বাংলাদেশ- যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক ইতিবাচক

news paper

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া

প্রকাশিত: ১৩-১-২০২৩ দুপুর ৪:৩১

11Views

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে লেখা এক চিঠিতে আগামী ৫০ বছরে ওয়াশিংটন ও ঢাকার মধ্যে অংশীদারিত্ব আরো বাড়ানোর ব্যাপারে দৃঢ় আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছরের মাইলফলক পালন উপলক্ষে লেখা ওই চিঠিতে তিনি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে আমাদের অংশীদারিত্ব আগামী ৫০ বছর এবং তার পরও বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনে এবং বর্তমানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে বাংলাদেশিদের কর্মশক্তি, উর্বর মস্তিষ্ক ও উদ্ভাবন অবশিষ্ট বিশ্বের কাছে একটি মডেল হিসেবে কাজ করে। উন্নয়ন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সন্ত্রাসবাদ দমন বিষয়ে আমাদের অংশীদারিত্ব নিয়ে আমরা গর্ব করি। এ দুই দেশ জলবায়ু সংকট মোকাবেলায়, গণহত্যার হাত থেকে রোহিঙ্গাদের প্রাণ বাঁচাতে সহায়তায় এবং বিশ্বব্যাপী শান্তি রক্ষার সমর্থনে একসাথে কাজ করে।
আমরাও চাই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের উন্নয়ন হোক। কেননা, ‘সকলের প্রতি বন্ধুত্ব, কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়’ এ মূলনীতিকে প্রধান করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি গড়ে উঠেছে। জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান পররাষ্ট্রনীতির মূলনীতি নিয়ে বলেছিলেন, ‘আমাদের একটি ক্ষুদ্র দেশ, কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়, আমরা চাই সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব।’ এ উক্তির মধ্যেই বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূল তাৎপর্য নিহিত।

বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বের বৃহত্তম প্রভাবশালী পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে সময়ে সময়ে যৎসামান্য টানাপোড়ন পরিলক্ষিত হলেও দেশটি দুই দেশের স্থায়ী অংশীদারিকে গুরুত্ব¡ দেয় সমধিক। এই কথাটি উঠে এসেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বক্তব্যে, যা তিনি লিখিতভাবে বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানের পরিচয়পত্র গ্রহণকালে।

বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে তিনি আমাদের দেশের ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নয়ন-অগ্রগতির উচ্ছাসিত প্রশংসা করেন। একে অভিহিত করেন একটি অসাধারণ গল্প" হিসেবে। বলেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি, জলবায়ু পরিবর্তন, মানবিক, উদান্ত, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা, সন্ত্রাসদমন, সামুদ্রিক ও অন্যান্য নিরাপত্তা ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে অভিহিত হয়েছে। এদেশে মার্কিন বিনিয়োগের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। 

১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়া উদারতার প্রশংসা করে বলেন, এই মানবিক সমস্যার টেকসই স্থায়ী সমাধান খুঁজতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। উল্লেখ্য, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডা নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারের ওপর। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ এশিয়ার জ্যেষ্ঠ পরিচালক এইলিন লুবাখারের নেতৃত্বে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ৮ জানুয়ারি কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পও পরিদর্শন করেন। দলটি মিয়ানমারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে যথাযথ সহায়াতার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন, যা দুই দেশের উষ্ণ ও হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্কেরপ্রতিফলন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে করোনা প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি ভ্যাকসিন দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ মহামারি কভিড-১৯ মোকাবেলায় একত্রে কাজ করে এবং ওয়াশিংটন ঢাকাকে ৬১ মিলিয়নেরও বেশি ভ্যাকসিন ডোজ ও ১৩ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলারের বেশি আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করে।

