৩০ লাখ টাকা লেনদেনের গুঞ্জন:
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে বিধিভঙ্গ করে পিডি নিয়োগের উদ্যোগ!
প্রকাশিত: ৫-১০-২০২৩ দুপুর ১১:৫৯
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অধীনে বাস্তবায়নাধীন ঢাকা, রাজবাড়ী, মুন্সীগঞ্জ , ফরিদপুর,মাদারীপুর, শরিয়তপুর ও গোপালগঞ্জ জেলায় নদী বিধৌদিত চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন শীষক প্রকল্পের পিডি নিয়োগে চরম অনিয়ম করা হচ্ছে মর্মে অভিযোগ পাওয়াগেছে । নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মোটা অংকের আর্থিক লেনদেন হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
সুত্রমতে প্রকল্পের ডিপিপিতে ৫ম গ্রেডের ( জেলা পর্যায়ের) কর্মকতাকে পিডি নিয়োগের বিধান রয়েছে। কিন্তু ডিজি মো: এমদাদুল হক তালুকদার পিডি নিয়োগের প্রস্তাবে নিজস্ব একজন ৫ম গ্রেডের জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা মো: শামীম হোসেন এবং অপর ২ জন ৬ষ্ট গ্রেডের উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা ১। ডা: মো: আমিনুল হক ও ২। এ কে এম বাহারুল ইসলাম এর নাম প্রস্তাব দিয়েছেন। আর সে মোতাবেকই মন্ত্রণালয় হতে পিডি নিয়োগের লক্ষ্যে সভা আহবান করা হয়েছে। সভা আহবানের বিষয়েও অনিয়ম করা হয়েছে। ৪/১০/২৩ তারিখে চিঠি ইস্যু করে ৫/১০/২৩ তারিখে ১২ ঘটিকার সময় সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হয়েছে। যার স্মারক নং ৩৩.০০.০০০০.১৩৯.১৪.০৮১.২০(অংশ-১)-৯২ তারিখ: ০৪/১০/২০২৩ইং।
প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক একনেকে অনুমোদিত ডিপিপির বত্যয় ঘটিয়ে পিডি নিয়োগের প্রস্তাব দেয়ার কারণ জানতে চাইলে ডিজি ডা: এমদাদুল হক তালুকদার মোবাইল এর লাইন কেটে দেন । তড়িঘড়ি করে পিডি নিয়োগের নেপথ্যে কি কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে গিয়ে জানাগেছে, ডিজি ৫ম গ্রেডের একমাত্র জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা (প্রাথীর্) মো: শামীম হোসেনের কাছ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা ঘুস নিয়ে তাকে পিডি নিয়োগ দানের জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। উল্লেখ্য যে, প্রাণিসম্পদ আধিদপ্তরে বর্তমান ডিজি যোগদানের পর হতে অধিদপ্তরের সকল অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।