৫ হাজার কোটি টাকার তেল চুরি
প্রকাশিত: ২৬-৯-২০২৩ দুপুর ৪:০
* তদারকী সংস্থার অভিযানে মিলছে সত্যতা
* র্যাব ও কোস্ট গার্ডের অভিযানে তেল আটক হলেও ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকে মূলহোতারা
* চুরির কারনে বাড়ে পণ্য পরিবহন ও উৎপাদন খরচ, বাজারে এর প্রভাবে হাওয়া হয়ে যায় পাবলিকের কষ্টের টাকা।
জ্বালানি তেল বিপণনকারী সরকারী সংস্থা পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, পেট্রোল পাম্প ও চোরাকারবারী সিন্ডিকেট মিলে ভোক্তাদের ঠকানোর চক্রান্তে নিয়মিত ওজনে কারচুপির মাধ্যমে বছরে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার জ্বালানি তেল চুরি করে থাকে। এসব কারচুপির ফলে খরচ বাড়ে পণ্য পরিবহনে, বৃদ্ধি পায় উৎপাদন খরচ। ফলে ভোক্তা পর্যায়ে পণ্যের দাম হয়ে যায় আকাশচুম্বী। এসব চুরি রোধ করা গেলে পণ্যের দাম অনেকটা সহনীয় পর্যায়ে রাখা সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। র্যাব ও কোস্টগার্ডের অভিযানে মাঝে মাঝে তেল আটক হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরেই থাকে মূলহোতারা। কোথাও কোথাও আবার ২/১ জন ক্যারিয়র আটক হতে দেখা গেছে।
বিপিসি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, ২০২১-২০২২ অর্থবছর দেশে মোট জ্বালানি তেল ব্যবহার হয়েছে ৬৯ লাখ ১৫ হাজার টন। এর মধ্যে ৭০ শতাংশই ছিল ডিজেল। বাকি ৩০ শতাংশ ফার্নেস অয়েল, পেট্রোল, অকটেন, কেরোসিন ও জেট ফুয়েল। জ্বালানি তেল ব্যবহারের খাত অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় পরিবহন খাতে ৪২ লাখ ৬০ হাজার টন (৬১ দশমিক ৬১ শতাংশ), কৃষি খাতে ১১ লাখ ৫০ হাজার ৮৭৭ টন (১৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ), বিদ্যুৎ খাতে ৮ লাখ ৮৩ হাজার টন (১২ দশমিক ৭৭ শতাংশ), শিল্পে ৩ লাখ ৭৯ হাজার টন (৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ) আর বাকিটা ব্যবহার হয়েছে গৃহস্থালি ও অন্যান্য খাতে । ২০২১-২২ অর্থবছরে ৬৯ লাখ ১৫ হাজার টন ডিজেলের চাহিদা থাকলেও পরবর্তী বছরে তা ৭ শতাংশ বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সে হিসেবে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে চাহিদা প্রায় ৭২ লাখ টন। যার মধ্যে ডিজেল প্রায় ৫০ লাখ ৪০ হাজার টন।
বিপণনকারী সংস্থা পদ্মা অয়েল কোম্পানী, মেঘনা পেট্রোলিয়াস লিমিটেড কোম্পানী ও যমুনা অয়েল কোম্পানীর ডিপো থেকে পাম্প হয়ে ভোক্তা পর্যন্ত পৌছাতে গড়ে ৫ থেকে ৬ শতাংশ তেল চুরি হয়। সে হিসেবে বছরে সাড়ে তিন লাখ টনের বেশি তেল চুরি হয়। নিয়ন্ত্রনকারী সংস্থা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) ওয়েবসাইটে দেয়া সর্বশেষ মুল্য তালিকায় দেখা যায় ডিজেল ও কেরোসিনের খুচরা মুল্য প্রতি লিটার ১০৯ টাকা, পেট্রোল ১২৫ টাকা ও অকটেন ১৩০ টাকা। সেই হিসেবে চুরি যাওয়া জ্বালানি তেলের মুল্য গড়ে ১২০ টাকা ধরা হলেও যার মুল্য দাঁড়ায় কম/বেশি ৫ হাজার কোটি টাকা।
যেভাবে চুরি হয় জ্বালানী তেল:
