নিরাপদ খাদ্য ও সুপেয় পানি সবার কাছে পৌঁছে দিতে কাজ করছে সরকার
প্রকাশিত: ১৬-১১-২০২২ দুপুর ৪:৩৭
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম. এ. মান্নান বলেছেন, নিরাপদ খাদ্য, পুষ্টি ও সুপেয় পানি সবার কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য সরকার কাজ করছে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষদের কাছে এই সেবা পৌঁছে দেয়া আমাদের লক্ষ্য।
বুধবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিং, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন এবং গ্লাবাল অ্যালায়েন্স ফর ইম্প্রুভড নিউট্রিশন আয়োজিত নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি উন্নয়নে ‘বাংলাদেশে পুষ্টির উন্নতির জন্য খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যে সংসদ সদস্যদের অংশগ্রহন নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, নিরাপদ খাদ্য, পুষ্টি ও পানীয় সম্পর্কিত এবং নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা উপকৃত হয় এমন প্রকল্পসমূহ পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, রাষ্ট্রের দায়িত্ব মানুষের খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং পুষ্টি নিশ্চিত করা, আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার জন্য আমাদের অনেকগুলো আইন আছে এবং এই আইনগুলো বাস্তবায়নের জন্য সংসদ সদস্যদের জোরালো ভূমিকা এবং সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ও বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিং এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পিত ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনের জন্য সোনার মানুষের দরকার। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই, তাঁর নেতৃত্বে নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিতকরণে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। সকলে মিলে চেষ্টা করলে আমরা খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি নিশ্চিত করতে পারবো।
গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইম্প্রুভড নিউট্রিশন এর দেশীয় প্রতিনিধি ডা. রুদাবা খন্দকার বলেন, নিরাপদ খাদ্য ও সঠিক পুষ্টি বাস্তবায়নে আমাদের যুব সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহন ও মাননীয় সংসদ সদস্যদের নেতৃত্বের ও সকলের সমন্বয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ আগামীতে নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে।
খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি উন্নয়ন কার্যক্রমকে গতিশীল করার লক্ষ্যে সংসদ সদস্য এবং নীতিনির্ধারকদের জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা নীতি এবং সরকারের পরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিত করে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি নিশ্চিত করে নেতৃত্বকে বেগবান করাই উক্ত সভার উদ্দেশ্য।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ফুড প্ল্যানিং অ্যান্ড মনিটরিং ইউনিট এর মহাপরিচালক মো. শহিদুজ্জামান ফারুকি, এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন এর নির্বাহী পরিচালক ডাঃ নিজাম উদ্দিন আহমেদ ও পরিচালক ড. রফিকুল ইসলাম।
সংসদ সদস্যবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ, শবনম জাহান, অপরাজিতা হক, সৈয়দা রুবিনা আক্তার, আদিবা আনজুম মিতা, রুমানা আলী, বেগম হোসনে আরা, হাবিবা রহমান খান শেফালী, একেএম সারওয়ার জাহান বাদশা, উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, বেগম শিরীন আহমেদ, বেগম জাকিয়া তাবাস্সুম, বেগম নাদিরা ইয়াসমিন জলি, শেরীফা কাদের, ওমর ফারুক চৌধুরী, বেগম সিমিন হোসেন রিমি, মনিরা সুলতানা, খোদেজা নাসরিন। এছাড়াও সরকারি ও বেসরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, দেশি-বিদেশি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এবং জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।