পিরোজপুর-নাজিরপুর সীমানা খালের ব্রিজের বেহাল দশা

news paper

নিজাম উদ্দিন

প্রকাশিত: ২২-১-২০২৩ বিকাল ৫:১০

8Views

পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের দক্ষিণ জয়পুর ও  পিরোজপুর জেলার সদর উপজেলার সিকদার মল্লিক ইউনিয়নের গনক পাড়া গ্রামের  সীমানা খালের উপরের সংযোগ ব্রিজের বেহাল দশা। ঝুঁকিপূর্ণ এ ব্রিজ দিয়ে প্রতিনিয়ত পারাপার হচ্ছে স্কুল, কলেজ , মাদ্রাসার শত শত কোমলমতি ছাত্র ছাত্রী ও জনসাধারন।  এছাড়া ব্রিজ দিয়ে ছোট মাঝারি যানবাহন চলাচল করতে না পারায় বিপাকে পড়েছে অটোভ্যান, মোটরসাইকেল ও ব্যবসায়ীরা।এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৩০ বছর পূর্বে নির্মিত ব্রিজটি দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায়  চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। শ্রীরামকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে  কাঠের তক্তা দিয়ে জোড়াতালি দিয়ে যাতায়াতের কোন রকম ব্যবস্থা করলে ও কিছুদিন যেতে না যেতেই পূর্র্বের অবস্থায় ঝুঁকি পূর্ন পড়ে রয়েছে ব্রিজটি। স্থানীয়রা আরও জানান, দীর্ঘদিনেও ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি সংস্কার না করায় ব্রিজ দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে অনেক পথচারী দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। জানা যায়, ব্রিজের পুর্ব পাড়ে ৮৫নং দক্ষিন জয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পশ্চিম পাড়ে রাস্তা দিয়ে আধাঝুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিকদার মল্লিক নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, নাজিরপুর  উপজেলার সদরের অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,চিকিৎসা কেন্দ্রে এই ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ পারাপার হয়েই তাদের যোগাযোগ রক্ষা করতে হচ্ছে। দুই ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী হওয়ায় স্থানীয় কোন জনপ্রতিনিধিরাই  ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি সংস্কারের জন্য কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। তাই দুই ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা জরুরী ভিত্তিতে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।  খেজুরতলা সম্মিলন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক  অসীম মজুমদার আক্ষেপ করে বলেন  , সীমান্তবর্তী হওয়ায় ব্রীজটি সংস্কারের  উদ্যোগ কেউই নিচ্ছে না, যার ফলে স্কুল-কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের যাতায়াতে খুব কষ্ট হয়। তাছাড়া বেশির ভাগই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকতে হয় গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের। মাস্টার্স অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী তুফান মন্ডল জানান, অত্যান্ত ঝুঁকি নিয়ে ব্রীজ পার হয়ে কলেজে  আসতে- যেতে হয়।  ব্রীজটি  অতি দ্রুত নির্মাণের দাবি জানাই।
শ্রীরামকাঠী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জানান, গত অর্থ বছরে পরিষদ থেকে সামান্য কিছু টাকা বরাদ্দ দিয়ে কাঠের তক্তা দিয়ে সংস্কার করেছিলাম। তবে ব্রিজটির কাজ এলজিইডি থেকে পুনরায় করা না হলে পরিষদের বরাদ্দে যোগাযোগের উপযোগী করা সম্ভব নয়। 
পিরোজপুর সদর উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী হরসিত সরকার জানান, ব্রিজটি সংস্কার করার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাব পাশ হলে ব্রিজের কাজ করা সম্ভব হবে।

আরও পড়ুন