পিঠা রানি : এক দিনে বেচেছেন এক লাখ টাকার পিঠা

news paper

ফয়েজ রেজা

প্রকাশিত: ১৩-১-২০২৩ দুপুর ৩:৪২

29Views

পিঠা রানি জান্নাতুল ফেরদৌস। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচিত নাম। উই গ্রুপের সদস্য। জান্নাত কিচেস নামে তারও রয়েছে একটি ফেসবুক পেইজ অনেকের কাছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হলো সময় অপচয়ের জায়গা। পিঠা রানির কাছেই তা ব্যবসা বৃদ্ধি ও অর্থ উপার্জনের অন্যতম প্লার্টফর্ম। ছোটবেলা থেকে তিনি পিঠা তৈরি করতে পছন্দ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রি, আাইন বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা, আদালতে আইনের চর্চা ও কর্পোরেট গ্রুপের সম্মানজনক চাকরি ছেড়ে পিঠা তৈরি ও বেচার কাজটি তিনি গ্রহণ করেছেন আনন্দের সাথে। এ খবর সকালের সময় এর পাঠকরা জেনেছেন আগেই।

তাঁর কোন দোকান বা শো রুম নেই। পিঠা তৈরি করার জন্য নেই কোন সহকারি। নিজের বাসায় নিজের হাতেই পিঠা তৈরি করেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেন পিঠার ছবি ও রেসিপি। সকালের সময়ের পাঠকদের কাছেও তিনি পিঠা রানি হিসেবে পরিচিত। কারণ সকালের সময়ে তিনি দেন নিয়মিত পিঠার রেসিপি। এখন শীতকাল। বাংলাদেশের প্রকৃতিতে যেমন পৌষ মাস, পিঠা রানি জান্নাতুল ফেরদৌস এর ঘরে পৌষের পিঠার মহা ধুম। দিন রাত এক করে চোখের ঘুম নষ্ট করে পিঠা তৈরি করছেন তিনি। সব পিঠার আগাম ফরমায়েশ পাচ্ছেন। নতুন বছরটি তাঁর জন্যে সত্যিকার অর্থেই মহা আনন্দের। কারণ চলতি বছরের শুরু থেকেই পিঠার অনেক ফরমায়েশ পাচ্ছেন তিনি। পিঠার সাথে পাচ্ছেন বিয়ের কোলা ডালা সাজানোর ফরমায়েশ। চলতি মাসে তিনি প্রায় ১০০ ডালা সাজিয়েছেন তিনি। সর্বশেষ ১ দিনে বেচেছেন ৩ হাজার পিঠা। কিভাবে সম্ভব হলো? প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন- আমার পিঠার গ্রাহক আছে সারাদেশে। যারা প্রতি বছর আমার কাছ থেকে পিঠা নেয়। ভাল স্বাদ ও মানের পিঠা তৈরি করার কারণে একজন গ্রাহকের মাধ্যমে আরেকজন গ্রাহক আমার পিঠা খেতে আগ্রহ প্রকাশ করে। এভাবে শুধুমাত্র ঘরে তৈরি ভালো মানের পিঠা বেচার কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। এটি আমার বিশ্বাস।' 

আপনার পরিচিত, অল্প পরিচিত বা অপরিচিত প্রায় ১০০ পদের পিঠা তৈরি করতে পারেন পিঠা রানি। শীতের পিঠা যেমন আছে, তেমনি আছে যে কোন তাপমাত্রায় খাওয়ার মতো পিঠা। কাজের সারা বছর পিঠা রানির ব্যস্ততা থাকে পিঠা তৈরি করার কাজ। এ জন্য তিনি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও রন্ধনশিল্পী হিসেবে পেয়েছেন বেশ কয়েকটি সম্মাননা। আপনারা যদি পিঠা রানির তৈরি করা পিঠা খেতে চান বা খাওয়াতে চান প্রিয়জনদের, তাহলে যোগাযোগ করতে পারেন। যোগাযোগের মাধ্যম- 
মোবাইল- 0 1941-391343
 

আরও পড়ুন