বাংলাদেশে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ বাড়াতে ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন প্রথম রোড শোর আয়োজন করে। পর্যায়ক্রমে হয়েছে ওয়াশিংটন ডিসি, লসএ্যাঞ্জেলেস ও সানফ্রান্সিসকোতে। ইতোপূর্বে রোড শো করা হয়েছিল দুবাইয়ে। সেখান থেকে প্রভূত সারাও মিলেছে। বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস অনুযায়ী ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের ২৩তম শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ হবে বাংলাদেশ। রোড শো কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে 'রেইজ অব বেঙ্গল টাইগার'। ১০ দিনব্যাপী এই রোড শোর প্রথম দিনে বাংলাদেশের অর্থনীতির সক্ষমতা, দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, বাংলাদেশী পণ্য ও বিবিধ সেবা, শেয়ারবাজার এবং বন্ডমার্কেট তুলে ধরা হয়। এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো, বাংলাদেশে বিদেশী ও অনাবাসী বাংলাদেশীদের বিনিয়োগ আকর্ষণ, বিভিন্ন রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানা স্থাপন, সর্বোপরি কর্মসংস্থান। দেশের একমাত্র সরকারি মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস 'নগদ'-এর আন্তর্জাতিক বাজারে বল্ড ছাড়ার প্রস্তুতিও রয়েছে, যা অত্যন্ত ইতিবাচক।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের প্রধান ক্রেতা। এর পরিমাণও বাড়ছে দিন দিন। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত কয়েকটি দেশ বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করে বলেছে, তারা ক্রয়াদেশ বাতিল করবে না। নতুন ক্রয়াদেশও আসতে শুরু করেছে। অন্যদিকে, মার্কিন মুলুকে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে করোনা প্রতিরোধে নতুন তৈরি পোশাক পিপিই, মাস্ক, হ্যান্ডগ্লোভস ইত্যাদি রপ্তানি শুরু করেছে। সেই দেশের ৩১টি বিখ্যাত ব্র্যান্ড ও পোশাক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থেকে আগামী দুই বছরে আরও পোশাক কেনার আগ্রহ দেখিয়েছে। অন্যদিকে, করোনার উৎসস্থল চীনকে নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশে কিছু উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা-অস্বস্তি থাকার কারণে অন্য কয়েকটি দেশের কার্যাদেশও চলে আসছে বাংলাদেশে, যা প্রত্যাশিত। কেননা, এ দেশে শ্রমমজুরি সস্তা ও সাশ্রয়ী এবং বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ বিদ্যমান।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য প্রায় ১ হাজার কোটি ডলারের। এফডিআইয়ের সবচেয়ে বড় উৎসও যুক্তরাষ্ট্র। এ বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো বাড়াতে নানা উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে রোড শো করছে বাংলাদেশ, আবার যুক্তরাষ্ট্রও বাংলাদেশে আয়োজন করছে মেলা। এরই ধারাবাহিকতায় রাজধানীতে তিনদিনের ইউএস ট্রেড শো শুরু হয়েছে । উদ্দেশ্য বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের প্রসার ঘটানো। বাংলাদেশে কমার্শিয়াল উইংও চালু করেছে যুক্তরাষ্ট্র, আগে এটি ভারত থেকে নিয়ন্ত্রিত হতো। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো গভীর হচ্ছে, এ কথা ঠিক। কিন্তু দুই দেশের সম্পর্কে যে অপার সম্ভাবনা, তার খুব কমই এখন পর্যন্ত কাজে লাগানো গিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সবচেয়ে বড় একক বাজার। দেশটিতে জিএসপির আওতায় যে বাণিজ্য সুবিধা পাওয়া যেত, সেটা আপাতত স্থগিত রয়েছে। এ বিষয়ে মনোযোগ দেয়ার প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ আকর্ষণেও জোর তত্পরতা চালাতে হবে। বাংলাদেশ পণ্য রফতানি ও বিনিয়োগ ঘিরে যে উৎসাহ তৈরি হয়েছে সেটি ধরে রাখতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। উভয় দেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাও দূর করা প্রয়োজন।