জ্বালানী তেল বিক্রির সাথে সংশ্লিষ্ট এমন একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ডেলিভারির সময় ডিপো থেকে পরিমাপে তেল কম দেয় সরকার নিয়ন্ত্রিত জ্বালানী তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানী লিঃ (পিওসিএল), মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিঃ (এমপিএল) ও যমুনা অয়েল কোম্পনী লিঃ (জেওসিএল)। আবার প্রয়োজনের অতিরিক্ত সিস্টেম লস দেখানো হয়। এভাবে অতিরিক্ত তেল তারা সুযোগ বুঝে তাদের নিধারিত পার্টির কাছে অপেক্ষাকৃত কম দামে বিক্রি করে। সঠিক পরিমাপে তেল না পাওয়ায় আরেক দফা চুরি করে পাম্প মালিক ও কর্মচারীরা। এভাবে গ্রাহকের কাছে পৌছাতে শতকরা ৫ থেকে ৬ শতাংশ তেল চুরি হয়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে পরিবহন থেকে শুরু করে পণ্য উৎপাদন ও বিক্রয়ের ক্ষেত্রে।
র্যাবের অভিযানে আটক:
২০২১ সালে খুলনার ভৈরব নদ থেকে দেড় লাখ লিটার ডিজেলসহ এমটি রাইদা নামে একটি তেল ট্যাংকার জব্দ করেছে র্যাব-৬ এর সদস্যরা। এই চুরি ঘটনায় ট্যাংকারে থাকা ১৪ সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়। পরে চোরাই তেলের ক্রেতা সুমনকেও আটক করা হয়। জব্দকৃত তেলের মূল্য তৎসময়ে প্রায় আট কোটি টাকার মতো বলে জানা গেছে।
২০২২ সালের ২৩ আগস্ট চট্টগ্রামে সীতাকুণ্ড থানার ফৌজদারহাট এলাকায় দুটি ট্রাক থেকে ৬৬০০ লিটার চোরাই জ্বালানী তেল উদ্ধার করে র্যাব-৭ এর একটি দল। এসময় রাজিব হোসেন ও মো. কবির নামে ২ জনকে আটক করা হয়। পরে উদ্ধারকৃত আলামতসহ তাদের থানায় হস্তান্তর করা হয়। একই বছরের ৩০ আগস্ট চট্টগ্রামের বায়েজীদ বোস্তামি থানা এলাকায় ১ হাজার ৫০ লিটার চোরাই জ্বালানি তেলসহ মো. নুর আলম (৩৮) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে র্যাব।
কোস্ট গার্ডের অভিযানে আটক:
ওই বছরের ১২ আগস্ট চাঁদপুর জেলার উত্তর মতলবের দশআনি লঞ্চঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩ হাজার ৮০০ লিটার চোরাই ডিজেল জব্দ করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। তবে এই ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।পরে তেলগুলো উত্তর মোহনপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। একই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর মুন্সীগঞ্জ শহরের উপকণ্ঠ মুক্তারপুর গ্রাম সংলগ্ন ধলেশ্বরী নদীতে গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে ২২ হাজার লিটার চোরাই ডিজেল, ইঞ্জিনচালিত দুটি ট্রলারসহ জলিল সরদার ও তারেক রহমান নামে দুজনকে আটক করে কোস্ট গার্ড। পরে তাদেরকে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
সুত্র বলছে এসব মামলায় শুধুমাত্র পরিবহনের সময় যাদের হেফাজত থেকে এসব মালামাল উদ্ধার করা হয় তাদেরকেই আটক করা হয়। ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মুলহোতারা ধরা পড়েনা তাই দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে মূলহোতাদের চিহ্নিত করে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা জরুরী।
পুলিশের হাতে আটক:
