কাশিমপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ
প্রকাশিত: ১৬-১-২০২২ দুপুর ৩:৫৬
গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর সবুজ কানন মোড় এলাকায় ইজিবাইক থেকে চাঁদাবাজি করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। ওই নেতাসহ বেশ কয়েকজন যুবক মিলে গত এক সপ্তাহ ধরে নগরীর ৩নং ওয়ার্ড সবুজ কানন মোড় থেকে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক থেকে চাঁদাবাজি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার নাম মো. মনির হোসেন। তিনি গাজীপুর মহানগরীর ৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, মনিরসহ ডিস ব্যবসায়ী মো. জহির নামে আরো এক নেতা কাশিমপুরের সবুজ কানন মোড় এলাকায় ইজিবাইক থেকে প্রতিদিন ১০ টাকা করে চাঁদা তুলে নিচ্ছেন।
ইজিবাইক চালকরা জানান, এই প্রথম গত এক সপ্তাহ ধরে কাশিমপুরের সবুজ কানন মোড় থেকে প্রতিটি গাড়ি থেকে ১০ টাকা করে তোলা হচ্ছে। আগে কখনো সবুজ কানন মোড় থেকে জিপি বা চাঁদা দিতে হতো না। এখন অনেকটাই বাধ্য হয়ে টাকা দিতে হচ্ছে এসব নামধারী যুবলীগ নেতাদের। টাকা না দিলে গাড়ির চাবি নিয়ে যায় ওই নেতাদের লাইনম্যান, গাড়ি চালাতে দেয় না। অনেকটা ভয়েই এসব টাকা দিতে হয়।
নাম না বলার শর্তে এক ইজিবাইক চালক বলেন, কোনাবাড়ী-কাশিমপুর আঞ্চলিক সড়কটি এমনিতেই খানাখন্দে ভরা। আগের মতো ভাড়াও হয় না। এছাড়াও রাস্তায় প্রায় সময় যানজট লেগে থাকে। সবুজ কানন এলে দিতে হয় ১০ টাকা, কাশিমপুর গেলে দিতে হয় ২০ টাকা এবং কোনাবাড়ীতে দিতে হয় ১০ টাকা।
ইজিবাইকচালকরা বলছেন, আমরা গরিব মানুষ, বিপদে আছেন। গাড়ির জমা এবং তিন জায়গায় জিপি দিয়ে সংসার চালানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে যুবলীগ নেতা মনির হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সবুজ কানন মোড়ে যেন বিশৃঙ্খলা না ঘটে এজন্য ইজিবাইক থেকে ১০ টাকা করে নেয়া হয়। ওই যুবলীগ নেতাকে প্রশ্ন করা হয় সবুজ কানন মফস্বল এলাকা, এখানে বিশৃঙ্খলা তো দেখা যায় না আর যানজটের কোনো চিত্র নেই। যানজট নিরসনের জন্য তো প্রশাসন আছে, সিটি করপোরেশন আছে, স্থানীয় কাউন্সিলর আছে; আপনি কেন টাকা তুলেবেন? খন ওই যুবলীগ নেতা বলেন, আপনি কোথায় আছেন, মোবাইলে এত কথা বলা যাবে না। সরাসরি দেখা করে কথা খুলে বলব, বলেই মোবাইল ফোন রেখে দেন।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইজুদ্দিন মোল্লা বলেন, এ বিষয়ে কাশিমপুর থানা থেকে আমাকে ফোন করেছিল। সবুজ কাননের মোড়ে নাকি ইজিবাইকের কারণে যানজট হয়, এজন্য দুজন লোক দিয়েছে। ওই টাকা দিয়ে নাকি তাদের বেতন দেয়া হবে। টাকা তুললে যদি সমস্যা হয় তাহলে বন্ধ করে দেব। কারণ আমি তো কোনো টাকা-পয়সা খাই না।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কাশিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবে খোদা বলেন, সবুজ কানন মোড় থেকে জিপি বা চাঁদা তোলার বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি কেউ তুলে থাকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।