হুইপ সামশুল হকের তথ্য পাচারের অভিযোগে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার

news paper

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশিত: ২৫-১১-২০২১ বিকাল ৬:৫

58Views

জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপির গোপন তথ্য পাচার ও মানহানির অভিযোগে চট্টগ্রামের দুই যুবলীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত যুবলীগ নেতা জমির উদ্দীনের পরিবারের দাবি, রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতে পরিকল্পিতভবে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে তারা ঘটনার সাথে বিন্দুমাত্রও জড়িত নয় বলে জানান পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয় নেতাকর্মীরা। 

জানা গেছে, গত ২২ নভেম্বর রাতে নগরীর দামপাড়া এলাকা থেকে পটিয়া পৌর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক জমির উদ্দীন ও উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক সাইফুল ইসলামকে (৩৮) গ্রেফতার কর‍া হয়। পটিয়া পৌর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক জমির উদ্দিন (৪৭)। জমির পটিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের মৃত এনামুল হকের ছেলে।

গত ৭ নভেম্বর পটিয়া থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে একটি মামলা দায়ের করেন হুইপের একান্ত সহকারী হাবীবুল হক চৌধুরী। মামলার অভিযোগে হুইপের সম্মানহানি করার জন্য টাকার বিনিময়ে ব্ল্যাকমেইলিং চক্রের কাছে হুইপের তথ্য সরবরাহের অভিযোগ আনা হয়। উক্ত মামলায় যুবলীগ নেতা সাইফু ও জমির মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।

এর আগে একই মামলায় হুইপের গ্রামের বাড়ি উপজেলার শোভনদন্ডী এলাকার মেহেবুবুর রহমান ও আবদুল দয়ান নামের দুই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের শরীর তল্লাশি করে প্যান্টের পকেট থেকে দুটি ডিভাইস উদ্ধার করা হয়, যেখানে হুইপের বিভিন্ন কথাবার্তার রেকর্ড পাওয়া যায়। হুইপের বাড়ির ঘটনার সাথে জমির উদ্দীন কোনো অবস্থায় জড়িত নন।

যুবলীগ নেতাতে হয়রানিমূলক মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে দাবি করে প্রতিবাদ জানান পরিবারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও। তারা হলেন- দেশরত্ন পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাহাব উদ্দীন, পটিয়া পৌর আওয়ামী লীগ নেতা আজাদ রহমান, পটিয়া পৌর যুবলীগ নেতা তৌহিদুল আলম শিবলু, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. সেলিম প্রমুখ।

তারা জানান, উক্ত ঘটনার সাথে যুবলীগ নেতা জমির উদ্দীন কোনোভাবে জড়িত নন। তাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে মামলায় আসামি করা হয়েছে। যুবলীগ নেতা জমির উদ্দীনের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে একের পর এক মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় গ্রেফতারের বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে ন্যায়বিচার দাবি করেন জমির উদ্দীনের পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

এ বিষয়ে যুবলীগ নেতার আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফখরুল আবেদিন কায়ছার জানান, যুবলীগ নেতা জমির উদ্দীনকে সাজানো মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনীত কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হবে না। আশা করি দ্রুততম সময়ের মধ্যে আদালত জামিনে মুক্তি দেবে এবং উক্ত মামলা থেকে খালাস পাবেন।

এ বিষয়ে পটিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট বদিউল আলম জানান, জমির উদ্দীন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন। যেহেতু হুইপের ঘটনা, সেহেতু আদালত চিন্তা-ভাবনা করে বিচার করবে। এর বাইরে কোনো মন্তব্য করার নেই বলে জানান তিনি।

পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানান, হুইপের সম্মানহানি করার জন্য টাকার বিনিময়ে দুই ভাই ব্ল্যাকমেইলিং চক্রের কাছে হুইপের তথ্য সরবরাহ করত। ওই চক্রের যোগসাজশে তারা দুজন দীর্ঘদিন ধরে তথ্য সরবরাহ করেছে। চক্রের মূল হোতাসহ যারা জড়িত রয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনতে দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।


আরও পড়ুন