সাজাপ্রাপ্ত আসামি সোহরাব কে ২৪ বছর পর গ্রেফতার করলো র্যাব-২
প্রকাশিত: ২৩-১-২০২৩ রাত ১০:৬
সাজাপ্রাপ্ত আসামি সোহরাব কে ২৪ বছর পর গ্রেফতার করলো র্যাব-২ চব্বিশ বছরের পলাতক হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে আশুলিয়া হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-২। এবিষয় র্যাব-২ এর মোহাম্মদপুর বসিলার অফিসে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব বলেন বিগত ১৯৯৮ সালের জুন মাসে যশোর জেলার কোতয়ালি থানা এলাকায় মাছের ব্যবসাকে কেন্দ্র করে আসামি ১) সোহরাব হোসেন,সহ আশরাফ,রেজাউল ইসলাম,তরিকুল ইসলাম,খোকন ঢালী সংঘবদ্ধ হয়ে ভুক্তভোগী শুক্কুর আলীকে গুরুতর জখমসহ নৃসংশভাবে হত্যা করে। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের পরিবার বাদী হয়ে যশোর জেলার কোতয়ালি থানায় ০৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। যাহা কোতয়ালি থানার মামলা নং ১০, তারিখ-০৪/০৬/১৯৯৮, ধারা- ৩০২/৩২৪/৩৪ পেনাল কোড। উক্ত ঘটনায় দেশব্যাপি ব্যাপক আলোড়ন ও চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এবং তৎকালিন ইলেকট্রনিক্স এবং প্রিন্ট মিডিয়ায় ব্যাপক ভাবে প্রচার করা হয়। পরবর্তীতে হত্যাকান্ডের ঘটনাটি দায়েরকৃত হত্যা মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত সম্পন্ন করে প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় এজাহারনামীয় ০৫ জন আসামির বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বিজ্ঞ আদালত উক্ত হত্যার ঘটনায় অবগত সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ ও তথ্য প্রমাণ সহ দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ অতিঃ জেলা ও দায়রা জজ আদালত ২০০২ সালে ১ নং আসামী সোহরাব হোসেন(৪৫), ২ নং আসামি আশরাফ,৫ নং আসামী খোকন ঢালী সহ আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং ০২ জনকে খালাস প্রদান করেন। এদের মধ্যে যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত ১নং আসামি সোহরাব হোসেন (৪৫) মামলা রুজু হওয়ার পর হতে গ্রেফতার এড়ানোর জন্য আইন শৃঙ্খলার বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে আত্মগোপনে ছিল।
এবিষয় র্যাবের কাছে গ্রেফতারের দায়িত্ব আসে এরই ধারাবাহিকতায়,গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-২ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল অদ্য ২৩ জানুয়ারি রাজধানীর আশুলিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত হত্যাকান্ডের যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সোহরাব হোসেন কে, গ্রেফতার করে। এখন তার বয়স ৪৫ বছর তার পিতার নাম মুছাবির,থানা-কোতয়ালি, জেলা- যশোর।গ্রেফতারকৃত যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি সোহরাব হোসেনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানান,উক্ত ঘটনার পর থেকে গ্রেফতার এড়ানোর জন্য প্রথমে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ৪ বছর, মিরপুরে ৭ বছর, তেজগাঁও এ ৩ বছর এবং সাভারের জিরানীতে দীর্ঘ ১০ বছরসহ সর্বমোট ২৪ বছর বিভিন্ন পেশা ও বিভিন্ন নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে ছদ্মবেশ ধারন করে আত্মগোপনে থাকত। গ্রেফতারকৃত আসামি সোহরাব হোসেন (৪৫) উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি স্বীকার করে। এছাড়াও গ্রেফতারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যাচাই বাছাই করে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।
গ্রেফতারকৃত যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন।