খবর বিক্রেতার খবর কেউ রাখে না
প্রকাশিত: ২৪-১-২০২৩ দুপুর ১২:১৩
৩০ বছর ধরেই বকুল সরকার পত্রিকা নিয়ে ছুটে চলেন মানুষের দ্বারে দ্বারে। সূর্যের আলো ফোটার আগেই বাড়ি থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে চান্দাইকোনা বাজার থেকে পত্রিকা এনে ভুইয়াগাতি,নিমগাছিসহ আসে পাশে এলাকায় বিলি করেন। কখনো হেঁটে আবার কখনো বাই সাইকেল করে দোকানে, অফিস আদালতে পৌঁছে দেন পত্রিকা। বছরের কয়েকটা দিন ছাড়া ছুটি নেই তার। এভাবে রোদ বৃষ্টি, ঝড় উপেক্ষা করে চলে বছরের পর বছর।
পত্রিকা পাঠক মহলে এক পরিচিত নাম হকার বকুল সরকার। ইউনিয়ন ভিত্তিক দায়িত্ব পালনের জন্য ৫ জনের একটা দলও গড়েছেন তিনি। ৪৫ বছর বয়সে পাঠককের ভালোবাসায় আর জিবিকার তাগিদে পেপার বিক্রি চালিয়ে যাচ্ছেন।
মঙ্গলবার সকালে চান্দাইকোনা বাজারের সামনে কথা হয় বকুলের সঙ্গে। তিনি জানান, কবে থেকে এ পেশা শুরু করেন তিনি তা তার সঠিক মনে নেই তবে প্রায় ৩০ বছর আগে থেকেই অর্থাৎ বুঝ হওয়ার পর থেকেই তিনি মূলত এই পেশার সাথে যুক্ত হন। প্রথম দিকে হেঁটে, কাঁধে পত্রিকা নিয়ে মানুষের বাড়ি-দোকান-অফিসে বিলি করতেন। এরপর সাইকেলে করে পত্রিকা বিক্রি শুরু করেন। রোদ-বৃষ্টি-ঝড় বা কনকনে শীত, যাই থাকুক না কেন সেই কাকডাকা ভোরে বেরিয়ে পড়েন। পাঠকের দ্বারে দ্বারে পত্রিকা পৌঁছে দেন। একমাত্র আয় পত্রিকা বিক্রি থেকে উপার্জিত অর্থ।
পত্রিকা পাঠক মহলে এক পরিচিত নাম হকার বকুল সরকার। ইউনিয়ন ভিত্তিক দায়িত্ব পালনের জন্য ৫ জনের একটা দলও গড়েছেন তিনি। ৪৫ বছর বয়সে পাঠককের ভালোবাসায় আর জিবিকার তাগিদে পেপার বিক্রি চালিয়ে যাচ্ছেন।
মঙ্গলবার সকালে চান্দাইকোনা বাজারের সামনে কথা হয় বকুলের সঙ্গে। তিনি জানান, কবে থেকে এ পেশা শুরু করেন তিনি তা তার সঠিক মনে নেই তবে প্রায় ৩০ বছর আগে থেকেই অর্থাৎ বুঝ হওয়ার পর থেকেই তিনি মূলত এই পেশার সাথে যুক্ত হন। প্রথম দিকে হেঁটে, কাঁধে পত্রিকা নিয়ে মানুষের বাড়ি-দোকান-অফিসে বিলি করতেন। এরপর সাইকেলে করে পত্রিকা বিক্রি শুরু করেন। রোদ-বৃষ্টি-ঝড় বা কনকনে শীত, যাই থাকুক না কেন সেই কাকডাকা ভোরে বেরিয়ে পড়েন। পাঠকের দ্বারে দ্বারে পত্রিকা পৌঁছে দেন। একমাত্র আয় পত্রিকা বিক্রি থেকে উপার্জিত অর্থ।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে স্ত্রী, এক মেয়ে ও দুই ছেলে নিয়ে ৫ জনের সংসার। পত্রিকা বিক্রি করে সংসার চলে তার।
বকুল সরকার আক্ষেপ করে বলেন, সারা দেশের খবর বিলি করলেও আমাদের অভাব অনটনের খবর কাউকে বলতে পারি না। বর্তমানে বয়স বেড়ছে, আগের মতো আর ছুটতে পারি না। তবুও বিভিন্ন স্থানে পত্রিকা বিলি ও বিক্রি করে মাস শেষে যা আয় হয়, তা দিয়েই কোনো রকম সংসার চলে। এখন সবার হাতে হাতে মোবাইল ও ইন্টারনেট থাকায়, আগের মতো পত্রিকা বিক্রি হয় না।
বকুল সরকারের বিষয়ে রায়গঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক কে.এম রফিক বলেন, বকুল সরকার যে সময়ে পত্রিকার হকার হিসেবে পেশা শুরু করেছিলেন তখন মানুষ পত্রিকা পড়তে আগ্রহী ছিল, রায়গঞ্জের সাধারণ মানুষ সারাদেশের সংবাদ পড়তে ও জানতে ভোর বেলা থেকেই বিভিন্ন হাটে বাজারে একটা পত্রিকার জন্য অপেক্ষা করতো।বর্তমানে অনলাইন এই যুগে ছাপা পত্রিকার একটু কদর কমেছে। মানুষ এখন হাতে থাকা মুঠোফোনের মাধ্যমে দেশ বিদেশের খবরাখবর জানতে পারছে।