গোবিন্দগঞ্জে প্রতিহিংসায় প্রেমিকের বাবাকে হত্যা

news paper

গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৮-৭-২০২১ বিকাল ৭:৪০

14Views

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ইভটিজিংয়ে বাধা দেয়ায় নবম শ্রেশির এক স্কুলছাত্রীর পিতা সরফরাজ আলীকে (৬০) মারপিট করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গুমানীগঞ্জ ইউনিয়নের বিলভর্তি গ্রামের দবিরের ছেলে আনোয়ার (৩৫) একই গ্রামের সরফরাজ আলীর নাবালিকা মেয়ে নবম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে পথঘাটে যাওয়া-আসার পথে ইভটিজিং করে আসছিল। প্রেমমের প্রস্তাবের বিষয়টি জানাজানি হলে বাধা হয়ে দাঁড়ায় নাবালিকা মেয়েটির পরিবার। বখাটে আনোয়ারকে বকাবকি করে মেয়েটিকে বিরক্ত না করার জন্য নিষেধ করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বখাটে আনোয়ার শনিবার (১৭ জুলাই) সকাল থেকে মেয়েটির ভাইকে মারার জন্য রড নিয়ে পথে ওতপেতে থাকে। এতে সে ভয়ে ঘর থেকে বের হয়নি বলে জানা যায়।

সরফরাজ আলী গতকাল শনিবার বিকেলে পার্শ্ববর্তী দাড়িদহ বাজারে ঈদের কেনাকাটার উদ্দেশ্যে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেননি। তারপর অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এরই একপর্যায়ে আজ রোববার (১৮ জুলাই) সকালে পথচারীরা পার্শ্ববর্তী ছয় ঘরিয়া গ্রামের রাস্তাসংলগ্ন শাহ্ মো. হাম্মাদ আলী মিঠুর পরিত্যক্ত বাড়ির সামনে সরফরাজ আলীর মুখে রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে থানা পুলিশকে খবর দেন প্রত্যাক্ষদর্শীরা। খবর পেয়ে অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে এসআই আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ সঙ্গীয় ফোর্স লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

নিহতের পরিবারের অভিযোগ, ইভটিজিংয়ে বাধা দেয়ার জের ধরে সরফরাজ আলীকে প্রতিহিংসাবশবর্তী হয়ে আনোয়ার গং মারপিট ও শ্বাসরোধে হত্যা করে ঘটনা আড়াল করতে লাশটি পার্শ্ববর্তী গ্রামে ফেলে যায়। এ ঘটনার পর আনোয়ারের পরিবারেব কাউকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয় গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মেহেদী হাসান জানান, সরফরাজ আলী নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এখনো কেউ গ্রেফতার হয়নি। তবে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। মর্মান্তিক এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।


আরও পড়ুন