শিক্ষককে মারধরের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ, কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত

news paper

মুতাছিম বিল্লাহ রিয়াদ, ইবি

প্রকাশিত: ৮-৬-২০২৩ দুপুর ১২:৪১

22Views

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল হাদীস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমানকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি করেছেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৮ জুন) সকাল ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা উপস্থিত হন। এসময় প্রক্টরিয়াল বডির কাছে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিগুলো তুলে ধরেন। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতও সেখানে উপস্থিত হন। পরে প্রক্টরিয়াল বডি দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলে এক ঘন্টা পর অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো-অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা সোহেলকে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার, ভুক্তভোগীর নিকট অভিযুক্তকে ক্ষমা চাওয়া ও অগ্রণী ব্যাংকের বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বন্ধ রাখতে হবে।

দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রক্টর (সহকারী প্রক্টর) অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত একজন শিক্ষক যে ব্যাংক কর্মকর্তার দ্বারা হামলার শিকার হয়েছে তার বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক অবরোধ করেছিল। একটি নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সমস্যার সমাধান করার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ, মারধরে অভিযুক্ত সোহেল মাহমুদ অগ্রণী ব্যাংক কুষ্টিয়া জেলার চৌড়হাস ব্রাঞ্চের কর্মকর্তা। ভুক্তভোগী শিক্ষক ড. মোস্তাফিজুর রহমান ইবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা তার প্রতিবেশী। তারা উভয়েই কুষ্টিয়া হাউজিং ডি ব্লক এলাকায় বসবাস করেন। ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মত বুধবার সকালে হাঁটতে বের হন ড. মোস্তাফিজ। এসময় আবাসিক এলাকার হাউজিং ডি ব্লকের সামনে আসলে তার উপর হামলা চালান প্রতিবেশী ব্যাংক কর্মকর্তা সোহেল। এসময় তার উপর উপর্যুপরি কিল-ঘুষি ও লাথি মারতে থাকেন সোহেল। এতে ড. মোস্তাফিজের বাম হাতের আঙুলে মারত্মক আঘাত পান। এসময় তাকে পরিবারসহ শহর ছাড়তে এবং অন্যথায় প্রাণনাশের হুমকি দেন সেই কর্মকর্তা।
এসময় ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল বারী ঘটনাস্থলে আসেন এবং তাকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।

সূত্র জানায়, অনেকদিন ধরেই ড. মোস্তাফিজের সাথে বিরোধ চলছিলো ব্যাংক কর্মকর্তা সোহেলের। এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন সিনিয়র শিক্ষকসহ আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসা করা হয়। তবে এরপরেও বিভিন্ন সময়ে ড. মোস্তাফিজকে হুমকি দিয়ে আসছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে সোহেলের বিরুদ্ধে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।


আরও পড়ুন