এক ডিম ১১ টাকা

news paper

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১-৫-২০২২ দুপুর ১:৫৬

12Views

তেল ও পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের পাশাপাশি এবার ডিমের বাজারও বেপরোয়া। মাত্র দুই সপ্তাহে হালিপ্রতি ডিমের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৭ টাকা। তাতে একটি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১ টাকায়। ঈদপরবর্তী দুই সপ্তাহে ডিমের দাম বাড়ায় ক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে চরম অসন্তোষ। আর খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডিমের দাম বাড়লেও তাদের লাভ নেই।

শনিবার রাজধানীর তেজগাঁও ও কারওয়ান বাজারে লেয়ার মুরগির লাল ১০০ ডিম পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৮৯০ থেকে ৯১০ টাকা দরে। এই ডিম মহাখালী, গুলশান, মালিবাগ, রামপুরা এবং বাড্ডা এলাকার খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪২ টাকা হালিতে, যা ঈদের আগেও বিক্রি হয়েছে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা হালিতে। অর্থাৎ হালিতে বেড়েছে ৫ থেকে ৭ টাকা। তবে কোনো ক্রেতা একটি কিংবা দুটি ডিম কিনছেন ১১ টাকা দিয়ে।

এসব বাজারে লেয়ার মুরগির পাশাপাশি সাদা কক মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৩৭ টাকা হালিতে। এই মুরগির ডিমের ক্রেতা কম। আর পাকিস্তানি মুরগি ও হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা হালিতে।

অপরদিকে সুপারপশগুলোতে লেয়ার মুরগির ডিম হালিতে বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৫০ টাকায়। আর এক ডজন লেয়ার মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২৬ থেকে ১৫০ টাকায়। অর্থাৎ সুপারশপগুলোতে একটি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১ থেকে সাড়ে ১২ টাকায়।

খচুরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত ৭ মে পর্যন্ত ডিমের দাম কম ছিল। কিন্তু ৮ মে থেকে দাম বাড়তে শুরু করেছে। তারা বলেন, ঈদের আগে লেয়ার মুরগির ডিম বিক্রি করেছি ৩৫ টাকা হালি দরে। আর এক ডজন বিক্রি করেছি ৯৫ থেকে ১০০ টাকায়। এখন এক ডজন ১২০ টাকায় বিক্রি করছি।

বিষয়টি স্বীকার করেছে সরকারি নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। বাজারে ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪২ টাকায়। এক সপ্তাহ আগেও বিক্রি হয় ৩৬ থেকে ৪২ টাকায়, যা এক মাস আগেও ছিল ৩২ টাকা থেকে ৩৫ টাকায়।

মালিবাগ বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের পর ডিমের বাজার গরম। হালিতে দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৭ টাকা। দাম বাড়ার কারণ সম্পর্কে তারা বলছেন, মানুষ বেশি কিনছে তাই দাম বাড়ছে। বেশি দামে না কিনলে তো আর দাম বাড়ত না।

তারা জানান, এক কেস (৩০) ডিম বিক্রি করছি ৩০০ টাকা। তাতে লাভ হয় সর্বোচ্চ ৫ থেকে ৮ টাকা। কিন্তু একটি ডিম ভেঙে গেলে চলে যায় ১০ টাকা। লাভ আর থাকে না। ব্যবসা ধরে রাখার জন্য ডিম বিক্রি করছি।

মহাখালী কাঁচাবাজারে ব্যবসায়ীরা বলছেন, মুরগির ডিম আজকে কেনা ৯২০ টাকা শত। তার সঙ্গে আসা-যাওয়ার খরচসহ ডিমের দাম পড়েছে ৯৭০-৯৮০ টাকা। ১০০ ডিম বিক্রি করলে আমাদের লাভ হবে  ২০ থেকে ৩০ টাকা। এরমধ্যেও রয়েছে ডিম ভেঙে যাওয়ার ভয়। এতে আর কত টাকা লাভ হয়?

এ বিষয়ে আড়তদাররা বলছেন, ঈদের পর সব জিনিসের দাম বেড়েছে। মুরগির খাবারের দাম বেড়েছে। এ কারণে খামারিদের কাছ থেকেও বেশি দামে ডিম কিনতে হচ্ছে।

মেরুল বাড্ডার স্বপ্নের শাখার বিক্রেতা রাবেয়া আক্তার জানান, স্বপ্নে ডিমে কোনো ভ্যাট নেয়া হয় না। আমরা খোলা এক ডজন ডিম বিক্রি করছি ১২৬ টাকায়। ভিটামিনযুক্ত ডিম ডজন ১৩০ টাকা, ১৪০ এবং ১৫০ টাকা দরে বিক্রি করছি।


আরও পড়ুন