তুছ্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ
প্রকাশিত: ১২-১২-২০২১ দুপুর ৩:৪৪
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে সামান্য ছাগল তাড়ানোকে কেন্দ্র করে ৩ নারীসহ ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধ আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন- ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মো. নূর হোসেন প্যাদা (৬০), মোসা. নিলুফা বেগম (৪৫), মোসা. নাছিমা (৩৫), মো. নাসির প্যাদা ও মোসা. খাদিজা আক্তার মনিরা (১৪)।
ঘটনা ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ০৯/১২/২০২১ ইং তারিখ সকাল আনুমানিক ১০ ঘটিকার সময় নাছিমা বেগম রাঙ্গাবালী থানার ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়নের তিল্লা সাকিনস্থ প্যাদাবাড়ির দক্ষিণ পাশে জমিতে তার পালিত ছাগল নিয়ে যাওয়ার সময় ১নং বিবাদী মো. বাবু হাং (২০)-এর সাথে কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়। তখন সকল বিবাদীরা উত্তেজিত হয়ে নিলুফা বেগমকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে জথম করে। তার ডাক-চিৎকারে তার শ্বশুর নূর হোসেন প্যাদা তাকে বাঁচানোর জন্য এলে বাবু হাং বাঁশের লাঠি দ্বারা তার কপালে সজোরে আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে তার পকেট থেকে ধান বিক্রির ২৫ হাজার টাকা নিয়ে যায় এবং পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। তারা বর্তমানে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ষাটোর্ধ বৃদ্ধ মো. নূর হোসেন প্যাদা গণমাধ্যমকে জানান, আমাকে এবং আমাদের পরিবারকে হত্যা করার উদ্দেশ্য খোরশেদ আলমের ছেলে বাবু হাং আমাকে, আমার স্ত্রী, আমার পুত্রবধূকে এবং ১৪ বছর বয়সী নাতনিকে মারাত্মকভাবে জখম করে। বর্তমানে আমরা গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছি। আমরা এর যথাযথ বিচারের জোর দাবি জানাই। এ বিষয়ে রাঙ্গাবালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, মামলা নং০২,০৯/১২/২০২১ ইং।
মামলায় বিবাদীরা হলেন- ১।মোঃবাবু হাং(২০), পিতাঃখোরশেদ হাং, ২। মোরশেদ হাং (৬৫), পিতা মৃত কাশেম আলী হাং, ৩। মো. নাচ্চু ফকির, পিতা মৃত আ. মজিদ ফকির, ৪। মো. ফিরোজ ফকির, পিতা মৃত আ. মজিদ ফকির; সর্ব সাং তিল্লা, ৫নং ওয়ার্ড, ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়ন, থানা রাঙ্গাবালী, জেলা পটুয়াখালী।
