কাটা ছেঁড়া ছাড়া হার্টের রোগীদের সেবা দিচ্ছে মাতৃভূমি হার্ট কেয়ার
প্রকাশিত: ২১-৮-২০২৩ রাত ১১:২৭
মানুষের জন্মের পর থেকে প্রায় ২০ বছর শারীরিকভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে। বাড়ন্তের এই সময় অতিক্রাত হলে খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে শারীরের অতিরিক্ত ক্যালোরি দরকার পড়ে। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরে মানুষের রক্তনালির ভিতরে চর্বি জমতে শুরু করে অর্থাৎ করোনারি ধমনীর ব্লক হওয়া শুরু করে। জীবনযাপন প্রণালী এবং খাবারের অভ্যাসের উপর ভিত্তি করে এই ব্লক বছরে ২% থেকে ৩% হারে বাড়ছে থাকে। হার্টে করোনারি ধমনীর ভেতরে ১০০% ব্লক হতে সময় লাগে প্রায় ৪০-৪৫ বছর। গবেষণায় দেখা গেছে বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতি ৮ জন ১ জন হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিতে রয়েছে। সাধারণত সারা পৃথিবী জুড়ে এই ধরনের রোগীর ক্ষেত্রে সাধারণত দুটি উপায়ে চিকিৎসা করা হয়। প্রথমত রিং পরানো, দ্বিতীয়ত বাইপাস সার্জারি। এটিই সাধারণত প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতি। কিন্তু প্রচলিত এই চিকিৎসা পদ্ধতির পাশাপাশি প্রাকৃতিক বাইপাসের মাধ্যমে কাঁটা ছেঁড়া ছাড়া হার্টের রোগীকে সুস্থ করার জন্য চিকিৎসা পদ্ধতি চালু হয়েছে। মাতৃভূমি গ্রুপের অন্যতম সহযোগী প্রতিষ্ঠান মাতৃভূমি হার্ট কেয়ার লিমিটেড কাটাছেঁড়া ছাড়া প্রাকৃতিক উপায়ে বাইপাস পদ্ধতির মাধ্যমে হার্টের রোগীকে সুস্থ করে তুলছে। প্রতিষ্ঠানটি বিগত দুই বছরে শতাধিক রোগী সুস্থ হয়েছেন। বিজ্ঞানের উন্নতির ধারাবাহিকতায় প্রাকৃতিক বাইপাস পদ্ধতি সর্বাধুনিক বিজ্ঞান ভিত্তিক প্রমাণিত একটি পদ্ধতি। ইইসিপি মেশিনে ৩০-৪০ ঘন্টা চিকিৎসার মাধ্যমে হৃদপিন্ডের রক্তনালীর ব্লকের আশপাশের অবহেলিত সুপ্ত রক্তনালী সক্রিয় হয়ে হৃদপিণ্ডে রক্ত সরবরাহ বৃদ্ধি করে অর্থাৎ বদ্ধ ধমনীটির আশপাশ দিয়ে ন্যাচারাল বাইপাস হয়ে যায়, কোন কাটাছেঁড়া করতে হয় না। এই পদ্ধতিকে প্রাকৃতিক বাইপাস বলে। যার মাধ্যমে হৃদপিন্ডের রক্তনালীর ব্লক প্রাকৃতিক বাইপাস হয় এবং সাথে সাথে শরীরের অন্যান্য অঙ্গের বিভিন্ন পর্যায়ের বিপর্যয় হতে রক্ষা পায়। এছাড়াও জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া (বিসিটি) অন্য আরেকটি পদ্ধতি যা স্যালাইন গ্রহণের মাধ্যমে রক্তনালীতে প্রবেশ করিয়ে শরীরের ধমনীতে জমে থাকা ক্যালসিয়াম ও বিভিন্ন হেভি মেটাল বের করে ব্লকের সাইজ কমিয়ে দেয়। এই রসায়নের মাত্রা কেবল বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নির্ধারণ করে থাকেন যার রোগীভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে। এ চিকিৎসা ব্যবস্থায় ৫০-৬০ দিনের সময়সীমায় ২০-৩০ টি ডোজ দেওয়া হয়। এই চিকিৎসা সেবাকে আর্টারি ডিক্সট্টিকেশন বলে । অন্য ভাষায় বলা হয় রক্ত শোধন প্রক্রিয়া। এই পদ্ধতি একজন সুস্থ ব্যক্তি ও গ্রহণ করতে পারেন ফলে তার রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। একজন ব্যক্তির হৃদপিণ্ড সুস্থ থাকলে স্ট্রোক, কিডনি, পারকিনসনস, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, সারকিউলেটরি হতে মুক্তি, শ্রবণ ক্ষমতা বৃদ্ধি, দৃষ্টিহানি দূরীকরণ, অটোইমিউন রোগ মুক্তি, পায়ের অস্থি মজ্জায় বল বৃদ্ধি, বয়সের ছাপ পড়া থেকে রক্ষা করা, পরিশ্রম করার ক্ষমতা বৃদ্ধি সহ শারীরিক সক্ষমতা স্বাভাবিক রাখে।
হার্টের অসুখ সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে মাতৃভূমি হার্ট কেয়ার নিয়মিত সবার সেমিনারের আয়োজন করে আসছে। মানব সেবার অনন্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে মাতৃভূমি হার্ট কেয়ার নিয়মিত রোগীদের সেবা করে যাচ্ছে।