আদালতে তথ্য গোপন করে ২৮ মামলা প্রত্যাহারের অভিযোগ!

news paper

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশিত: ২৪-১-২০২৩ দুপুর ৩:৩৯

52Views

স্ট্যান্ডর্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানির  জালিয়াতি, প্রতারনা করে ৩০ কোটি  টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৩৭টি মামলার মধ্যে ২৮টি মামলায় আদালতকে  মিথ্যা দিয়ে মামলা প্রত্যাহার করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে কোম্পানীর আইন উপদেষ্টা এডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন, দুর্নীতির দায়ে চাকুরীচ্যুত ম্যানেজার বেলায়েত হোসেন, কামরুল হোসেন, আতিকুর রহমানসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তরা অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদের পাহাড় করেছে। আদালতকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলা প্রত্যাহারের ঘটনা তদন্ত করে ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জনিয়ে গত ১ জনুয়ারি দুদক চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করেছে।   

জানা গেছে,  ষ্টান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানী বিপিসির নিয়ন্ত্রানাধীন একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। কোম্পানীর প্রায় ৩০ কোটি টাকা হরিলুট করেছে কোম্পানীর চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা মোটা অংকের বেতনে নিয়োগকৃত আইন উপদেষ্টা হয়ে আসামিদের সাথে যোগসাজশে মামলা প্রত্যাহারের ভূমিকা রাখে। রাষ্ট্রীয় অর্থ লুটপাটের মাধ্যমে কোটি  কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েও এখনো বহাল তরিতে নিজস্ব ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা করছে কোম্পানী কোষাগারে টাকা জমা না দিয়ে ও শুধুমাত্র মিথ্যা ভিত্তিহীন একটি চিটির মাধ্যমে আদালতকে বিভ্রান্ত করে তথ্য গোপন করে ৩৭টি অর্থ আত্মসাতের মামলার মধ্যে ২৮টি মামলা থেকে কৌশলে খালাস পেতে যান অপরাধীরা।

আদালতের নির্দেশে সিআইডি তদন্ত প্রতিবেদনে বিপুল অর্থ আত্মসাতের ঘটনা প্রমানিত হয়। এসএওসিএল ম্যানেজমেন্ট এডভাইজারী কমিটি। (ম্যাক) এর প্রেসিডেন্ট ও কোম্পানী পরিচালক মিশু মিনহাজ নিয়ম এবং ক্ষমতা বর্হিভুত ভাবে উক্ত মামলাগুলো বাদী কোম্পানী এক কর্মকর্তা বিজয় চন্দ্র রায়কে গত ২০২১ সালে এসটি মামলা নং ৬১১/১৯, ৬১২/১৯, ৬১৫/১৯ সমূহ প্রত্যাহার করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। এ নির্দেশ প্রদানের পূর্বে  বোর্ড এর অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক থাকলে তা মানা হয়নি। বাদী বিজয় চন্দ্র রায় মামলা প্রত্যাহারে জন্য নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটি, পাচলাইশ সাবেক ম্যানেজার (এডমিন) এসএওসিএল আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত আত্মসাতকৃত অর্থ  কোম্পানীকে  ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেন। 

মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে স্ট্যান্ডর্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানির আইনজীবী এডভোকেট মেজবাহ উদ্দীন বলেন,  মামলাগুলো যারা করেছে তারা নিজেরা নিজেই প্রত্যাহার করে নিয়েছে, তবে আদালতে তথ্য গোপন করে মামলা প্রত্যাহার করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তার চেম্বারে গিয়ে কথা বলতে অনুরোধ জানান, দুদকের অভিযোগের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দুদকের অভিযোগ নিয়ে নিউজ করার মত উপকরণ নেই বলে দাবি করেন। 

অভিযোগের বিষয়ে কোম্পানির সাবেক উপ ব্যবস্থাপক (হিসাব) আতিকুর রহমান, মামলাগুলো যে কোনভাবে প্রত্যাহার হয়ে গেছে এটা নিয়ে কোন কথা বলতে চাচ্ছে না, আমরা সংক্রান্ত বিষয়ে আইন উপদেষ্ঠা ভালো বলতে পারবে বলে তিনি জানান। এসএওসিএল  বোর্ড চেয়ারম্যান এ.বি. এম আজাদ জানান, কোম্পানির টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দায়েরকৃত কিছু মামলা বাদীকে লোভে ফেলে ও  চাপ দিয়ে এবং আদালতে তথ্য গোপন করে মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে এ সংক্রান্ত অভিযোগ আমাদের কাছেও এসেছে, অভিযোগ সত্য হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।


আরও পড়ুন