মাদারীপুরে কৃষকের স্বপ্ন এখন পানির নিচে

news paper

আরাফাত হাসান, মাদারীপুর

প্রকাশিত: ২০-১১-২০২৩ বিকাল ৫:৩৬

46Views

ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলির’ তান্ডবে পাকা-আধাপাকা আমন ধানের ক্ষেত দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। উপড়ে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে শীতকালীন শাকসবজি ও আগাম রবি ফসলের। এতে হাজার হাজার কৃষকের স্বপ্ন এখন পানির নিচে। এমই একজন কৃষক মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার রমজানপুর ইউনিয়নের চরপালরদী গ্রামের মোঃ শাহীন রাড়ী। তিনি চলতি বছরে প্রায় ১২০ শতাংশ জমিতে বুকে অনেক স্বপ্ন নিয়ে শসা ও লাউ চাষ করেছেন। তার বয়স এখন প্রায়-(৫৫) বছর। পরিবারে রয়েছেন ৩ছেলে-মেয়েসহ ৭জন সদস্য।
তিনিই সংসারের উপার্জনের এক মাত্র অবলম্বন। তার উপার্জনের টাকায় চলে তার সংসার। শাহীন একজন পেশায় কৃষক। সে বছরের ১২ মাস এ কৃষি কাজে ব্যস্ত থাকেন। তিনি এর আগে বেশ কয়েকবার সফল কৃষক হিসেবে পুরুস্কারও পেয়েছেন। তবে সবজির মধ্যে তিনি শসা ও লাউ উৎপাদন করেন বছরের ১২ মাস। এতে করে সে বছরে প্রায় পাঁচ লক্ষাধীক টাকা আয় করে থাকেন। তার এ উপার্জনের টাকায় তার এক ছেলেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াচ্ছেন। আর এ লাউ ও শসা চাষ করেই আজ তিনি সফল ও স্বাবলম্বী একজন কৃষক হিসেবে সমাজে পরিচিতি লাভ করেছেন। তিনি বর্ষাকালে ভাসমান লাউ ও বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষ করে থাকেন। প্রতি বছরের ন্যায় চলতী বছরেও তিনি বুকে অনেক স্বপ্ন নিয়ে প্রায় ১২০ শতাংশ জমিতে শসা ও লাউ চাষ করেছেন। কিন্তু হঠাৎ ঘূর্ণিঝড় মিধিলির আঘাতে তার এ সবজি বাগানের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে। তার ও তার পরিবারের স্বপ্ন এখন পানির নিচে। এতে করে দুশ্চিন্তায় শাহীনের  কপালে হতাশার ভাজ পড়েছে।
 
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক শাহীন রাড়ি কান্না জরিত কণ্ঠে বলেন, আমি ঋন করে প্রায় ১২০ শতাংশ জমিতে শসা ও লাউ চাষ করেছি। হঠাৎ ঘূর্ণিঝড় মিধিলির আঘাতে আমার স্বপ্ন এখন পানির নিচে ছলে গেছে। আমি জানিনা এখন আমি কিভাবে আমর সংসার চালাবো।
 
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস জানান, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির আঘাতে রোপা আমন, খেসারি, শাক-সবজিসহ বীজতলা নষ্ট হয়েছে। এতে কৃষি খাতে সফল চাষি শাহীনসহ উপজেলায় প্রায় কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে মাঠে জমা পানি দ্রুত নামাতে কাজ করার পরামর্শ দেন এই কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন