ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ মে, ২০২৩

ইউক্রেন যুদ্ধ কয়েক দশক ধরে চলতে পারে


আন্তর্জাতিক ডেস্ক  photo আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬-৫-২০২৩ দুপুর ১১:২০

টানা ১৫ মাস ধরে চলছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ। অনেকে এই যুদ্ধ বন্ধের আশা করলেও ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের জেরে সৃষ্ট এই সংঘাত অবসানের কোনও লক্ষণ এখনও দেখা যাচ্ছে না। আর এমনই এক পরিস্থিতিতে ইউক্রেন যুদ্ধ কয়েক দশক ধরে চলতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ।

সাবেক এই প্রেসিডেন্ট বর্তমান রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের শীর্ষস্থানীয় মিত্রদের একজন। শুক্রবার (২৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

রাশিয়ার বার্তাসংস্থা আরআইএ’র বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের শীর্ষ মিত্র দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, ইউক্রেনের যুদ্ধ কয়েক দশক ধরে চলতে পারে।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বপালনের পর দীর্ঘসময় রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্বপালন করেছেন দিমিত্রি মেদভেদেভ। বর্তমানে তিনি রাশিয়ার সিকিউরিটি কাউন্সিলের ডেপুটি চেয়ারম্যান। বর্তমান রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের শীর্ষস্থানীয় এই মিত্র ভিয়েতনাম সফরের সময় ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে সর্বশেষ ওই মন্তব্য করেন।

অবশ্য রাশিয়ার সাবেক এই প্রেসিডেন্ট প্রায়শই কঠোর নানা মন্তব্য করে থাকেন। এমনকি গত মাসে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষকে সংক্রমণ হিসাবে আখ্যায়িত করেছিলেন তিনি। এছাড়া ইউক্রেনে রাশিয়া হারলে পরমাণু যুদ্ধ শুরু হতে পারে বলে চলতি বছরের জানুয়ারিতে সতর্ক করে দিয়েছিলেন এই পুতিন মিত্র।

ভিয়েতনাম সফরের সময় দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেন, ‘এই সংঘাত খুব দীর্ঘ সময় ধরে চলবে, সম্ভবত কয়েক দশক।’

ইউক্রেন নাৎসি রাষ্ট্র বলে মস্কোর দাবির পুনরাবৃত্তি করে রাশিয়ার সাবেক এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘যতদিন দেশটিতে এই ধরনের (সরকার) ক্ষমতায় থাকবে, সেখানে দেখা যাবে তিন বছরের যুদ্ধবিরতির পর দুই বছর ধরে সংঘাত হচ্ছে এবং এগুলোর সবকিছুরই বার বার পুনরাবৃত্তি হবে।’

এর আগে গত জানুয়ারিতে মেদভেদেভ বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়া পরাজিত হলে পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু করতে পারে তার দেশ। ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করা মেদভেদেভ সেসময় বলেন, ‘পরমাণু শক্তিধর দেশগুলো বড় ধরনের সংঘাতে কখনই হারেনি। কারণ এর ওপর তাদের ভাগ্য নির্ভর করে।’

এখন পর্যন্ত বিশ্বের শীর্ষ দুই পারমাণবিক অস্ত্রধারী রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে বিশ্বের প্রায় ৯০ শতাংশ পারমাণবিক ওয়ারহেডের দখল রয়েছে। রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা কেবল প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হাতে রয়েছে।

রাশিয়ার ওপর প্রচলিত সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব ন্যাটোর থাকলেও পারমাণবিক অস্ত্রের হিসেবে ইউরোপের জোটের তুলনায় মস্কোর পারমাণবিক শক্তি বেশি রয়েছে।

উল্লেখ্য, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দীর্ঘ দিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলা হয়ে থাকে দিমিত্রি মেদভেদেভকে। ২০১২ সাল থেকে ২০২০ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত মেদভেদেভ রাশিয়ার দশম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। এছাড়া ২০০৮ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে সবচেয়ে ভয়াবহ এক সংঘাত এবং ১৯৬২ সালের কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর মস্কো ও পশ্চিমের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংঘর্ষের সূত্রপাত করেছে।

এমএসএম / এমএসএম

রুশ ড্রোন হামলার পর বিমান বাহিনীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ জেলেনস্কি

বিশ্ব নেতাদের অভিনন্দন-শুভেচ্ছায় ভাসছেন এরদোয়ান

ইতালির উপকূল থেকে ৬০০ অভিবাসী উদ্ধার

রাশিয়ার সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ পুতিনের

চীনের কাছ থেকে খুব জটিল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি ভারত

ধেয়ে আসছে মহাশক্তিশালী সুপার টাইফুন মাওয়ার

কেন ইমরানের দল ছাড়ছেন নেতা-কর্মীরা

ইমরানের দল থেকে পদত্যাগের হিড়িক, দীর্ঘ হচ্ছে তালিকা

চীনে করোনার নতুন ঢেউ, সপ্তাহে আক্রান্ত হবেন সাড়ে ৬ কোটি মানুষ

ভারতীয় পাসপোর্টে রোম যাওয়ার চেষ্টা, মুম্বাইয়ে বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

জরুরিভিত্তিতে সরকারের সঙ্গে সংলাপ চান ইমরান

এরদোয়ানের ভাগ্য নির্ধারণ কাল

ব্রিটিশ রানিকে নিয়ে গোপন তথ্য প্রকাশ এফবিআইয়ের