নাচোলে প্রতারক রেজাউল করিম বাবুর বিরুদ্ধে দুরুল হোদার সংবাদ সম্মেলন
প্রকাশিত: ২১-৫-২০২২ রাত ১১:১৬
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বাবুর বিরুদ্ধে উপজেলার পূর্ব মির্জাপুর গ্রামের মো. পিয়ার আলীর ছেলে মেসার্স নাইম এন্টারপ্রাইজ ও নাইম ট্রেড লিমিটেডের মালিক দুরুল হোদা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শনিবার (২১ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় নাচোল ডাকবাংলোয় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দুরুল হোদা বলেন, আমার নিকট ঠিকাদারী কাজের জন্য গত ১২/১১/২০২১ইং তারিখে ২৬ লাখ টাকা ধার হিসেবে নেয় প্রতারক রেজাউল করিম বাবু। প্রতারক রেজাউল করিম বাবুর নিকট তার পাওনা টাকা চাইলে তিনি তার ব্যবহৃত ০১৭৮৩০০৯২৩১ মোবাইল নম্বর থেকে হটসঅ্যাপে ওই টাকা পরিশোধ করবেন বলে ম্যাসেজ দিয়েছিলেন এবং তার কল রেকর্ড আছে বলে দুরুল হোদার নিকট সংরক্ষিত আছে বলে দাবি করেন। দীর্ঘদিন থেকে ওই টাকা আদায়ের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন।
দুরুল হোদা তার বক্তেব্যে আরো জানান, প্রতারক রেজাউল করিম বাবু তার প্রতারণা আড়াল করার লক্ষ্যে গত ১ মে/২০২২ইং তারিখ তার নামে একটি মনগড়া সংবাদ সম্মেলন করে।
তিনি সংবাদ সম্মেলনে আরো অভিযোগ করেন, তিনি ছাড়া আরো ২০ ব্যক্তির নিকট থেকে চাকরি দেয়ার নাম করে এবং বিভিন্ন কাজের অজুহাতে এবং ঠিকাদারি কাজ পাইয়ে দেয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে রেজাউল করিম বাবু। ফলে ভুক্তভোগীদের মধ্যে অনেকেই আদালতে মামলা করেছেন এবং বাকিরা মামলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। রেজাউল করিম বাবু প্রথম জীবনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলায় একটি দোকানের কর্মচারী ছিল। এর পরে দেনার দায়ে হঠাৎ করে নাচোল ছেড়ে ঢাকায় আত্মগোপন করে। ঢাকায় গিয়ে একটি বেসরকারি সিকিউরিটি সার্ভিস কোম্পানীনিতে চাকরি গ্রহণ করে। এরপরে সে নিজেই সিকিউরিটী ফার্ম খুলে ব্যবসার নামে প্রতারণা শুরু করে।
উল্লেখ্য, তার বিরুদ্ধে প্রতারণা, চুরি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজির মামলাসহ৮টি মামলা আদালতে চলমান রয়েছে। বর্তমানে প্রশাসনের বড় কর্মকর্তাদের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে এবং পাওনাদাররা তার কাছে টাকা ফেরত চাইলে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে রেজাউল করিম বাবু।