সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
প্রকাশিত: ২৯-১-২০২৩ দুপুর ১:০
সরকারী কর্মকর্তা সেজে চাকরি দেওয়ার কথা বলে বিপুল অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ করেছেন আব্দুল আলীম ওরফে আব্দুল ওহাব।কখনো অর্থ মন্ত্রনালয়ের ডেপুটি চীফ একাউন্টস অফিসার কখনো বাংলাদেশ রেলওয়ের উপ-সহকারী পরিচালক পরিচয় দিয়ে তিনি চাকুরী প্রত্যাশীদের সরকারী চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন কয়েক কোটি টাকা।প্রতারক চক্রের প্রধান আব্দুল আলীম রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার পুর্ব দৌলতপুর গ্রামের আব্দুর জব্বারের ছেলে।সে নিজের নাম পরিবর্তন করে আব্দুল আহাদ রেখে গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর নওগা জেলার মান্দা উপজেলার নহলাকালুপুর দেখিয়ে পিতার নাম আব্দুল ওহাব মাতার নাম সুফিয়া বিবি হিসেবে ভুয়া জন্ম নিবন্ধন তৈরি করে দীর্ঘবছর যাবত প্রতারনার মাধ্যমেসহজ সরল মানুষদের সর্বস্ব হাতিয়ে নিচ্ছেন।
দীর্ঘদিন ধরে অর্থ মন্ত্রনালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ে বড় কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে চাকরির নামে প্রতারণা করে আসছে আব্দুল আলীম ওরফে আব্দুল ওহাব।সম্প্রতি বিআইডব্লিউটিএ অফিস সহায়ক পদে বাবলু নামে এক জনকে,অর্থ মন্ত্রনালয়ের অধীনে হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের দপ্তরে কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে নাজমুল হাসান নামে একজনকে ও অফিস সহায়ক পদে জাহিদ হাসান নামে এক জনকে ও আসাদ মিয়া নামে এক জনকে রেলওয়ের অডিট শাখায় অফিস সহায়ক পদে চাকুরী সহ মোট ৭ জনকে সরকারী চাকুরীর ভুয়া নিয়োগপত্র ও আইডি কার্ড দিয়ে প্রতারনার মাধ্যমে ১ কোটি টাকার উপড়ে হাতিয়ে নেয়।
বাংলাদেশ সচিবালয়ের সামনে প্রধান ফটকে দাড়িয়ে এসব চাকুরী প্রত্যাশীদের নিকট ভূয়া নিয়োগপত্র এবং পরিচয় পত্র সরবরাহ করা হয়।প্রতিটি নিয়োগ প্রত্যাশীদের কাছ থেকে কৌশলে ১৮ লাখ টাকা,১৫ লাখ টাকা হারে গ্রহন করেন প্রতারক আব্দুল আলীম ওরফে আব্দুল ওহাব।
সরকারী চাকুরিতে নিয়োগ পেয়েছেন ভেবে এসব চাকুরী প্রত্যাশীরা জমিজমা গরু-বাছুর বিক্রি করে ধার দেনা করে সুদের উপড় টাকা জোগার করে তুলে দেয় প্রতারক আব্দুল আলীম ওরফে আব্দুল ওহাবের হাতে।পরে ভুক্তভোগীরা জানতে পারেন এসব নিয়োগ পত্র ও আইডি কার্ডগুলা জাল জালিয়াতি করে তৈরি করে তাদের সাথে প্রতারনা করা হয়েছে।প্রতারনার শিকার এসব ভুক্তভোগীরা এখন সর্বস্বান্ত হয়ে পথে পথে ঘুরছে।
শুধু চাকুরীর প্রতারনা নয় আব্দুল আলীম ওরফে আব্দুল ওহাব বিভিন্ন ব্যাবসায়ী ঠিকাদারদের সরকারী--বেসরকারী কাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে প্রতারনা করেছেন বলেও জানাগেছে।
উত্তরা আজমপুর এলাকার মায়ের দোয়া কনস্ট্রাকশনের মালিক শাখাওয়াত হোসেনকে ফায়ার সার্ভিসে কাজ পাইয়ে দিবে বলে ওয়ার্ক অর্ডারের নামে ৮ লাখ টাকা প্রতারনার মাধ্যমে হাতিয়ে নেন।এছারা্ও ইকবাল নামে এক ব্যাক্তির কাছ থেকে ওয়ার্ক অর্ডারের নামে ৫ লাখ টাকা প্রতারনা করেছেন।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ছিটকী বাড়ি গ্রামের ফয়সাল আলীর পুত্র মোঃ জাহিদ হাসান জানান,প্রতারক আব্দুল আলীম ওরফে আব্দুল ওহাবের বেশভূষা দেখে মনে হয়েছে সে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা,সে সচিবালয়ের গেটে আমার নিকট সাক্ষাত করায় আমরা তাকে বিশ্বাস করি,পরে সে প্রতারক বুজতে পারি।
টাকা ও সহায় সম্বল হারিয়ে এসব গরীব মধ্যবিত্ত পরিবারের বেকার যুবকগুলো এখন পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছে।