ইতালির উপকূল থেকে ৬০০ অভিবাসী উদ্ধার

news paper

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৮-৫-২০২৩ দুপুর ১২:৩৫

27Views

ইউরোপে উন্নত জীবনের স্বপ্নে বিভোর হয়ে বিপজ্জনক নৌ-যাত্রায় নামা প্রায় ৬০০ অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (২৭ মে) ইতালির সিসিলি দ্বীপের কাছে একটি নৌকা থেকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে।

নৌকাটিতে ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হচ্ছিল। শনিবার রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার ইতালির সিসিলি দ্বীপের কাছে অতিরিক্ত আরোহীতে উপচে পড়া বিপদাপন্ন একটি নৌকায় যাত্রা করা প্রায় ৬০০ অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ)-এর পরিচালিত একটি জাহাজে তাদের উদ্ধার করা হয় বলে সংস্থাটি টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় জানিয়েছে।

সংস্থাটি বলছে, তাদের জিও ব্যারেন্টস নামের ওই জাহাজটি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করার সময় উদ্ধার কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়ার জন্য ডাকা হয়। এক টুইট বার্তায় এমএসএফ জানিয়েছে, ‘তিন ঘণ্টার অপারেশনের পর নারী ও শিশুসহ ৫৯৯ জন জীবিত অভিবাসীকে নিরাপদে উদ্ধার করে জাহাজে নেওয়া হয়েছে... এবং মেডিকেল টিম এখন তাদের যত্ন নিচ্ছে।

এমএসএফ বলেছে, ইতালীয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুসারে উদ্ধারকৃত অভিবাসীদের দক্ষিণাঞ্চলীয় বারি বন্দরে নামানো হবে। বন্দরে পৌঁছাতে প্রায় ৪০ ঘণ্টা সময় লাগবে বলে জানিয়েছে তারা।

এদিকে সরকারপ্রধান জর্জিয়া মেলোনির ইতালীয় প্রশাসন অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলো জর্জিয়া মেলোনির প্রশাসনের সমালোচনা করে বলেছে, অভিবাসীদের উদ্ধার করা হয় এমন এলাকা থেকে প্রায়শই অনেক দূরের বন্দর বরাদ্দ করে ইতালীয় সরকার।

ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত রেকর্ডসংখ্যক ৪৭ হাজারেরও বেশি অভিবাসী ইতালিতে পৌঁছেছেন। ২০২২ সালের একই সময়সীমায় এই সংখ্যা ছিল প্রায় ১৮ হাজার।

উল্লেখ্য, সমুদ্রপথে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টাকারী অভিবাসীদের জন্য ইতালি অন্যতম প্রধান এক প্রবেশপথ। কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগরীয় এই রুটটি বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক হিসেবে পরিচিত।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার মিসিং মাইগ্রেন্টস প্রোজেক্টের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সাল থেকে মধ্য-ভূমধ্যসাগরে ২০ হাজারেরও বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা গেছেন অথবা নিখোঁজ হয়েছেন।


আরও পড়ুন