মন প্রাণ দিয়ে ব্যবসাটাকে এগিয়ে নিতে চাই: ফারজানা বাতেন

news paper

বাবুল হৃদয়

প্রকাশিত: ১৩-৫-২০২৩ বিকাল ৫:৩৬

21Views

ফারজানা বাতেন। রন্ধন শিল্পী ও একজন উঠতি নারী উদ্যোক্তা।  তার প্রতিষ্ঠানের নাম অপরাজিতা। তিন বান্ধবী মিলে গড়ে তুলেছেন শখের  প্রতিষ্ঠানটি। থানমন্ডি ২৭ নাম্বার, রাপা প্লাজার শোরুমে বসে  ব্যবসা ও ব্যক্তি জীবনের নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন দৈনিক সকালের সময়ের সঙ্গে। সাক্ষাতকার নিয়েছেন বাবুল হৃদয়।

উদ্যোক্তা হওয়ার শুরুর দিকের কথা বলেন-

২০১৯ সালে করোনাকালীন সময়ে যখন সবাই ঘরে বসে ছিলাম তখন ভাবলাম বসে না থেকে কিছু একটা করি। এই ভাবনা থেকে অনলাইনে কাজ শুরু করা এবং এই বুটিকের শো রুমটা দেওয়া। এখানে নারীদের  শাড়ি ও থ্রিপিস, ফোরপিস পাওয়া যায়। তবে উদ্যোক্তা হিসেবে শুরু করি ২০০২ থেকে শুরু। প্রথমে আমি রান্নাটা শিখি, এরই মাঝে একদিন বৈশাখী মেলায় যাই। সেখানে গিয়ে দেখি অনেক নারীরা তাদের নিজস্ব পণ্য দিয়ে দোকান সাজিয়ে বসে বিক্রি করছে সেখান থেকে মাথায় আসে নারী উদ্যোক্তা হওয়ার। 

আর রান্নায় এলেন কিভাবে-
আমি ছোট্র থেকে রান্নার সঙ্গে ছিলাম। আব্বা টিচার ছিলেন। তার অনেক ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের বাবা-মা বাসায় আসতো। তাদের চা দিতে হত, এভাবে অতিথিদের চা খাওয়াতে খাওয়াতে চা বানানোয় পটু হয়ে গেলাম। আমার চা সবাই পছন্দ করতো এবং আমার চা টা খুব ফ্যামাস হয়ে যায়। রান্নাটা এখান থেকেই শুরু।

কোন রান্নায় আপনি পারদর্শী-
আমার বিরিয়ানিটা সবাই পছন্দ করে আর দেশীয় খাবার। আমার নানুর বাসায় বেড়াতে গেলে খুব ভালো করে দেখতাম আমার নানু মাশকালাই ডালটা কিভাবে রান্না করতো, সাজনা পাতা দিয়ে ঝোল কিভাবে করতো, এখন আর এগুলো তেমন কেউ করেনা, আমি এগুলো করে করে রান্নায় আশি।

রান্নার পেইজ নিয়ে এখন কি আর কাজ করছেন- 
তেমন কিছু না, এখন ব্যস্ত একটি বই-এর কাজ নিয়ে। রানার খুটিনাটি কিছু প্রয়োজনীয় টিপস নিয়ে বই লিখছি। যেখানে থাকবে তরকারিতে লবন বেশী হলে কি করতে হয, ঝাল বেশি হলে কি করতে হয়, কিভাবে ডিম সিদ্ধ করলে কালার ঠিক থাকবে ইত্যাদি টিপস।

এর আগেও আপনার একটি রান্নার বই প্রকাশ হয়েছে। কেমন সাড়া পেয়েছিলেন-
আমার বইটি দেশের চাইতে বিদেশে বেশি সাড়া মিলেছে। বিদেশে যাদের নিজেদের রান্না করে খেতে হয় তারা খুব সহজে অল্প উপকরনে কিভাবে রানা করবে তা ছিল। আমার মেয়ে কানাডায় ও ওর পরিচিত অনেকই এই বইটি সঙ্গে নিয়ে সহজে রানা করতো। নতুন টিপসের বইটিও রান্না যারা করেন তাদের জন্য হেল্পফুল হবে।

রান্নায় আপনার শেখার জায়গাটা বলবেন-
জাতীয় সংসদ ভবনে একটি ক্যাফে আছে যেটা প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেছিল। শেখানে আমি শিখেছি এবং পরবর্তীতে আমি সেখানকার কুকিংয়ের কাজ মেয়েদের শিখিয়েছি। এটা আমার জীবনের প্রথম কাজ ছিল। খুব ভালো একটি কাজ।

নারী উদ্যোক্তার সমস্য নিয়ে বলেন-
নারী উদ্যোক্তার প্রথম সমস্যাটা হল ফ্যামিলে থেকে।  মানতে চায়না মেয়েরা কাজ করবে, তারা সারাদিন বাইরে থাকবে। আমি আমার বাসাটাকে সামলিয়ে বাইরে বের হই। আমার স্বামী প্রথমদিকে বলতো এতো কষ্ট করার কি দরকার। তোমার কি টাকা পয়সা কম আছে? আসলে এটা আমার শখ। আমি কেন বসে থাকবো। নিজের ভালোলাগা থেকেই কাজটি করা। নারীরা এখন অনেকেই ভালো কিছু করছে। দেশও এগিয়ে নিচ্ছে নারীরা।

বিজনেসটাকে কিভাবে দেখেন- 
এটা আমার প্রিয় একটা জায়গা। মন প্রাণ দিয়ে ব্যাবসাটাকে এগিয়ে নিতে চাই। ইচ্ছে আছে দেশের বাইরে কানাডায় অপরাজিতা’র একটা বড় শোরুম দেবো। বই লেখার কাজও চালিয়ে যাবো।

 


আরও পড়ুন