মধ্যপ্রাচ্য ঘিরে তাদের নীতি মাঝে মাঝে পরিবর্তন হলেও দক্ষিণ এশিয়া সম্পর্কে মার্কিন অবস্থান পাল্টায় নি। তবে মুসলমানবিরোধী নীতি নেই বাংলাদেশের ক্ষেত্রে।২০১৬ সালে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ২১ কোটি ডলার আর্থিক সহায়তা পেয়েছিল। ২০১৮ সালে বাংলাদেশকে ১৩ কোটি ৮০ লাখ ডলার আর্থিক সহায়তা দেয়। তখন বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সচল রাখার জন্য নতুন করে ৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়। জঙ্গিবাদ দমনে অ্যান্টি-টেরোরিজম অ্যাসিসট্যান্স হিসেবে বাংলাদেশকে ৩০ লাখ ডলার বরাদ্দ দিয়েছিল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর।

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে সব দলের অংশ গ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য এবং সহিংসতামুক্ত নির্বাচন দেখতে চেয়েছিল- তা সম্পন্ন হয়েছে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে। বাংলাদেশের স্বার্থেই এমন নির্বাচন হয়েছে। অন্যদিকে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালীকরণ ও ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজিতে ইতিবাচক পদক্ষেপ, সন্ত্রাসবাদ এবং সাইবার নিরাপত্তা সহযোগিতা বিষয়ে আমরা একে অপরের সঙ্গে সম্পৃক্ত। সাইবার অপরাধ, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলা, গণতন্ত্র এবং টেকসই উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ-আমেরিকা একসাথে কাজ করছে। এ চারটি বিষয়েই আমরা ঘনিষ্ঠ মিত্র। অবশ্য আমেরিকা ও বাংলাদেশ রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক বিষয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র। কারণ তাঁদের মতে, শুধু বাংলাদেশে নয়, পৃথিবীর সব গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রই এখন আইএস’র বা অন্যসব জঙ্গিবাদের হুমকির মুখে রয়েছে। বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে আমেরিকা বলেছিল ‘আমরা সব ধরনের অপরাধের বিচারের পক্ষে।’

স্থিতিশীল পরিবেশে উন্নত ভবিষ্যৎ এবং উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিকে যাত্রায় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশটির প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে।  প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগের (এফডিআই) উৎস হিসেবেও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান শীর্ষে। রেমিট্যান্সের উৎস হিসেবেও দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়। গত পাঁচ বছরে দুই দেশের অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় দ্বিগুণে। যুক্তরাষ্ট্র আমদানি বাণিজ্যে চীননির্ভরতা কমাতে চায়। এজন্য পণ্য আমদানির উৎস হিসেবে অন্যতম সম্ভাবনাময় বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশকেই বিবেচনা করছে দেশটি। বাকি দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশেই এখন তুলনামূলক বেশি সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন দেশটির বাণিজ্য খাতসংশ্লিষ্টরা। এফডিআই এগুলো হয়তো চোখে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু দৃশ্যমান নয় এমন ক্ষেত্রগুলোয়ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নত হয়েছে, যেমন নলেজ শেয়ারিং। 

ঢাকা-ওয়াশিংটন (দ্বিপক্ষীয়) সম্পর্কের মূল উপাদান হিসেবে স্বাধীন গণমাধ্যম, নাগরিক সমাজ এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সামনে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল (এনএসসি)’র উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে এদেশের কিছু মানুষের অপপ্রচার ও গুজবে যা সরকারকেও বিব্রত করার জন্য যথেষ্ঠ। যুক্তরাষ্ট্র যেমন চায় নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করার পরিবেশ বাংলাদেশে তৈরি হোক তেমনি শেখ হাসিনা সরকারও চায় রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা তৈরির সকল প্রচেষ্টা ব্যাহত করতে। বাংলাদেশের নির্বাচন নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠুভাবে করার পরিবেশ তৈরির জন্য সরকারের সঙ্গে সঙ্গে গণমাধ্যমও কাজ করে যাচ্ছে। 


আরও পড়ুন