বরিশালকে হারিয়ে টুর্নামেন্টে টিকে থাকল ঢাকা ডমিনের্টস

news paper

ওমর ফারুক

প্রকাশিত: ৩১-১-২০২৩ বিকাল ৫:৪২

5Views

ঢাকা ডমিনের্টসের ৯ ম্যাচে ৭ হার, শেষ চারের স্বপ্ন অনেকটাই ফিকে হয়েছে আগেই। কাগজে কলমের যে হিসাবটুকু অন্যরা হারলে, ঢাকার  জিততে হবে পরের সবগুলো ম্যাচ। এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে দারুণ এক জয় পেলো ঢাকা ডমিনেটর্স। ফরচুন বরিশালকে হারালো ৫ উইকেটে।
 
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের শততম বিপিএল ম্যাচে পরাজয় দেখলো তার দল ফরচুন বরিশাল। পঞ্চম ক্রিকেটার হিসেবে বিপিএলে ম্যাচ খেলার সেঞ্চুরি করলেন রিয়াদ।
 
আজ সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৫৬ রান করে ফরচুন বরিশাল। এনামুল হক বিজয় ৪২ ও রিয়াদ ৩৯ রান করেন। জবাবে মোহাম্মদ মিঠুনের ফিফটির (৫৪) সৌম্য সরকারের ৩৭ রানে ভর করে সহজেই লক্ষ্যে পৌঁছায় ঢাকা ডমিনেটর্স। ১০ ম্যাচে ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান এখন ৫ নম্বরে। ৯ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে ২ নম্বরে অবস্থান বরিশালের।
 
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে উড়ন্ত সূচনা ঢাকা ডমিনেটর্সের। ৭.৪ ওভারেই দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও মোহাম্মদ মিঠুন তোলে ৭৪ রান। ২২ বলে ৪ চার ২ ছক্কায় ৩৭ রান করা সৌম্য আউট হলে ভাঙে জুটি। সৌম্য না পারলেও ফিফটি তুলে নেন মিঠুন।
 
সালমান হোসেনের করা ১১তম ওভারে ৪ মেরে ৩৩ বলে ফিফটি ছুঁয়েছেন। তবে ফিরতে হয় এর কিছুক্ষণ পরই। পরের ওভারে এলবিডব্লু হন ৩৬ বলে ৬ চার ৩ ছক্কায় ৫৪ রান করে।
মাঝে আব্দুল্লাহ আল মামুন করেছে ২১ বলে ২৬ রান। জয়ের পথে বাকি কাজটি অবশ্য অনায়াসেই শেষ করতে পারতো অধিনায়ক নাসির হোসেন ও অ্যালেক্স ব্ল্যাক।
 
তবে সাকিবের করা ১৮তম ওভারে জয় থেকে মাত্র ৬ রান দূরে দাঁড়িয়ে ব্ল্যাক আউট হন ১২ বলে ১৫ রান করে। ২ রানের ব্যবধানে একই ওভারে আউট হন আরিফুল হকও (১)। এতে করে হাত ছাড়া হয় বড় জয়। শেষ পর্যন্ত জয় এসেছে ৭ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে। নাসির অপরাজিত ছিলেন ২০ রানে।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু পেয়েছে ফরচুন বরিশাল। দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও সাইফ হাসান ৬.২ ওভার স্থায়ী জুটিতে তোলে ৪২ রান।
 
১৯ বলে বেমানান ১৫ রান করে সাইফ আউট হলে ভাঙে জুটি। এরপর টুর্নামেন্টে বরিশালকে দারুণ ব্যাটিং উপহার দেওয়া অধিনায়ক সাকিব আল হাসান (৫), ইব্রাহিম জাদরান (২) ও ইফতিখার আহমেদ (১০) দ্রুত ফেরেন। বরিশাল পরিণত হয় ৫ উইকেটে ৯২ রানে। যেখানে ওপেনার বিজয়ের অবদান ৩৫ বলে ৪২। আজ বিপিএলে নিজের শততম ম্যাচ খেলতে নামা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটে শেষ পর্যন্ত ১৫০ পেরোয় দল। 
 
রিয়াদের ২৭ বলে ৩৯ রানের সাথে অবশ্য অবদান আছে সালমান হোসেন (১২ বলে ১৪) ও করিম জানাতের (৫ বলে ১৭)। শেষ ৬ ওভারে তাদের স্কোরবোর্ডে যোগ হয় ৬৪ রান। ঢাকার হয়ে সর্বোচ্চ দুই উইকেট নেন আমির হামজা। চোট কাটিয়ে টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা বাঁহাতি পেসার শরিফুল ৪ ওভারে ৪৩ রান খরচায় নেন ১ উইকেট।

আরও পড়ুন