তেল চুরির ঘটনায় ২০১৭ সালে যমুনা অয়েল কোম্পানীর চাঁদপুর ডিপোর তৎকালীন সুপার শেখ মোহাম্মদ খাদেমুল (৩৬), অপারেটর মো. মিজানুর রহমান (৪৮), আবু বকর সিদ্দিক (৫০), মিটারম্যান মো.মজিবুল হক (৩৮) ও কর্মচারী মোসলেম শাহকে (৩৮) আটক করে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ। তৎকালীন সময়ে চুরি হওয়া তেলের মূল্য চার কোটি ৫০ লাখ টাকার মতো।
ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান:
বিগত ২০১৯ সালের অক্টোবরে চট্টগ্রামের গণি বেকারী এলাকায় কিউসি পেট্রোল পাম্পে অভিযান চালায় বিএসটিআই। সেসময় কিউসির অকটেন ২ নম্বর মেশিনে প্রতি লিটারে ৭৫ গ্রাম করে গ্রাহককে কম দেওয়ার প্রমাণ পায়। একইভাবে অকটেন ৩ নম্বর মেশিন, অকটেন ৪ নম্বর মেশিনে তেল চুরির প্রমাণ পায় দলটি। ২ নং গেইটের বাদশা মিয়া পাম্পে অকটেনের মেশিনে প্রতি লিটারে ৭৫ গ্রাম, অকটেন বি মেশিনে ৫৫ গ্রাম ও ডিজেল বি মেশিনে ৫০ গ্রাম করে কম দেওয়া হচ্ছে। খুলশীতে শাহ আমিনউল্লাহ পাম্পে অকটেন এ-১ মেশিনে ১১৫ গ্রাম, অকটেন এ-২ ৭৫ গ্রাম করে তেল চুরির প্রমাণ পায় বিএসটিআই ও পাহাড়তলীতে শিউলি পাম্পের দুটি মেশিনের মধ্যে অকটেনে প্রতি লিটারে ৭৫ গ্রাম করে কম দেওয়ার প্রমাণ পায় । এই ঘটনায় সেই সময়ে তাদেরকে জরিমানা আদায় ও মামলা দায়ের করেছিল বিএসটিআই। গত বছরের আগষ্টে তেল কম দেওয়ায় রাজধানীর কল্যাণপুরের সোহরাব ফিলিং স্টেশনকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে বিএসটিআই। পাশাপাশি ওই এলাকার আরও দুটি পাম্পকে চার লাখ টাকা জরিমানা করেছিল ভ্রাম্যমান আদালত। ২০২১ সালের শুরুর দিকে কর্ণফুলী উপজেলার দুটি পেট্রোল পাম্পকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওজনে কম দেওয়ায় শিকলবাহা ক্রসিং এলাকার আমিন উল্লাহ ট্রেডিং কর্পোরেশন ফিলিং স্টেশনকে ১০ হাজার টাকা এবং মইজ্জার টেক কর্ণফুলী সিএনজি ফিলিং স্টেশন লিমিটেডকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ২০২০ সালের জুলাই মাসে ভেজাল জ্বালানি তেল সরবরাহ এবং ডিজেল, পেট্রোল ও অকটেন প্রতি লিটার ১০০ গ্রাম করে কম দেওয়ার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এস রহমান ফিলিং স্টেশন নামের একটি পেট্রোল পাম্পকে ২০ হাজার টাকা জরিমানার দন্ড দিয়েছিল জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। শুধু তাই নয় পরিমাপে কম দেওয়ার অভিযোগে গত জুন-২০২১ থেকে জুলাই-২০২২ পর্যন্ত ৪৯৯টি ফিলিং স্টেশন সিলগালা, ১৩শ মামলা ও দুই কোটি ৪৮ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে বিএসটিআই
বদলেছে চুরির কৌশল:
বিগত সময়ে তেল চুরির সাথে জড়িত পেট্রোল পাম্পকে মাঝে মাঝে আইনের আওতায় আনতে পারলেও বর্তমানে এরা কৌশল বদলিয়ে ডিভাইস বসিয়ে তেল চুরি করছে। যা ধরা খুবই কঠিন বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট অনেকে। তারা বলছেন, তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা,মেঘনা, যমুনাও সঠিক পরিমাপে তেল দেয়না। সেখান থেকেই চুরিটা শুরু হয়। আর চুরি কওে যে তেল তারা জমায় তা পরে অন্যত্র অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে বিক্রি করে দেয়। পাম্পে আগে এনালগ মিটারে তেল বিক্রি করা হতো। এখন সব পাম্পে তেল বিক্রির জন্য বিএসটিআই অনুমোদিত ডিজিটাল মিটার ব্যবহার করা হয়। বিএসটিআই, ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতর ও র্যাব প্রায়ই অভিযান চালিয়ে তেল কম দেওয়ার অভিযোগে জরিমানা ও পেট্রোল পাম্পের সংশ্লিষ্ট ইউনিট সিলগালা করে দেয়। কিন্তু এখন তেল মাপে কম দেওয়ার জন্য ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করা হয়। ডিভাইসটি পাম্পের ভেতরে লাগানো হয়। এটা লাগিয়ে দিলে নির্দিষ্ট পরিমাণ তেল স্বয়ংক্রিয়ভাবে কম বের হবে। কেউ বুঝতে পারবে না। আবার কোন সংস্থা অভিযান চালালে তা এক মিনিটের মধ্যেই সঠিক পরিমাপে সেট করা সম্ভব। ডিভাইসটির দাম পড়তে পারে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। এর জন্য আলাদা টেকনিশিয়ান আছে। সে এসে নিজেই ডিভাইস লাগিয়ে দেয়। এই ডিভাইসের সঙ্গে আবার সুইচ রয়েছে। ইচ্ছামতো সুইচ অন-অফ করা যায়। এই পদ্ধতিতে লিটারে ৪০/৫০ এমএল তেল অনায়াসে কম দেওয়া যায়। ডিভাইসটি এমনভাবে বসানো হয়, যা দেখা যায় না। বিএসটিআইর লোকজন উপস্থিত হলে মুহূর্তের মধ্যে সবার অলক্ষ্যে ডিভাইসটি অফ করে দেওয়া সম্ভব। তাহলে আর কারচুপি ধরা পড়বে না।
ক্যাব এর বক্তব্য:
এব্যপারে কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) বেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, ” বিপুল পরিমান জ্বালানী তেল যখন চুরি হয়, সেগুলির দায়ভার ভোক্তার ঘাড়ে গিয়ে পড়ে। কারণ সিস্টেম লস বা চুরি যে নামেই ডাকেন তার দায়ভার ভোক্তাকে দিতে হচ্ছে। কারণ বিপিসি বা জ্বালানী তেল আমদানি ও বিতরণের সাথে জড়িত কোম্পানীগুলি এর দায় বহন করছে না। দাম নির্ধাারণের সময় এসমস্ত লোকসানের দায় নিতে হচ্ছে ভোক্তাদেরকে। সিস্টেম লস বা চুরির জন্য সংস্লিষ্ট কতৃপক্ষকে দায়ী করা গেলে এসমস্ত চুরি বন্ধ হতো এবং জনগনকে অতিরিক্ত মূল্য পরিশোধে বাধ্য হতে হতো না। জবাবদিহিতা না থাকার কারণে এসমস্যাগুলো ঘুরে ফিরে থেকেই যাচ্ছে”।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) তথ্যানুযায়ী, দেশে জ্বালানি তেল বিক্রি করার অনুমোদিত ফিলিং স্টেশনের সংখ্যা ২২৭১টি, এজেন্ট ডিস্ট্রিবিউটর ২৯১৯টি, প্যাকড পয়েন্ট ডিলারের সংখ্যা ৬৬৩টি। রাষ্ট্রায়ত্ত পদ্মা অয়েল কোম্পানি (পিওসিএল), যমুনা অয়েল কোম্পানি (জেওসিএল) এবং মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের (এমপিএল) মাধ্যমে এসব পাম্পে তেল সরবরাহ করা হয়। জেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি), বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউটের (বিএসটিআই) ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের প্রতিনিধিরা এসব জায়গায় ভেজাল তেল বিক্রি, ওজনে কম দেওয়া এবং অবৈধ তেল কেনাবেচা ঠেকাতে প্রায়ই অভিযান পরিচালনা করেন। তবে জ্বালানি তেলে ভেজাল প্রতিরোধে নিয়মিত মনিটরিং করার দায়িত্ব তেল বিপণন কোম্পানিগুলোর। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা মনিটরিং করেন না।
এব্যপারে জানতে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ ও পরিচালক (অপা.ও প্ল্যানিং) খালিদ আহমেদ এর মোবাইলে কল ও ক্ষুদে বার্তা দিয়েও কোন সাড়া না পাওয়ায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।