জুড়ীতে বন্যায় ভেসে গেছে মাছের ঘের, কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

news paper

মনিরুল ইসলাম, মৌলভীবাজার

প্রকাশিত: ২৮-৬-২০২২ দুপুর ২:৩৬

6Views

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অব্যাহত ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার মৎস্য খামারিদের ২১৫টি মাছের ঘের ভেসে গেছে। এছাড়া অবকাঠামোগত ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফলে খামারিদের ক্ষতি হয়েছে কোটি টাকার উপরে। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মঙ্গলবার (২৮ জুন) এ উপজেলায় প্রায় ৫৬ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতির কথা বললেও মৎস্য খামারিরা জানান, সব মিলিয়ে ক্ষতি হবে কোটি টাকার উপরে। 

জানা গেছে, উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে মৎস্য খামারিদের বন্যার পানিতে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন জায়ফরনগর ও পশ্চিমজুড়ী ইউনিয়নের খামারিরা।

এদিকে, ও অবকাঠামোগত ক্ষতিসহ উপজেলায় খামারিদের প্রায় কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মৎসচাষীরা।

মৎসচাষি হারিছ মোহাম্মদ বন্যার পানিতে মাছের ঘের ভেসে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রতিবেদককে বলেন, এবারের বন্যা ভয়াবহ। অতিবৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমার তিনটি মাছের ঘের পানিতে ভেসে গেছে। এতে ৩-৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। প্রণোদনার মাধ্যমে আমাদের পাশে দাঁড়ানোর দাবি জানাচ্ছি সরকারের প্রতি।

মৎসচাষি বদরুল ইসলাম বলেন, আকস্মিক বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে আমার ১৫টি মাছের ঘের পানিতে ভেসে গেছে। এতে আমার ৩০-৩৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। 

পশ্চিমজুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনফর আলী  জানান, আমার ইউনিয়নের সকল মাছের ঘের ভেসে গেছে। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন মৎসচাষিরা। প্রণোদনার মাধ্যমে তাদের সহায়তা করার দাবি জানাচ্ছি।

জায়ফরনগর ইউনিয়নের বেলাগাঁও ওয়ার্ডের সদস্য আবুল কাশেম জানান, আমার এলাকায় অনেক মৎসচাষির মাছের ঘের আকস্মিক বন্যায় ভেসে গেছে। শত চেষ্টা করেও ঘের রক্ষা করা সম্ভব না হওয়ায় চাষিদের এখন মাথায় হাত। তাদের ঘুরে দাঁড়াতে সরকারি সহায়তা প্রয়োজন।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবু ইউসুফ বলেন, উপজেলার  মৎস্য খামারিদের ২১৫টি মাছের ঘের/পুকুর ভেসে গেছে। এছাড়া এসব ঘেরের  অবকাঠামোগত ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রায় ৫৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে মৎস্যচাষিদের। প্রতিদিনই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে। প্রকৃত ক্ষতির পরিমাণ জানতে আরো সময় লাগবে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মুহম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, বন্যায় পুকুরের মাছ, পোনামাছ এবং অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে মৎস্য খামারিদের। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। সরকারি কোনো সহায়তা পেলে উপজেলাভিত্তিক মৎস্যচাষিদের বরাদ্দ দেব।


আরও পড়ুন