয়ে অনৈতিক উপায়ে শিক্ষক নিয়োগে জড়িত থাকার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। আমরা আজ সেই শিক্ষকের অব্যাহতির দাবি নিয়ে দাড়িয়েছি।

তিনি আরও বলেন, মাহমুদুর রহমান জনি সহকারী প্রক্টরের দায়িত্বে থাকায় শিক্ষার্থীরা আতংকে আছে।  একজন নিপীড়নকারী কখনো সহকারী প্রক্টরের মতো দায়িত্বে থাকতে পারেন না। মাহমুদুর রহমান জনি ইস্যুতে প্রশাসনের নিশ্চুপ ভঙ্গি আমাদের লজ্জিত করে।  তাকে দ্রুত সহকারী প্রক্টরের পদ থেকে অব্যাহতি পূর্বক তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করার দাবি জানাই। 

সমাপনী বক্তব্যে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সৌমিক বাগচী বলেন, আমি তার সকল পরিচয় ভুলে গিয়েও যদি একজন শিক্ষক হিসেবে দেখি তাহলে সেটা আমাদের জন্য লজ্জাজনক। একজন শিক্ষক আমাদের নৈতিকতার শিক্ষা দিবেন, এটাই কাম্য। কিন্তু তিনি অনৈতিকতার শিক্ষা দিচ্ছেন। আজকে একটা মহল এই ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য বলছে এটা মিথ্যা, এ ঘটনার কোন অভিযোগ নেই৷ কিন্তু বিশৃববিদ্যালয়ের সকলেই জানে এটা সত্য। সত্য কোনদিন চাপা থাকে না। বিশ্ববিদ্যায়লের প্রশাসন বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে স্বপ্রণোদিত হয়ে তদন্ত করবে। তার কর্মকান্ড শিক্ষার পরিবেশকে ব্যাহত করে, প্রশাসনিক কাজকে ব্যাহত করে। তাকে সকল প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়ার দাবি জানাই। 

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ছাত্রীর সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন এবং তাকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগে জাবির সহকারী প্রক্টর ও পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান জনির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। মাহমুদুর রহমান জনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। 


আরও পড়ুন