টকটকে লাল ও সুস্বাদু ‘রাঙা তরমুজ’ক্ষেত থেকে কেজিতে নয় পিস হিসেবেই বিক্রি হচ্ছে
প্রকাশিত: ১৯-৩-২০২৪ দুপুর ৪:৮
তরমুজের নগরী খ্যাত পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় তরমুজ সড়ক ও নৌপথে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাচ্ছে।বিশেষ করে কুয়াকাটাসহ উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় রাঙা তরমুজের কদর সব জায়গাতেই। তাই ক্ষেত থেকেই বিক্রি হচ্ছে এখানকার ‘রাঙা তরমুজ’।
টকটকে লাল ও সুস্বাদু হওয়ায় এখানকার তরমুজ সারাদেশে সুনাম কুড়িয়েছে। তাই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকারি ব্যবসায়ীরা ক্ষেত থেকেই কিনে নিচ্ছেন এখানকার তরমুজ।দুই চোখ যেদিকে যায়, সেদিকে শুধু তরমুজ আর তরমুজ। মাঠের পর মাঠজুড়ে তরমুজখেত। খেত থেকে তরমুজ তুলে স্তুপ আকারে জড়ো করছেন কৃষক। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা এসে খেত থেকেই ভালো দাম দিয়ে তরমুজ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। সেই তরমুজ ট্রাক,কাভার্ড ভ্যান,ট্রলার,ও লঞ্চ করে পাঠানো হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। তরমুজ ঘিরে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ।
রবি মৌসুমে তরমুজ চাষ লাভজনক হওয়ায় তাঁদের মধ্যে আগ্রহ বেড়েছে। প্রতিবছরই বাড়ছে তরমুজ চাষ। এবার ফলন কম হলেও দাম ভালো পাওয়ায় পরিপক্ব হওয়ার আগেই বাজারে বিক্রি করছেন।কুয়াকাটার তরমুজ চাষি) জাকির বলেন,বাজারে তরমুজের চাহিদা ও দাম ভালো পাওয়ায় ছোট তরমুজ বাজারজাত করছেন বলে জানিয়েছেন তারা।তরমুজ কৃষক মনির জানান,কুয়াকাটার রাঙ্গা তরমুজের সুনাম রয়েছে সারা দেশে। তাই মৌসুমের শুরুতেই পাইকাররা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন আগাম তরমুজ।তরমুজ ব্যাপারি রাজা মিয়া বলেন,সারাদেশে কুয়াকাটা সহ উপকূলের তরমুজের চাহিদা রয়েছে । কিন্তু বেশি দামের আশায় প্রধান মৌসুমের আগেই বাজারে ওঠছে তরমুজ।তরমুজ পরিপক্ব হওয়ার আগেই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী তরমুজ বাজারজাত করছেন । এগুলো এখনো পুষ্টি গুণ সম্পন্ন হয়ে ওঠেনি। যার কারনে এ তরমুজ খেয়ে পর্যাপ্ত পুষ্টি গুণ পাওয়ার সুযোগ নেই ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর,কলাপাড়া কার্যালয় সূত্র মতে, এবার উপজেলার লালুয়া,কুয়াকাটা, মিঠাগঞ্জ,বালিয়াতলী,চম্পাপুর,ও নীলগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৪২,৪০০ মেট্রিকটন তরমুজ উৎপাদিত হয়েছে।জেলায় ২৩ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। সবচেয়ে বেশি তরমুজ আবাদ হয়েছে রাঙ্গাবালী ও গলাচিপা উপজেলায়,"ক্ষেত থেকে কৃষকরা পিস হিসেবেই তরমুজ বিক্রি করছেন, তবে বাজারে কেজিতে বিক্রি হচ্ছে এখানে আসলে আমাদের কিছু করার নেই, আমাদের কাছে আইনি ক্ষমতা নেই।